This is default featured slide 1 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
This is default featured slide 2 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
This is default featured slide 3 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
This is default featured slide 4 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
This is default featured slide 5 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.
Saturday, July 18, 2020
বলিউডের ক্ষমতাধর সেরা দম্পতি (top powerful couple in Bollywood)
Sunday, July 12, 2020
বাংলাদেশী জনপ্রিয় খাবারগুলি যা বিদেশী টুরিস্টদের খাওয়া উচিত (popular food in Bangladesh)
Saturday, July 11, 2020
অঞ্জনা বাংলাদেশের চিরযৌবনা জনপ্রিয় অভিনেত্রী (Bangladeshi actress Onjona)
Thursday, July 9, 2020
জালি কাবাব তৈরির সহজ উপায় (The easiest way to make jali kabab)
ঝটপট কিছু তৈরি করতে চাইলে আজই শিখে নিতে পারেন জালি কাবাব তৈরির রেসিপি। কাবাবপ্রেমীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এই জালি কাবাব। সুস্বাদু এই আইটেমটি আপনি নিজেই তৈরি করতে পারেন। রেসিপি জানা নেই?জেনে নিন জালি কাবাব তৌরী করা নিয়মঃ
উপকরণ : গরুর মাংসের কিমা এক এক কাপ, পেঁয়াজ কুচি তিন টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, পেঁপে বাটা এক চা চামচ, কাবাব মশলা আধা চা চামচ, গুরম মশলার গুঁড়া আধা চা চামচ, পাউরুটির কুচি দুই স্লাইস, টমেটো সস এক টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি এক চা চামচ (মিহিকুচি), ডিম ফেটানো দুইটা, লেবুর রস এক চা চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি : তেল ও ডিম বাদে অন্য সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিন। এবার এক ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। এবার গোল গোল কাবাবের আকার দিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। ডিম ফেটে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হলে কাবাব ডিমে ডুবিয়ে তেলে মাঝারি আঁচে ভেজে নিন। এবার একটি পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করুন গ্যাস্ট্রিক! (Get rid of gastric! by natural way)
কমবেশি সকলেই গ্যাস্ট্রিকের সাথে পুরিচিত। একেবারে ‘চিরতরে গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে শুধু খাদ্যাভাস নয়, দৈনন্দিন জীবনেও ছোট-খাটো কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ‘আমার গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা নেই’ এ কথা কেউ বলতে পারবেন। কেউ কেউ নিয়মিত, কেউ বা মাঝে মধ্যে এ সমস্যায় ভোগেন৷কেন এই সমস্যা হয় এবং খাওয়ার পর গ্যাস বা অম্বলকে কীভাবে এড়ানো যায় তার জন্য কার্যকরী কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। কোলনের ইন্টারনাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়োর্গেন স্ল্যুইটারের পরামর্শ অনুযায়ী
খাবার ৬ বেলায় খান: আপনি তিন বেলার খাবারকে ভাগ করে ছয়বার খান৷ তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত ঝাল, চর্বি, মসলা, মিষ্টি, অর্থাৎ যেসব খাবার হজম করতে সমস্যা হয়, সেগুলো খাবার তালিকা থেকে আস্তে আস্তে কমিয়ে দিয়ে হালকা খাবার খান৷ যেমন আপনার খাবারের তালিকায় থাকতে পারে মাছ, অল্প মাংস, সবজি, আলু ইত্যাদি৷ এছাড়া খালি পেটে ফলের রস বা টক জাতীয় খাবার একেবারেই নয়৷
খাবার উপভোগ করুন: পরিমাণে অল্প খাবার একটু ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খান৷ দুপুরে খাওয়ার পর পরই ঘুমানো উচিত নয়, কারণ এতে খাবার আবার পাকস্থলীতে ফিরে আসতে পারে৷ বরং হাতে সময় থাকলে খাবার পর একটু হাঁটা যেতে পারে, যা খাবার হজম এবং মলত্যাগে সহায়তা করে থাকে৷
বুঝে পান করুন: পিপাসা মেটাতে পানি এবং হালকা চা পান করতে পারেন৷ তবে দিনে কম পক্ষে দুই লিটার পানি পান করা উচিত, যাতে খাবার পাকস্থলীতে ভালো করে মিশে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে৷ কফি বা অ্যালকোহল যতটা সম্ভব কম পান করলেই ভালো৷ তবে শুধু খাবার নয়, জল পান করার দিকেও কিছুটা গুরুত্ব দিতে হবে৷
ঢিলেঢালা পোশাক: খুব টাইট জিন্স বা কোমরের বেল্ট বেশি টাইট করে বাঁধবেন না৷ কারণ টাইট বেল্ট পেটে চাপ দেয়, যার ফলে টক ঢেকুর উঠতে পারে৷ কাজেই একটু আরামদায়ক বা একটু ঢিলে কাপড়-চোপড় পরাই স্রেয়৷
