Saturday, July 11, 2020

অঞ্জনা বাংলাদেশের চিরযৌবনা জনপ্রিয় অভিনেত্রী (Bangladeshi actress Onjona)

অঞ্জনা

বাংলাদেশের একসময়ের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা সুলতানা। লাস্যময়ী, চঞ্চলা এবং নাচে অত্যন্ত দক্ষ।শুধু নাচ নয় অভিনয়েও ছিলেন সমান পারদর্শী।তার উপর চেহারা ছিলো প্লাস পয়েন্ট।তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা তিন শতাধিকেরও বেশী।

চলচিত্রে অঞ্জনা নামধারী এই নায়িকা ১৯৬৫ সালের ২৭ জুন পুর্ব পাকিস্তানের ঢাকাতে জম্মগ্রহন করেন।তার দুই বোন এক ভাই। বিবাহিত অঞ্জনা বর্তমানে দুই সন্তানের জননী। তার ছেলে মনি নিশান আর মেয়ে ফারজানা নিশি।

তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি গান ও নাচেও দক্ষতার পরিচয় দেন।তিনি নাচের জন্য ভারতের বিখ্যাত নাচের গুরুর কাছে দীক্ষা নেয়।সারা জীবন তিনি তার এই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলছেন।

তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিক। ১৯৮১ সালে গাংচিল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমবার এবং ১৯৮৬ সালে পরিণীতা চলচ্চিত্রে ললিতা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।

চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি একজন নামী নৃত্যশিল্পী ছিলেন।তার নাচের প্রতিভা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েন।সেই সুত্রধরে অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত সেতু চলচ্চিত্র দিয়ে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত দস্যু বনহুর (১৯৭৬)। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা। ১৯৭৮ সালে তিনি আজিজুর রহমান পরিচালিত অশিক্ষিত চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের বিপরীতে লাইলি চরিত্রে অভিনয় করেন। রাজ্জাকের বিপরীতে তিনি ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। রাজ্জাকের বিপরীতে তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল, অশিক্ষিত (১৯৭৮) জিঞ্জীর (১৯৭৯), আশার প্রদিপ (১৯৭৯), আশার আলো (১৯৭৯) আনারকলি (১৯৮০) সুখেথাকো (১৯৮১) সানাই (১৯৮২) বৌরানী (১৯৮২), বৌ কথা কও (১৯৮৪) অভিযান (১৯৮৫) বিধাতা (১৯৮৮) রাম রহিম জন (১৯৮৯)। এছাড়া আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ , মিঠুন চক্রবর্তী, (ভারত) ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল চৌধুরী , রুবেল, সুব্রত বড়ুয়া, মান্না, ফয়সাল, (পাকিস্তান), নাদীম, (পাকিস্তান) জাভেদ শেখ (পাকিস্তান), ইসমাইল শাহ,(পাকিস্তান), শীবশ্রেষ্ঠ, (নেপাল), ভূবন কেসি (নেপাল) সবার সাথে অভিনয় করেছেন। (১৯৮৯) সালে ভারতের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী সাথে (অর্জুন) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন। 


তিনি আন্তর্জাতিক ভাবেও ব্যাপক পরিচিত ও প্রশংসিত। তিনি বিভিন্ন দেশের চলচিত্রে অভিনয় করেছেন।
ভারত
পাকিস্তান
তুরস্ক
নেপাল
শ্রীলংকা

শুধু অভিনয়, সৌর্ন্দয্য ও নাচ দিয়ে নয় অনেক চলচিত্রের সফল প্রযোজকও ছিলেন এই বহুমখী প্রতিভার অধিকারিনী অঞ্জনা । তার প্রযোজিত ছবিগ্রলো ব্যাবসা সফল ছিলো।

তার প্রযোজিত ছবিগুলো হলো

নেপালী মেয়ে
হিম্মতওয়ালী
দেশ বিদেশ
বাপের বেটা
রঙিন প্রাণ সজনী
শশুরবাড়ী
লালু সর্দার
রাজা রানি বাদশা
ডান্ডা মেরে ঠান্ডা
বন্ধু যখন শত্রু

বর্তমানে রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের সক্রিয় সদস্য।অঞ্জনা এক সময় ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে জড়িত ছিলেন।তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী সাংস্কৃতিক লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

0 comments:

Post a Comment