This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Saturday, July 18, 2020

বলিউডের ক্ষমতাধর সেরা দম্পতি (top powerful couple in Bollywood)

Shah Rukh Khan

মুম্বাই, ভারত এবং বিশ্ব জুড়ে বর্তমানে কোন সেলিব্রেটি জুটি সবচেয়ে বেশি দাপটে?  দুজনে্র দুষ্টু ভরা অংশীদারিত্ব দাপুটে সংসার জীবন অতিবাহিত করা জুটিকে পাওয়ার দম্পতি বলছি যা বাছাই করা আমাদের জন্য খুব কঠিন। সুতরাং, বেশ কয়েকটি দীর্ঘস্থায়ী দম্পতি থেকে শুরু করে নতুন রোম্যান্সের জন্য, আমাদের এখানে রয়েছে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের দশজোড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শক্তিধর দম্পতি।

৮. শহীদ কাপুর এবং মীরা কাপুর

মীরা শহীদ কাপুরের চেয়ে ১৩ বছরের ছোট এবং তাদের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই জুটিটির দেখা হয়েছিল - তারা দুজনেই রাধা সোয়ামি সৎসং বিয়াস অনুসরণ করে। তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করেছিলেন তাদের পরিবার, যা বলিউডে বিরল। তাদের ইতিমধ্যে দু'টি বাচ্চা রয়েছে এবং মীরা নয়াদিল্লির একটি শীর্ষ ব্যবসায়িক পরিবার থেকে এসেছেন, যখন তাঁর বাবা-মা এবং তাঁর প্রো-পিতামাতা সকলেই সম্মানিত অভিনেতা। মীরা এখনও কোনও অভিনেত্রী নন, তবে গুঞ্জন রয়েছে যে তার বলিউডে অভিষেকের একদম কোণে।শহীদ কাপুরের স্ত্রী মীরা রাজপুত এই শিল্প থেকে নাও আসতে পারেন তবে তিনি খোলামেলা মনোভাবের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ শহীদ ভক্ত এবং অন্যদের হৃদয়ে প্রবেশ করছেন। তারকা স্ত্রীকে প্রায়শই স্বামীর সাথে বিভিন্ন চ্যাট শো এবং পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে উপস্থিত হতে দেখা যায়।

৭. কাজল এবং অজয় দেবগন

এই জুটির ১৯৯৬ সালে ডেটিং শুরু হয়েছিল, এবং ১৯৯৯ সালে বিয়ে হয়েছিল।তাই এই তালিকার সুপ্রতিষ্ঠিত দম্পতিদের মধ্যে তারা অন্যতম। দু'জনেই বলিউড পরিবার থেকে এসেছেন।ভারতের মুম্বইয়ে মুখার্জী-সমর্থ পরিবারে জন্ম নেওয়া মিষ্টি অভিনেত্রী তনুজা সমর্থ এবং চলচ্চিত্রনির্মাতা শমু মুখার্জী দম্পতির কন্যা। কাজল ভারতের অন্যতম সফল এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী।তারা একসাথে অনেকগুলি চলচ্চিত্র তৈরি করেছে - কিছু হিট, কিছু ফ্লপ । তবে এই জুটি মারাত্মকভাবে প্রাইভেট এবং কখনও 'তাদের পারিবারিক বিষয় বাহিরে প্রচার করার জন্য নয়' বলে পরিচিত।

৬. আমির খান ও কিরণ রাও

স্বাধীন চিন্তা ধারার বলিউড পাওয়ার দম্পতি, আমির ও কিরন ২০০১ সালে অস্কার-মনোনীত লাগানের সেটে দেখা করেছিলেন, আমির ২০০২ সালে তার প্রথম স্ত্রী রেণাকে বিবাহবিচ্ছেদ করেছিলেন এবং কিরণ ও আমির ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিলেন। তাদের দুজনের আলাদা ধর্ম বিশ্বাস বিবাহ (তিনি মুসলিম এবং তিনি হিন্দু) এর বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে নাই।উভয়ই অত্যন্ত রাজনৈতিকভাবে সচেতন এবং স্পষ্টবাদী। তাদের একসাথে এক ছেলে রয়েছে, ২০১১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার নাম আজাদ রাও খান।কিরণ রাও একাধারে প্রযোজক, পরিচালক ও স্ক্রীপ রাইটার।

 ৫. অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রাই

সকলেই এই দম্পতি জানেন । তারা ভারতের মধ্যে বলিউডের শীর্ষস্থানীয় দম্পতি। এমন কি তারা সম্ভবত বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। এই সেলিব্রেটি দম্পতি কান রেড কার্পেটে একসাথে হেঁটেছেন। ভারত সফরকালে ওপ্রা উইনফ্রেকে সঙ্গে নিয়েছিলেন সারা ইন্ডিয়া ঘুরে বেড়িয়েছেন।এছাড়াও ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড জয়ের পরে ঐশ্বরিয়া রাই "বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা" হিসাবে পরিচিতি পান।অভিষেকের পরিবার সত্যিকারের বলিউড রয়্যাল ফ্যামিলি। তাঁর পিতা অমিতাভ বচ্চন এবং তাঁর মা কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও ভারতের মেম্বার অফ পার্ললামেন্ট সুপরিচিত জয়া বচ্চন।

এখানে একটি কথা বলতে হয় অভিষেক ইনগেজমেন্ট রিং বদলিয়ে ছিলেন কারিশমা কাপুরের (কারিনার বোন) সাথে এবং সালমান খানের সাথে ঐশ্বরিয়া রাই এর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিলো।

৪. অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কল খান্না

অক্ষয় কুমার বহুবার বাগদান করেছিলেন। তবে তিনি একবারই পুরোপুরি সফল হতে পেরেছিলেন। অভিনেত্রী থেকে লেখক ও ইন্টিরিওর ডিজাইনার হয়ে টুইঙ্কলের সাথে। এই জুটির দুটি বাচ্চা একসাথে রয়েছে এবং তারা তাদের পারিবারিক জীবন সম্পর্কে খুব কনজারভেটিভ। এছাড়াও, বলিউড রয়্যালটিতে টুইঙ্কলের নিজস্ব শেকড় রয়েছে - তার বাবা হলেন রাজেশ খান্না। যিনি সর্বকালের অন্যতম বিখ্যাত অভিনেতা। তার মা হলেন সুন্দরী অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়া (যিনি আজ অবধি অভিনয় অব্যাহত রেখেছেন)।

বলিউডের বিখ্যাত প্লেবয় ও টুইঙ্কল এই র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকার যোগ্য। এছাড়াও, বাণিজ্যিকভাবে কঠিন মনোভাবের কারণে অক্ষয় বলিউডের অন্যতম ধনী তারকা হিসাবে খ্যাতিমান।