নিয়মিত হাঁটাচলা করুন: হাঁটা-চলার কোনো বিকল্প নেই’ এ কথা কম-বেশি আমরা সকলেই জানি৷ অতিরিক্ত ওজনের কারণে পেটে চাপ পড়ে এবং হাঁটাচলা না করায় মলত্যাগ করার পথে বাঁধা সৃষ্টি হয়৷ তাছাড়া পেটে খাবার জমে থাকা মানেই অস্বস্তি বোধ এবং সে কারণে ওজন কমানো বা ওজন ঠিক রাখাও সম্ভব হয় না৷ ব্যায়াম এবং হাঁটাচলা করলে শরীর থাকে হালকা থাকে, অন্ত্রও থাকে সক্রিয় আর গ্যাসও হয় কম৷
বালিশটা একটু উঁচু করে ঘুমাবেন: গ্যাসট্রিক বা অম্বলের সমস্যা সাধারণত রাতে বেলায় হয়৷ তাই বালিশটা একটু উঁচু করে এবং শরীরের ওপরের দিকটাও একটু উঁচুতে তুলে ঘুমাবেন৷ এতে গ্যাসট্রিক অ্যাসিড ওপরে উঠতে পারে না৷ বাঁদিকে কাত হয়ে ঘুমালেও পেটে চাপ কম পড়ে৷ তাছাড়া রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে খেলে খাবার হজম করতে আর কোনো সমস্যা হয় না৷
আঁশযুক্ত খাবার: ডাক্তারি ভাষায় টক খাবার বলতে বোঝায় মুরগির মাংস, মাছ, ভাত, মসুরের ডাল ইত্যাদি৷ এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর এসিড হতে পারে৷ তাই আলু, রুটি, সিম, মটরশুটি, মুগের ডাল, কলাইয়ের ডাল ইত্যাদি খাবার ‘টক’ খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে অম্বলের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়৷ এছাড়া প্রতিদিন খাবারের তালিকায় সামান্য আলু সেদ্ধ বা আলুর তরকারি থাকতে পারে৷ আঁশযুক্ত খাবারের কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে৷
স্ট্রেসকে দূরে রাখুন: স্ট্রেস বা মানসিক চাপের সঙ্গে রয়েছে পেটের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক৷ তাই যে কোনো সংঘাত এড়িয়ে যতটা সম্ভব স্ট্রেস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন৷ হালকা খাবার, যথেষ্ট হাঁটাচলা, কিছুটা বিশ্রাম – এভাবেই পেট বা অন্ত্রকে রক্ষা করতে, গ্যাসট্রিককে প্রতিরোধ করতে পারেন৷
ধূমপান পরিহার করুন: স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ফলে পেটে অ্যাসিড প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় – সে কথা আমরা অনেকেই জানি৷ স্ট্রেসের কারণে অনেকে ধূমপান করেন৷ কিন্তু নিকোটিন অন্ত্রের খাবার মলদ্বারের রাস্তায় যে পথ দিয়ে যায়, সেটিকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে৷
এছাড়া স্ট্রেস হরমোন হজম শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় অসুবিধার কারণে পেটে অ্যাসিড উৎপাদন হয়, কাজেই আর ধূমপান নয়!
Sunday, July 5, 2020
বিশ্বের প্রথম সোনায় মোড়া হোটেল (World's First Gold Plated Hotel)
ঢাকাই বিরিয়ানি(Dhaka biryani)
উপকরণ : ১. খাসির মাংস ২ কেজি, টকদই ১ কাপ, মিষ্টিদই সিকি কাপ, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ, আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, শাহি জিরাবাটা ১ চা-চামচ, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৬টি, তেজপাতা ৪টি, আলুবোখারা ৮টি, শুকনা মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ, বেরেস্তা আধা কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রি গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি : মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার মাঝারি আঁচে কষিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাংস রান্না করুন। মাংস সেদ্ধ হয়ে তেলের ওপর এলে বেরেস্তা, জায়ফল-জয়ত্রি গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে নামান।
উপকরণ : ২. আধা কেজি আলু ঘি দিয়ে ভেজে আধা সেদ্ধ করে নিতে হবে।
উপকরণ : ৩. পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, পোস্তদানাবাটা ১ টেবিল-চামচ, বাদামবাটা ১ টেবিল-চামচ, টকদই আধা কাপ, মালাই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, বেরেস্তা ১ কাপ, কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ, পেস্তা বাদামকুচি ২ টেবিল-চামচ, দারচিনি ৬ টুকরা, এলাচ ৬টি, লবঙ্গ ৮টি, কেওড়ার জল পৌনে এক কাপ, কাঁচা মরিচ ৮-১০টি।
প্রণালি : চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন, কেওড়ার জলে জাফরান ভেজান। অন্য হাঁড়িতে ঘি গরম করে সব মসলা কষিয়ে চাল দিয়ে ভাজুন। এবার এতে ৫ কাপ গরম পানি দিয়ে লবণ, দই দিয়ে ঢেকে দিন। পানি কমে এলে দুধের সঙ্গে পোস্তদানা ও বাদামবাটা গুলিয়ে পোলাওয়ে দিয়ে অল্প জ্বালে ২০ মিনিট রাখুন। হাঁড়িতে অর্ধেক পোলাও উঠিয়ে দুই স্তরে মাংস, পোলাও, মালাই, আলু, কাঁচা মরিচ, বেরেস্তা, কিশমিশ, পেস্তা বাদাম, কেওড়ার জলে ভেজানো জাফরান দিয়ে সাজিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে ৩০ মিনিট দমে রাখুন। নামিয়ে পরিবেশন।