৩. বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা

বলিউডের মতো ভারতীয়দের আরো একটি পছন্দ করার মত জিনিস আছে।তাহলো ক্রিকেট। বিরাট এবং আনুশকা আমাদের র‌্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বরে আসেন কারণ তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এবং তিনি এমন অভিনেত্রী হিসাবে পরিচিত যিনি মেধাবী এবং সত্যিকারের ভূমিকাকে মোকাবেলা করেন (এমন কিছু বিষয় যা বলিউডে কখনও কখনও অভাব বোধ করে)।

এই জুটি পেশাদার সময়সূচীর কারণে অভিনেতা আনুশকা শর্মা এবং তার ক্রিকেটার স্বামী বিরাট কোহলি তাদের বিয়ের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে মাত্র ২১ দিন একসাথে কাটিয়েছেন। বিরাট কোহলি এবং আনুশকা শর্মা 2017 সালের ডিসেম্বরে গাঁটছড়া বাধেন।

২. সাইফ আলি খান এবং কারিনা কাপুর

এই জুটি একসাথে শক্তিশালী, তবে তারা এবং নিজেরাই দুজনেই বলিউড রয়্যালটি। কারিনার পরিবার হ'ল বলিউডের প্রথম পরিবার, তাঁর দাদা পৃথ্বী রাজ কাপুর 1930 থেকে 1970 এর দশক থেকে খুব বিখ্যাত অভিনেতা।এদিকে, সাইফ রাজকীয় বংশের গৌরব অর্জন করেছেন (তাঁর বিখ্যাত ক্রিকেটার পিতা মনসুর আলী খান পটৌদির (নবাব ছিলেন) এবং তাঁর মা অবশ্যই আরাধ্যার খ্যাতির শর্মিলা ঠাকুর।

সাইফ ও কারিনা বহু বড় বাজেটের সিনেমা এবং বিজ্ঞাপনগুলিতে পাশাপাশি ছিলেন, তবে তাদের নিজস্ব প্রেমের গল্পটি দেরিতে শুরু হয়েছিল। পাঁচ বছরের কোর্টশিপ শেষে ২০১২ সালে কারিনাকে বিয়ে করার আগে সাইফ (৪৮) ৬০ বছর বয়সী অমৃতা সিংয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। অমৃতার সাথে সাইফের দুটি সন্তান রয়েছে, তবে সাইফ মিডিয়াতে দাবী করে করিনার সাথে এটিই তার সন্তান। সুপার-কিউট, নীল চোখের তৈমুর আলি খান অনস্বীকার্যভাবে বলিউডের সবচেয়ে বিখ্যাত শিশু।

১. শাহরুখ খান এবং গৌরী খান

অনেক সম্পর্কই বলিউডে সময়ের পরীক্ষার উত্তীর্ণ হতে পারে না। তবে বলিউডের প্রথম এক দম্পতির ক্ষেত্রে এটি হয় না: শাহরুখ এবং গৌরী ১৯৯১ সাল থেকে বিবাহিত হয়েছেন (তারা ১৯৮৪ সালে দেখা হয়েছিল)। নানা ঘাত প্রতিঘাত বিচিত্র গুজব সত্ত্বেও যে তারা আলাদা হয়ে যায় নাই। এইরকম ঘটনা বিরল। সমস্ত অফিসিয়াল উপস্থিতি দ্বারা, তারা এখনও শক্তিশালী সম্পর্ক অটুট রেখে চলেছেন।

গৌরী মুম্বই উচ্চ সমাজের মূল অভ্যন্তর ডিজাইনার, এবং শাহারুখ তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সর্বাধিক বিখ্যাত তারকা , এগুলিও এবং একটি ভিন্ন ধর্মাবলীর বিবাহ (তিনি মুসলিম এবং তিনি হিন্দু) এবং তারা উভয়ই বিখ্যাত হওয়ার আগেই তারা একত্রিত হয়েছিলেন, সুতরাং তাদের মিলটি সত্যিকারের ভালবাসার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত দেখা যায়। এই জুটির তিনটি বাচ্চা একসাথে রয়েছে এবং সমস্ত মাধ্যমে তাদের বাচ্চারা বলিউডের পরবর্তী বড় তারকা হিসাবে প্রত্যাশিত ।

Sunday, July 12, 2020

বাংলাদেশী জনপ্রিয় খাবারগুলি যা বিদেশী টুরিস্টদের খাওয়া উচিত (popular food in Bangladesh)

Bangladeshi food

বাংলাদেশ সুস্বাদু খাবার এবং মিষ্টান্নের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশি খাবারের বিশেষত্ব হ'ল এগুলো মশলাদার। ভাত মূল
বাংলাদেশি খাবার । ভাত মাছের তরকারি এবং মসুর ডাল সাধারণ মানুষের জন্য প্রচলিত বাংলাদেশী খাবার। বাংলাদেশ তার মিষ্টান্নগুলির জন্যও বিখ্যাত। আপনি কয়েক ডজন মিষ্টি, বিভিন্ন প্রকার কেক, চাল ও গুড়ের বানানো খাবার এবং অন্যান্য অনেক মিষ্টি দেখতে পাবেন, বেশিরভাগই চাল এবং গরুর দুধ থেকে তৈরি। এটি খাদ্যপ্রেমীদের জন্য একটি স্বর্গ।

শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশি খাবারের তালিকা

একটি খাঁটি বাংলাদেশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতার জন্য, বাংলাদেশ সফর করার সময় অবশ্যই শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশি খাবারের স্বাদ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যে তালিকা এখানে দেওয়া রয়েছে। এই খাবারগুলির বেশিরভাগই এতিহ্যবাহী বাংলাদেশি রেস্তোঁরাগুলিতে স্বাদ নিতে পাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে কয়েকটি হ'ল হোমমেড খাবার যা রেস্তোঁরাগুলিতে পাওয়া যায় না। তাদের স্বাদ নেওয়ার একমাত্র সুযোগ হ'ল যদি আপনি কোনও বাংলাদেশি পরিবার দ্বারা আমন্ত্রিত হন। এই বিখ্যাত বাংলাদেশী খাবার চেষ্টা করে দেখুন এবং আপনার সেগুলি কতটা পছন্দ তা কমেন্টে আমাদের জানান।

বাংলাদেশী সকালের খাবার

পরোটা

পরোটা হ'ল বাংলাদেশের একটি খামিবিহীন ফ্ল্যাটব্রেড যা একটি ফ্রাইং প্যানে ময়দার আটা বেকিং করে এবং অগভীর ভাজ দিয়ে শেষ করে দেওয়া হয়। এটি তেল দিয়ে লেপ এবং স্তরিত ময়দার কৌশল ব্যবহার করে বারবার ভাঁজ করে স্তরযুক্ত করা হয়।রেস্তোঁরাগুলিতে প্রাতঃরাশের জন্য এটি সর্বাধিক জনপ্রিয় বাংলাদেশী খাবার, যা সাধারণত ভাজি (মিশ্র সবব্জী) অথবা বিভিন্ন প্রকার ডাল বা এই দুটির মিশ্রণ এবং ভাজা ডিমের সাথে খাওয়া হয়।

আপনি যদি বাংলাদেশ ঘুরে দেখেন তবে আপনার দিন শুরু করার সবচেয়ে খাঁটি স্থানীয় উপায় হ'ল পরোটা, ভাজি এবং ডিম ভাজি দিয়ে সকালের নাস্তাটা সারা। সবশেষে চা খাওয়া। আপনার কাছে পরোটা সাথে গুরু নেহারী খাওয়ার অপশন ও রয়েছে । যা ধীরে ধীরে রান্না করা গরুর মাংসের পায়ের অংশ যার সাথে প্রচুর তেল মিশ্রিত ঝোল থাকে।  স্থানীয়দের একটি খুব জনপ্রিয় সকালের খাবার এটি।

বাংলাদেশীদের জন্য মেইন ডিশ

কাচ্চি বিরিয়ানি - বিশেষ বাংলাদেশী খাবার

কাচ্চি বিরিয়ানি সাধারণত বিবাহ এবং সামাজিক সমাবেশ এমনকি বিশেষ দিন উদযাপনের জন্য বানানো হয়। কাচ্চি বিরিয়ানি তৈরির জন্য মাংস, চাল এবং আলু স্তরগুলি সুগন্ধযুক্ত মশলাদা্রা উষ্ণ এবং ভালোভাবে মিশ্রিত করা হয়। 

কাচ্চি বিরিয়ানী বানানোর নিময় ও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে একটি সাধারণ সালাদই যথেষ্ট ।  তবে এতিহ্যগতভাবে শামী কাবাব এবং চাটনি পাশাপাশি পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও কাঁচ্চি বিরিয়ানির সাথে বোরহানি রাখা খুব জনপ্রিয়, এটি একটি  এতিহ্যবাহী পানীয়। কাচ্চি বিরিয়ানি হ'ল সর্বাধিক জনপ্রিয় আনুষ্ঠানিক বাংলাদেশী খাবার যা আপনি বাংলাদেশ সফর করার সময় অবশ্যই একবার খাবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

ভুনা খিচুড়ি

"ভুনা খিচুড়ি" শব্দটির অর্থ বাদামি করা। চাল, ডাল অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সবজ্বীও থাকে সাথে মশলা গভীর ভাজা। ভুনা মানে বেশীক্ষন ভাজা। তাই এই খাবারে স্বাদ এবং মশলা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধীরে ধীরে রান্না করা হয় এবং রান্না করার সময় আপনি সুন্দর সুগন্ধ উপেক্ষা করতে পারবেন না!

ভুনা খিচুড়ি বিভিন্ন ধরণের মাংস - বিফ বা গরুর মাংস, মাটন বা ছাগলের মাংশ অথবা চিকেন বা মুরগির সাথে রান্না করা যেতে পারে। এছাড়াও এটিতে ডিম বা চিংড়ির যোগ থাকতে পারে। এটি এতিহ্যবাহী বাংলাদেশি রেস্তোঁরাগুলিতে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য একটি খুব জনপ্রিয় খাবার। ভুনা খিচুড়ি আপনি বাংলাদেশ সফর করার সময় অবশ্যই চেষ্টা করবেন।এটি তিন নম্বর খাঁটি বাংলাদেশী খাবার।

ডিমের কারি, ভোর্তা, ভাজি এবং ডালের সাথে ভাত - প্রতিদিনের বাংলাদেশী খাবার

ফ্রেশ ভাত বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য। এটি বিভিন্ন মাছ এবং মাংসের তরকারি, বিভিন্ন শাকসবজি এবং মাছের ভোর্তা (ম্যাশ), বিভিন্ন শাকসব্জি ভাজি (ভাজা) এবং পাতলা ডাল (মসুরের স্যুপ) দিয়ে পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশে একটি প্রবাদ আছে - "ভাত এবং মাছ বাঙালি মানুষের রসনা বিলাশ করে"। এ থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে মাছ এবং ভাত বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় খাবার।

বাংলাদেশ ভ্রমণের সময়, দেশের যে কোনও প্রথাগত রেস্তোঁরাটিতে যান এবং বিভিন্ন তরকারী, ভোরতা, ভাজি এবং ডাল দিয়ে ভাত অর্ডার করুন। এটি মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারের জন্য সর্বাধিক প্রচলিত। এই বাংলাদেশী খাবারটি বাংলাদেশ ভ্রমণ করার সময় অন্তত একবার মধ্যাহ্নভোজনের খাবারে জন্য চেষ্টা করা উচিত।

বাংলাদেশীদের সন্ধ্যার নাস্তা

নান রোটির সাথে গ্রিলড চিকেন

গ্রিলড চিকেন সম্প্রতি বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। প্রায় প্রতিটি রাস্তায় মুখে এবং অলিগলির সামনে আপনি ভাজা ভাজা মুরগির সন্ধান করতে পারেন। চিকেন মশলা দিয়ে মেরিনেট করা হয় এবং পরে গ্রিলারে গ্রিল করা হয়। মুরগিটি ভিতরে ভিতরে বেশ আর্দ্র তবে বাইরে স্তরগুলো টুকরো টুকরো 
একটু শক্ত মাংশ ছড়িয়ে থাকে যা স্বর্গীয় স্বাদ তৈরি করে। গ্রিলড মুরগি সাধারণত নান রুটি (একটি ওভেন-বেকড ফ্ল্যাটব্রেড), মেয়োনিজ এবং সাধারণ সালাদ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এটি একটি বিকেলের নাস্তা, বেশিরভাগ রেস্তোঁরাগুলিতে সন্ধ্যা ৫.০০ টার পরে পাওয়া যায়।

হালিম

হালিম বাংলাদেশে মশলাদার মসুরের স্যুপ খুব জনপ্রিয়। হালিম গম, যব, মাংস (সাধারণত গরুর মাংস বা মাটন এর তৈরি মাংস), বিভিন্ন ধরণের ড, মশলা এবং কখনও কখনও চাল ব্যবহার করা হয়। এই খাবার বানাতে সাত থেকে আট ঘন্টা ধীরে ধীরে রান্না করা হয়, যার ফলে পেস্টের মতো সামঞ্জস্য হয়, মশলা, মাংস, বার্লি এবং গমের স্বাদ মিশ্রিত হয়।

হালিমকে ধনিয়া পাতা, লেবুর কুঁচি, কাটা আদা, সবুজ মরিচ এবং ভাজা পেঁয়াজ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। কখনও কখনও এটি নান বা কোনও ধরণের রুটির সাথে পরিবেশন করা হয় বাংলাদেশে। এটি বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি রেস্তোঁরায় পাওয়া যায় আরেকটি সন্ধ্যাকালীন নাস্তা। হালিম একটি বিশেষ বাংলাদেশী খাবার যা আপনি বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় মিস করবেন না। আপনি যদি এটি না খান তবে আপনি অনেক মিস করবেন!

বাংলাদেশি স্ট্রিট ফুড

ফুচকা 

বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, প্রধানত সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয়। এটি একটি অনন্য মশলাদার,মচমচে, টক স্বাদযুক্ত । এটি একটি গোলাকার, ফাঁকা পুরী, ভাজা চকচকে এবং স্বাদযুক্ত জলের মিশ্রণে ভরা, তেঁতুলের চাটনি, মরিচ, চাট মশলা, আলু, পেঁয়াজ এবং ছোলা দিয়ে তৈরি। ফুচকাতে সেদ্ধ মাশানো আলুর মিশ্রণটি ভরাটকরণ উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করে । মিষ্টি বদলে বেশী মজাদার থাকে যখন পানি টক এবং মশলাদার হয়।

মিষ্টি দই

মিষ্টি দই একটি এতিহ্যবাহী বাংলা মিষ্টি আইটেম যা স্থানীয়ভাবে মিষ্টি দই নামে পরিচিত। এটি একটি স্বাস্থ্যকর লো-ফ্যাট মিষ্টি। কোনও বাঙালি উপলক্ষ মিষ্টি দই এবং মিষ্টি ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। এটি খুবই ঘন এবং ক্রিমযুক্ত পনিরের মতো। 

দুধ ও চিনি বা গুড় দিয়ে মিশে দোই তৈরি হয়। এটি সামান্য ঘন হওয়া, দুধ চিনি বা গুড় দিয়ে মিষ্টি করা এটি দীর্ঘ সময় দুধ দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। মিষ্টি দই তৈরির জন্য মাটির পাত্রগুলি সর্বদা পাত্রে হিসাবে ব্যবহৃত হয় কারণ এর ছিদ্র প্রাচীরের মধ্য দিয়ে জল ধীরে ধীরে বাষ্পীভবন হয়ে দইকে আরও ঘন করে এবং জমাট বাধার জন্য সঠিক তাপমাত্রা নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশী মানুষ মিষ্টি দই খুব পছন্দ করেন। মিষ্টি দই মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারের পরে জনপ্রিয়। মিষ্টি দই বেশিরভাগ মিষ্টির দোকানে বিক্রি হয় তবে এটি রেস্তোঁরাগুলিতেও পাওয়া যায়। রেস্তোঁরাগুলিতে, তারা সাধারণত এটি মৃৎশিল্প দিয়ে তৈরি ছোট কাপে পরিবেশন করে। বগুড়ার মিষ্টি দই বাংলাদেশের সর্বাধিক বিখ্যাত।ঢাকার আলি-বাবা সুইটস বাংলাদেশের অন্যতম সেরা মিষ্টি দই তৈরি করে।

রসমালাই 

এক অনন্য বাংলাদেশী সুস্বাদু খাবার। এই বাংলাদেশী ডেজার্টটি চ্যাপ্টা পনিরের বলটি মালাইয়ে ভিজিয়ে রাখা (ক্লটেড ক্রিম) এলাচ দিয়ে স্বাদযুক্ত। মালাই বা জমাট ক্রিম নিজেই একটি অনন্য টেক্সচার আছে।

বাংলাদেশের প্রতিটি মিষ্টির দোকানে রসমালাই পাওয়া যায়। কুমিল্লার একটি মিষ্টির দোকানের রসমালাই "মাতৃ ভান্ডার" নামে বাংলাদেশের সর্বাধিক বিখ্যাত। ঢাকার "বনফুল সুইটস" ভাল মানের রাসমালাই তৈরি করে। আপনি যদি বাংলাদেশ ঘুরে দেখেন, ভাল মানের রসমালাই অবশ্যই স্বাদ পাওয়া উচিত।

বাংলাদেশী পানীয়

বোরহানি

এটি বিবাহ বা বিরিয়ানি, তেহারি, ভুনা খিচুড়ি বা মরোগ পোলাওয়ের সাথে বড় পার্টিতে পরিবেশন করা মশলাদার দইযুক্ত পানীয়। এটি একটি এতিহ্যবাহী পানীয় এবং এটি তৈরি করা খুব সহজ। বোরহানী মূল খাবারের মশালাকে সমতা বিধান করে এবং এতে পুদিনা, জিরা এবং দইয়ের মতো উপাদান রয়েছে। এটি হজমে সহায়তা করে।

বোতলজাত বোরহানি রেস্তোঁরাগুলিতে পাওয়া যায় তবে এটি হ'ল বিবাহের ভোজে ঘরের তৈরি একটি পানীয় ।

মিষ্টি লাচ্ছি

লাচ্ছি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় দই-ভিত্তিক পানীয়। লাচ্ছি হ'ল দই, জল, মশলা এবং কখনও কখনও ফলের মিশ্রণ। বেশিরভাগ মধ্যাহ্নভোজন সহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গরম-আবহাওয়ার মধ্যে নিজেকে সতেজ ও ঠাণ্ডা উপভোগ করা জন্য লাচ্ছি ব্যবহার করা হয়। এটি বাংলাদেশের একটি খুব জনপ্রিয় পানীয় যা বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় আপনাকে অবশ্যই একবার এই পানীয়ের স্বাদ গ্রহন করতে হবে। যা আপনি অনেকদিন মনে রাখবেন।

Saturday, July 11, 2020

অঞ্জনা বাংলাদেশের চিরযৌবনা জনপ্রিয় অভিনেত্রী (Bangladeshi actress Onjona)

অঞ্জনা

বাংলাদেশের একসময়ের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা সুলতানা। লাস্যময়ী, চঞ্চলা এবং নাচে অত্যন্ত দক্ষ।শুধু নাচ নয় অভিনয়েও ছিলেন সমান পারদর্শী।তার উপর চেহারা ছিলো প্লাস পয়েন্ট।তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা তিন শতাধিকেরও বেশী।

চলচিত্রে অঞ্জনা নামধারী এই নায়িকা ১৯৬৫ সালের ২৭ জুন পুর্ব পাকিস্তানের ঢাকাতে জম্মগ্রহন করেন।তার দুই বোন এক ভাই। বিবাহিত অঞ্জনা বর্তমানে দুই সন্তানের জননী। তার ছেলে মনি নিশান আর মেয়ে ফারজানা নিশি।

তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি গান ও নাচেও দক্ষতার পরিচয় দেন।তিনি নাচের জন্য ভারতের বিখ্যাত নাচের গুরুর কাছে দীক্ষা নেয়।সারা জীবন তিনি তার এই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলছেন।

তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিক। ১৯৮১ সালে গাংচিল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমবার এবং ১৯৮৬ সালে পরিণীতা চলচ্চিত্রে ললিতা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।

চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি একজন নামী নৃত্যশিল্পী ছিলেন।তার নাচের প্রতিভা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েন।সেই সুত্রধরে অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত সেতু চলচ্চিত্র দিয়ে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত দস্যু বনহুর (১৯৭৬)। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা। ১৯৭৮ সালে তিনি আজিজুর রহমান পরিচালিত অশিক্ষিত চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের বিপরীতে লাইলি চরিত্রে অভিনয় করেন। রাজ্জাকের বিপরীতে তিনি ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। রাজ্জাকের বিপরীতে তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল, অশিক্ষিত (১৯৭৮) জিঞ্জীর (১৯৭৯), আশার প্রদিপ (১৯৭৯), আশার আলো (১৯৭৯) আনারকলি (১৯৮০) সুখেথাকো (১৯৮১) সানাই (১৯৮২) বৌরানী (১৯৮২), বৌ কথা কও (১৯৮৪) অভিযান (১৯৮৫) বিধাতা (১৯৮৮) রাম রহিম জন (১৯৮৯)। এছাড়া আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ , মিঠুন চক্রবর্তী, (ভারত) ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল চৌধুরী , রুবেল, সুব্রত বড়ুয়া, মান্না, ফয়সাল, (পাকিস্তান), নাদীম, (পাকিস্তান) জাভেদ শেখ (পাকিস্তান), ইসমাইল শাহ,(পাকিস্তান), শীবশ্রেষ্ঠ, (নেপাল), ভূবন কেসি (নেপাল) সবার সাথে অভিনয় করেছেন। (১৯৮৯) সালে ভারতের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী সাথে (অর্জুন) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন। 


তিনি আন্তর্জাতিক ভাবেও ব্যাপক পরিচিত ও প্রশংসিত। তিনি বিভিন্ন দেশের চলচিত্রে অভিনয় করেছেন।
ভারত
পাকিস্তান
তুরস্ক
নেপাল
শ্রীলংকা

শুধু অভিনয়, সৌর্ন্দয্য ও নাচ দিয়ে নয় অনেক চলচিত্রের সফল প্রযোজকও ছিলেন এই বহুমখী প্রতিভার অধিকারিনী অঞ্জনা । তার প্রযোজিত ছবিগ্রলো ব্যাবসা সফল ছিলো।

তার প্রযোজিত ছবিগুলো হলো

নেপালী মেয়ে
হিম্মতওয়ালী
দেশ বিদেশ
বাপের বেটা
রঙিন প্রাণ সজনী
শশুরবাড়ী
লালু সর্দার
রাজা রানি বাদশা
ডান্ডা মেরে ঠান্ডা
বন্ধু যখন শত্রু

বর্তমানে রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের সক্রিয় সদস্য।অঞ্জনা এক সময় ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে জড়িত ছিলেন।তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী সাংস্কৃতিক লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

Thursday, July 9, 2020

জালি কাবাব তৈরির সহজ উপায় (The easiest way to make jali kabab)


make jali kabab

ঝটপট কিছু তৈরি করতে চাইলে আজই শিখে নিতে পারেন জালি কাবাব তৈরির রেসিপি। কাবাবপ্রেমীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এই জালি কাবাব। সুস্বাদু এই আইটেমটি আপনি নিজেই তৈরি করতে পারেন। রেসিপি জানা নেই?জেনে নিন জালি কাবাব তৌরী করা নিয়মঃ

উপকরণ : গরুর মাংসের কিমা এক এক কাপ, পেঁয়াজ কুচি তিন টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, পেঁপে বাটা এক চা চামচ, কাবাব মশলা আধা চা চামচ, গুরম মশলার গুঁড়া আধা চা চামচ, পাউরুটির কুচি দুই স্লাইস, টমেটো সস এক টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি এক চা চামচ (মিহিকুচি), ডিম ফেটানো দুইটা, লেবুর রস এক চা চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো।



প্রণালি : তেল ও ডিম বাদে অন্য সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিন। এবার এক ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। এবার গোল গোল কাবাবের আকার দিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। ডিম ফেটে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হলে কাবাব ডিমে ডুবিয়ে তেলে মাঝারি আঁচে ভেজে নিন। এবার একটি পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করুন গ্যাস্ট্রিক! (Get rid of gastric! by natural way)



কমবেশি সকলেই গ্যাস্ট্রিকের সাথে পুরিচিত। একেবারে ‘চিরতরে গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে শুধু খাদ্যাভাস নয়, দৈনন্দিন জীবনেও ছোট-খাটো কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ‘আমার গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা নেই’ এ কথা কেউ বলতে পারবেন। কেউ কেউ নিয়মিত, কেউ বা মাঝে মধ্যে এ সমস্যায় ভোগেন৷কেন এই সমস্যা হয় এবং খাওয়ার পর গ্যাস বা অম্বলকে কীভাবে এড়ানো যায় তার জন্য কার্যকরী কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। কোলনের ইন্টারনাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়োর্গেন স্ল্যুইটারের পরামর্শ অনুযায়ী

খাবার ৬ বেলায় খান: আপনি তিন বেলার খাবারকে ভাগ করে ছয়বার খান৷ তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত ঝাল, চর্বি, মসলা, মিষ্টি, অর্থাৎ যেসব খাবার হজম করতে সমস্যা হয়, সেগুলো খাবার তালিকা থেকে আস্তে আস্তে কমিয়ে দিয়ে হালকা খাবার খান৷ যেমন আপনার খাবারের তালিকায় থাকতে পারে মাছ, অল্প মাংস, সবজি, আলু ইত্যাদি৷ এছাড়া খালি পেটে ফলের রস বা টক জাতীয় খাবার একেবারেই নয়৷

খাবার উপভোগ করুন: পরিমাণে অল্প খাবার একটু ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খান৷ দুপুরে খাওয়ার পর পরই ঘুমানো উচিত নয়, কারণ এতে খাবার আবার পাকস্থলীতে ফিরে আসতে পারে৷ বরং হাতে সময় থাকলে খাবার পর একটু হাঁটা যেতে পারে, যা খাবার হজম এবং মলত্যাগে সহায়তা করে থাকে৷

বুঝে পান করুন: পিপাসা মেটাতে পানি এবং হালকা চা পান করতে পারেন৷ তবে দিনে কম পক্ষে দুই লিটার পানি পান করা উচিত, যাতে খাবার পাকস্থলীতে ভালো করে মিশে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে৷ কফি বা অ্যালকোহল যতটা সম্ভব কম পান করলেই ভালো৷ তবে শুধু খাবার নয়, জল পান করার দিকেও কিছুটা গুরুত্ব দিতে হবে৷

ঢিলেঢালা পোশাক: খুব টাইট জিন্স বা কোমরের বেল্ট বেশি টাইট করে বাঁধবেন না৷ কারণ টাইট বেল্ট পেটে চাপ দেয়, যার ফলে টক ঢেকুর উঠতে পারে৷ কাজেই একটু আরামদায়ক বা একটু ঢিলে কাপড়-চোপড় পরাই স্রেয়৷

নিয়মিত হাঁটাচলা করুন: হাঁটা-চলার কোনো বিকল্প নেই’ এ কথা কম-বেশি আমরা সকলেই জানি৷ অতিরিক্ত ওজনের কারণে পেটে চাপ পড়ে এবং হাঁটাচলা না করায় মলত্যাগ করার পথে বাঁধা সৃষ্টি হয়৷ তাছাড়া পেটে খাবার জমে থাকা মানেই অস্বস্তি বোধ এবং সে কারণে ওজন কমানো বা ওজন ঠিক রাখাও সম্ভব হয় না৷ ব্যায়াম এবং হাঁটাচলা করলে শরীর থাকে হালকা থাকে, অন্ত্রও থাকে সক্রিয় আর গ্যাসও হয় কম৷

বালিশটা একটু উঁচু করে ঘুমাবেন: গ্যাসট্রিক বা অম্বলের সমস্যা সাধারণত রাতে বেলায় হয়৷ তাই বালিশটা একটু উঁচু করে এবং শরীরের ওপরের দিকটাও একটু উঁচুতে তুলে ঘুমাবেন৷ এতে গ্যাসট্রিক অ্যাসিড ওপরে উঠতে পারে না৷ বাঁদিকে কাত হয়ে ঘুমালেও পেটে চাপ কম পড়ে৷ তাছাড়া রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে খেলে খাবার হজম করতে আর কোনো সমস্যা হয় না৷

আঁশযুক্ত খাবার: ডাক্তারি ভাষায় টক খাবার বলতে বোঝায় মুরগির মাংস, মাছ, ভাত, মসুরের ডাল ইত্যাদি৷ এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর এসিড হতে পারে৷ তাই আলু, রুটি, সিম, মটরশুটি, মুগের ডাল, কলাইয়ের ডাল ইত্যাদি খাবার ‘টক’ খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে অম্বলের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়৷ এছাড়া প্রতিদিন খাবারের তালিকায় সামান্য আলু সেদ্ধ বা আলুর তরকারি থাকতে পারে৷ আঁশযুক্ত খাবারের কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে৷

স্ট্রেসকে দূরে রাখুন: স্ট্রেস বা মানসিক চাপের সঙ্গে রয়েছে পেটের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক৷ তাই যে কোনো সংঘাত এড়িয়ে যতটা সম্ভব স্ট্রেস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন৷ হালকা খাবার, যথেষ্ট হাঁটাচলা, কিছুটা বিশ্রাম – এভাবেই পেট বা অন্ত্রকে রক্ষা করতে, গ্যাসট্রিককে প্রতিরোধ করতে পারেন৷

ধূমপান পরিহার করুন: স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ফলে পেটে অ্যাসিড প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় – সে কথা আমরা অনেকেই জানি৷ স্ট্রেসের কারণে অনেকে ধূমপান করেন৷ কিন্তু নিকোটিন অন্ত্রের খাবার মলদ্বারের রাস্তায় যে পথ দিয়ে যায়, সেটিকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে৷

এছাড়া স্ট্রেস হরমোন হজম শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় অসুবিধার কারণে পেটে অ্যাসিড উৎপাদন হয়, কাজেই আর ধূমপান নয়!

Sunday, July 5, 2020

বিশ্বের প্রথম সোনায় মোড়া হোটেল (World's First Gold Plated Hotel)

Golden Hotel


কোভিড ১৯ এর ভয়াবহতা বিশ্বের সবাই বেড়াতে যাওয়ার কথা বেমালুম ভুলতে বসেছেন প্রায়! তবে এই অবস্থা একসময় কেটে যাবে। পরিস্থিতি শুধু একবার স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা। ব্যস! তারপর আর আটকায় কে! তবে জেনে রাখুন এই করোনার কালবেলাতেই বিশ্বের প্রথম সোনায় মোড়া হোটেলের  উদ্ধোধেন হয়ে গেলো করোনা মুক্ত দেশ ভিয়েতনামে। হ্যাঁ! অবাক হওয়ার মতো ঘটনা হলেও সত্যিই তাই। সোনায় মোড়া টয়লেটের খবর শুনেছেন, মোবাইল গাড়ী, জেট বিমান, সোনার তৈরি আরো কত শত জিনিসের নাম শুনেছেন। এবার সোনায় মোড়া হোটেল। বিশ্বের সামর্থ্যবান ভ্রমন পাগল মানুষ কি ভাবছেন জানেন? ভাবছেন? কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? আর এই সঙ্কটজনক অবস্থার একটু উন্নতি হলেই ঢুঁ মারতে যাবেন অত্যাশ্চর্য সেই হোটেলে?

তাহলে বিশ্বের প্রথম সোনায় মোড়া পাঁচতারা হোটেল সম্পর্কে আরো কিছু আশ্চার্যজনক তথ্য জেনে নিন।

জানুন এই হোটেলটির নামঃ 

ভিয়েতনামের রাজধানী হানোইতে তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্বপ্রথম সোনার প্লেটে নির্মিত হোটেল। ২০০৯ সাল থেকে এই হোটেলের কাজ শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে, চলতি বছরের শেষ দিকেই পুরোপুরি নির্মিত হয়ে যাবে তাক লাগানো এই হোটেল।ধারনা করুন এটি কত তারা বিশিষ্ট হোটেল হতে পারে? ফাইভ স্টার, আপনার ধারনা ভুল। এটি একটি সিক্স স্টার অর্থাৎ ছয় তারকা বিশিষ্ট হোটেল।নাম রাখা হয়েছে 'ডলস হানোই গোল্ডেন লেক' (Dolce Hanoi Golden Lake)

এই হোটেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। হোটেলের ইন্টিরিয়ার এবং এক্সটিরিয়ার দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়েছে সবচেয়ে ভালোমানের ২৪ ক্যারেটের সোনা। তবে সোনার পাতে পুরো হোটেল নির্মিত হলে কী হবে, হোটেলের টয়লেট সিট থেকে শুরু করে লবি, ইনফিনিটি পুল, রুম এমনকী বাথরুমের শাওয়ারের মাথা, এমমকি ডেস্র রাখার হ্যাঙ্গারও সোনা দিয়েই তৈরি করা হয়েছে। হোটেলে কোনো গেস্ট কফি খেতে চাইলে, তাকে সোনার কাপেই কফি পরিবেশন করা হবে।খাবার প্লেটও মোড়ানো হবে সোনা দিয়ে।

ভিয়েতনামের বিভিন্ন সন্মান বয়ে আনা প্রসিদ্ধ হোয়া বিন গ্রুপই তৈরি করেছে 'ডলস হানোই গোল্ডেন লেক'। হোটেলটির সুনিপুনভাবে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সামলাচ্ছে আমেরিকান সংস্থা উইনধাম হোটেল গ্রুপ।

প্রশ্ন জাগতে পারে হোটেলটি কত উচ্চ ঃ আসলে হোটেলটি মাঝারীমানের উচ্চতা বিশিষ্ট যার উচ্চতা মাত্র ২৫ তলা।

এখানে এক রাতের জন্য কত টাকার গুনতে হবেঃ

সোনায় মোড়ানো হোটেলে থাকবেন না জানি কত টাকা ব্যয় করতে হবে । আসলে খরচ ততোটা বেশী নয়। এখানে রুম ভাড়া শুরু হয়েছে মাত্র ২৫০ ডলার থেকে। যা অনেক ৫ স্টার হোটেলের রুম ভাড়ার চেয়ে অনেক কম।

হোটেলের নির্মাতারা কী বলছেনঃ

শুধু ধনীরাই নয়। সাধারণ ছাপোষা মধ্যবিত্তরাও ঘুরে যাক এই হোটেলে। এমন কথাই বলছেন হোটেলের নির্মাতা থেকে শুরু করে খোদ হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়া তো বটেই এমনকী সশরীরেও মানুষ চেক ইন করুক এই হোটেলে। হোটেলের নির্মাতা সংস্থা হোয়া বিন গ্রুপের চেয়ারম্যান এনগ্যুয়েন হু ডুয়োং বলছেন, "আমাদের গ্রুপেরই একটি ফ্যাক্টরি রয়েছে যেখানে আমরা খুব সস্তায় নানা ধরনের সোনার জিনিসপত্র বানাই। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সোনায় মোড়া এই হোটেলে থাকার খরচ কম।" তবে করোনা আবহে যে, তাদের ব্যবসা রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে, সে কথাটাও স্বীকার করে নিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই সংকটজনক পরিস্থিতি একবার চলে গেলে আবার যে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াবেন, সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী 'ডলস হানোই গোল্ডেন লেক' (Dolce Hanoi Golden Lake) কর্তৃপক্ষ।

ঢাকাই বিরিয়ানি(Dhaka biryani)

dhaka briyani


উপকরণ : ১. খাসির মাংস ২ কেজি, টকদই ১ কাপ, মিষ্টিদই সিকি কাপ, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ, আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, শাহি জিরাবাটা ১ চা-চামচ, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৬টি, তেজপাতা ৪টি, আলুবোখারা ৮টি, শুকনা মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ, বেরেস্তা আধা কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রি গুঁড়া আধা চা-চামচ।

প্রণালি : মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার মাঝারি আঁচে কষিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাংস রান্না করুন। মাংস সেদ্ধ হয়ে তেলের ওপর এলে বেরেস্তা, জায়ফল-জয়ত্রি গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে নামান।

উপকরণ : ২. আধা কেজি আলু ঘি দিয়ে ভেজে আধা সেদ্ধ করে নিতে হবে।
উপকরণ : ৩. পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, পোস্তদানাবাটা ১ টেবিল-চামচ, বাদামবাটা ১ টেবিল-চামচ, টকদই আধা কাপ, মালাই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, বেরেস্তা ১ কাপ, কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ, পেস্তা বাদামকুচি ২ টেবিল-চামচ, দারচিনি ৬ টুকরা, এলাচ ৬টি, লবঙ্গ ৮টি, কেওড়ার জল পৌনে এক কাপ, কাঁচা মরিচ ৮-১০টি।

প্রণালি : চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন, কেওড়ার জলে জাফরান ভেজান। অন্য হাঁড়িতে ঘি গরম করে সব মসলা কষিয়ে চাল দিয়ে ভাজুন। এবার এতে ৫ কাপ গরম পানি দিয়ে লবণ, দই দিয়ে ঢেকে দিন। পানি কমে এলে দুধের সঙ্গে পোস্তদানা ও বাদামবাটা গুলিয়ে পোলাওয়ে দিয়ে অল্প জ্বালে ২০ মিনিট রাখুন। হাঁড়িতে অর্ধেক পোলাও উঠিয়ে দুই স্তরে মাংস, পোলাও, মালাই, আলু, কাঁচা মরিচ, বেরেস্তা, কিশমিশ, পেস্তা বাদাম, কেওড়ার জলে ভেজানো জাফরান দিয়ে সাজিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে ৩০ মিনিট দমে রাখুন। নামিয়ে পরিবেশন।

বাংলাদেশের ইতিহাস (History of Bangladesh)

history of Bangladesh



1947 সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতনের পর পশ্চিম পাকিস্তানের একটি প্রদেশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করা হয়।ঢাকা তার রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়।পূর্ব পাকিস্তানে পর্যাপ্ত সম্পদ এবং জনসংখ্যাগত ভারসাম্য থাকা সত্ত্বেও সমগ্র পাকিস্তানের সরকার এবং সামরিক বাহিনী মূলত পশ্চিম পাকিস্তানের  উচ্চতর শ্রেণীর দ্বারা প্রভাবিত ছিল।পাকিস্তান সরকার - পশ্চিমাঞ্চলের আধিপত্য বজায় রাখার স্বার্থে - সমগ্র পাকিস্তানের একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে উর্দু কে ঘোষণা করে যা পুর্ব পাকিস্তান তথা বাংলার জনগণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছিল।

২1 শে ফেব্রুয়ারি, 195২ সালে, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি ছাত্রজনতা মাতৃভাষার জন্য জেগে উঠল এবং পশ্চিমের  সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করলো। পুলিশ ঢাকায় ছাত্রদের প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালায় ফলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয় বেশ কয় জন্য ছাত্র।এই শহীদদের মহিমান্বিত আত্নত্যাগ ফলে এই দিনটি মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হয়। এখন শুধু বাংলাদেশই নয় বরং বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও এটি উদযাপিত হয়।

পশ্চিমে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে পশ্চিমা মতের অমিল পূর্ব পাকিস্তানে শক্তিশালী রাজনৈতিক ভয়েস হিসাবে আওয়ামী লীগের উত্থানে ঘটে।1971 সালের 7 মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে পূর্ব পাকিস্তানের সকল জনগণের প্রতি একটি নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম শুরু করার আহ্বান জানায়। পাকিস্তানি দখলদারিত্ব বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানায়।যে ভাষণ টি ইউনেস্কোর স্বক্রতি ভাল করেছ।

1971 সালের ২6 মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান এবং তার সামরিক কর্মকর্তারা বাংলাদেশের নির্দোষ বেসামরিক নাগরিকদের অপারেশন সার্চলাইট নামে রক্তাক্ত অপারেশ চালু করেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের দ্বারা গঠিত নির্বাসিত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে 17 এপ্রিল 1971 তারিখে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে, প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাজউদ্দিন আহমদ এবং ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম শপথ গ্রহণ করেন।

বেসামরিক যোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তান আর্মি থেকে বাংলাদেশীদের নিয়ে মুক্তি বাহিনী গঠিত হয়। জেনারেল এমএজি ওসমানী নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী 11 টি সেক্টরে সংগঠিত হয় এবং পাকিস্তান বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে একটি বিশাল গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করে। এই যুদ্ধের সময় সমগ্র বিশ্ব 1971 বাংলাদেশ গণহত্যা দেখেছিল, যেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তার সহযোগী ধর্মীয় মিলিশিয়ারা বাঙ্গালী বেসামরিক, বুদ্ধিজীবী, যুব, ছাত্র, রাজনীতিবিদ, কর্মী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক নির্যাতন নিপীড়ন চালায়।

অগণিত বাংলাদেশীর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী অবশেষে 1971 সালের 16 ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে। জেগে ওঠে লাল সবুজের বাংলাদেশ।

Friday, July 3, 2020

ভারত ৩৩.৪৪ বিলিয়ন ডলারে ৩৩ টি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান কিনছে (India to buy 33 Russian fighter jets)

India to buy 33 Russian fighter jets


ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Indian defense ministry) জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর লড়াইয়ের স্কোয়াডগুলোর সংখ্যা বাড়িয়ে তোলার জন্য ২১ টি মিগ -২৯ এবং ১২ টি এস -৩০ এমকেআই ক্রয় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পারমাণবিক-সশস্ত্র প্রতিবেশী চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ৩৩ টি রুশ যুদ্ধবিমান ক্রয় ও ৫৯ টি যুদ্ধবিমানকে আধুনিক ও উন্নত করার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স জানিয়েছে, ২১ টি মিগ -২৯ এবং ১২ টি এস -৩০ এমকেআই কেনার পাশাপাশি বিদ্যমান বিদ্যমান মিগ ২৯- কে উন্নীত করা হচ্ছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর লড়াইয়ের স্কোয়াড্রনগুলিকে "বৃদ্ধি" করা হচ্ছে।মন্ত্রক আরও বলেছে যে, তারা সামরিক বাহিনীর তিনটি শাখার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের স্থানীয় বিকাশ এবং সেনাবাহিনীর জন্য গোলাবারুদ এবং পদাতিক যুদ্ধ বাহিনীকে উন্নত করার অনুমোদন দিয়েছে।

"আমাদের সীমান্ত রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রয়োজন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'স্বনির্ভর ভারত' করার আহ্বানের কারণে" ভারতের প্রতিরক্ষা সামর্থ্যকে আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

এই ঘোষণাটি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে মোদির ফোনালপের পর ভারতের পক্ষ থেকে ঘোষনাটি দেওয়া হয়েছে।

রাশিয়া - ভারতের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত মাসে মস্কোতে  ৭৫ তম বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিতে মস্কো সফর করেছিলেন। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানিটির বিরুদ্ধে সোভিয়েতের বিজয় চিহ্নিত হওয়া উপলক্ষে পালিত হয়।

রাশিয়া (Russia) নয়াদিল্লির শীতল যুদ্ধের মিত্র ছিল এবং ভারতের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ।

2018 সালে, দুই দেশ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও 5.4 বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তিতে এস -400 রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম সরবরাহের জন্য একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

২০১৬ সালে ফ্রান্সের সাথে "উড়তে প্রস্তুত" শর্তে ফ্রান্সের সাথে স্বাক্ষরিত $ ৮.৭৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির অংশ হিসাবে অর্ডার করা ৩৬ টি রাফালে যুদ্ধবিমানের প্রথম ব্যাচের আগমনের অপেক্ষায় রয়েছে ভারত, তারা ফ্রান্সে তৈরি করবে।

নয়াদিল্লি আশা করছে যে এই মাসের শেষের দিকে চার থেকে ছয়টি রাফালে বিমান ভারতে পৌঁছাবে।

সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণের সাথে সাথে দক্ষিণ এশীয় এই দেশ বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক রাহুল বেদী বলেছিলেন, রাশিয়ান বিমানের অধিগ্রহণটি বিমান বাহিনীর নিষ্ক্রিয় হওয়া ফাইটার স্কোয়াড্রন সংখ্যা বাড়িয়ে তুলবে, যা অনুমোদিত মোট ৪২ থেকে ২৮ এ নেমে এসেছে। একটি স্কোয়াড্রনে ১৮ টি বিমান রয়েছে।

বেডি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, 12 টি এস -30 এমকেআইগুলি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের লাইসেন্সের আওতায় নির্মিত হবে।

টমেটো টর্টেলোনি স্যুপ (Tomatoey Tortelloni Soup)




প্রস্তুতি সময়ঃ 30 মিনিট

উপকরন সমুহঃ

হলুদ পেঁয়াজ - ১টি
মিষ্টি ইতালিয়ান পোকার সসেজ - 9 আউন্স 
শুকনো ওরেগানো - ১ চা চামুচ
চিকেন স্টক - ২ টি
শিশুর স্পিন - ৫ আউন্স
মরিচ বাটা - ১ চা চামুচ
বেসিল - ½ আউন্স
রসুন বাটা - ২ চা চামুচ
স্লাইস করা টমেটো - ২৭.৫২
পনির টর্চেলোনি (ওয়াইট, ডিম, দুধ) - ৯ আউন্স
পারমেশান পনির - ১/২ কাপ
অলিভ ওয়েল - ২ চা চামুচ
লবণ - পরিমান মত

পাত্রঃ একটি বড় পাত্র।

নির্দেশনাঃ

সকল উপাদান ও পাত্র ধুয়ে শুস্ক করে নিতে হবে। পেয়াজ পিশে নিতে হবে। বোতল বা জার থেকে সসেজ বের করে নিতে হবে।

মাঝারি তাপমাত্রায় বড় একটি পাত্রের মধ্যে অলিভ ওয়েল নিতে হবে এবং আস্তে আস্তে তাপ বাড়াতে হবে। মাংস, সসেজ যোগ করুন। মাংস ভেঙ্গে কুড় কুড়ে এবং বাদামি রং হওয়া পর আরো ৪-৫ মিনিট জাল দিন।পেঁয়াজ, রসুন গুঁড়া, এবং অরেগন পাত্র থেকে যোগ করুন। যতক্ষন নরম না হয় তাপ দিতে থাকুন।এভাবে ২-৩ মিনিট তাপে রাখুন। টমেটো যোগ করুন।এতে ৫কাপ পানি দিয়ে অল্প আঁচে সিদ্ধ করুন।নাড়তে থাকুন যেন নিচে লেগে না যায়।এর পর পরিমাণ মত লবন ও মরিচ দিয়ে দিন।
 
একবার স্যুপ গরম হলে, টর্টেনোনিতে হালকাভাবে মেশান।ঘন হওয়া পযর্ন্ত নাড়ুন ৮ মিনিট পযর্ন্ত।
মুরগির মাংস এবং মরিচগুঁড়ো ও লবন পাত্রের মধ্যে মিশিয়ে দিন।বিভিন্ন বাটিতে ঢেলে চিনি গুড়া মিশিয়ে পরিবেশ করুন।