বাংলাদেশের ইতিহাস (History of Bangladesh)
1947 সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতনের পর পশ্চিম পাকিস্তানের একটি প্রদেশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করা হয়।ঢাকা তার রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়।পূর্ব পাকিস্তানে পর্যাপ্ত সম্পদ এবং জনসংখ্যাগত ভারসাম্য থাকা সত্ত্বেও সমগ্র পাকিস্তানের সরকার এবং সামরিক বাহিনী মূলত পশ্চিম পাকিস্তানের উচ্চতর শ্রেণীর দ্বারা প্রভাবিত ছিল।পাকিস্তান সরকার - পশ্চিমাঞ্চলের আধিপত্য বজায় রাখার স্বার্থে - সমগ্র পাকিস্তানের একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে উর্দু কে ঘোষণা করে যা পুর্ব পাকিস্তান তথা বাংলার জনগণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছিল।
২1 শে ফেব্রুয়ারি, 195২ সালে, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি ছাত্রজনতা মাতৃভাষার জন্য জেগে উঠল এবং পশ্চিমের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করলো। পুলিশ ঢাকায় ছাত্রদের প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালায় ফলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয় বেশ কয় জন্য ছাত্র।এই শহীদদের মহিমান্বিত আত্নত্যাগ ফলে এই দিনটি মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হয়। এখন শুধু বাংলাদেশই নয় বরং বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও এটি উদযাপিত হয়।
পশ্চিমে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে পশ্চিমা মতের অমিল পূর্ব পাকিস্তানে শক্তিশালী রাজনৈতিক ভয়েস হিসাবে আওয়ামী লীগের উত্থানে ঘটে।1971 সালের 7 মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে পূর্ব পাকিস্তানের সকল জনগণের প্রতি একটি নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম শুরু করার আহ্বান জানায়। পাকিস্তানি দখলদারিত্ব বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানায়।যে ভাষণ টি ইউনেস্কোর স্বক্রতি ভাল করেছ।
1971 সালের ২6 মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান এবং তার সামরিক কর্মকর্তারা বাংলাদেশের নির্দোষ বেসামরিক নাগরিকদের অপারেশন সার্চলাইট নামে রক্তাক্ত অপারেশ চালু করেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের দ্বারা গঠিত নির্বাসিত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে 17 এপ্রিল 1971 তারিখে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে, প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাজউদ্দিন আহমদ এবং ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম শপথ গ্রহণ করেন।
বেসামরিক যোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তান আর্মি থেকে বাংলাদেশীদের নিয়ে মুক্তি বাহিনী গঠিত হয়। জেনারেল এমএজি ওসমানী নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী 11 টি সেক্টরে সংগঠিত হয় এবং পাকিস্তান বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে একটি বিশাল গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করে। এই যুদ্ধের সময় সমগ্র বিশ্ব 1971 বাংলাদেশ গণহত্যা দেখেছিল, যেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তার সহযোগী ধর্মীয় মিলিশিয়ারা বাঙ্গালী বেসামরিক, বুদ্ধিজীবী, যুব, ছাত্র, রাজনীতিবিদ, কর্মী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক নির্যাতন নিপীড়ন চালায়।
অগণিত বাংলাদেশীর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী অবশেষে 1971 সালের 16 ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে। জেগে ওঠে লাল সবুজের বাংলাদেশ।
Friday, July 3, 2020
ভারত ৩৩.৪৪ বিলিয়ন ডলারে ৩৩ টি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান কিনছে (India to buy 33 Russian fighter jets)
টমেটো টর্টেলোনি স্যুপ (Tomatoey Tortelloni Soup)
প্রস্তুতি সময়ঃ 30 মিনিট
উপকরন সমুহঃ
মিষ্টি ইতালিয়ান পোকার সসেজ - 9 আউন্স
শুকনো ওরেগানো - ১ চা চামুচ
চিকেন স্টক - ২ টি
শিশুর স্পিন - ৫ আউন্স
মরিচ বাটা - ১ চা চামুচ
বেসিল - ½ আউন্স
রসুন বাটা - ২ চা চামুচ
স্লাইস করা টমেটো - ২৭.৫২
পনির টর্চেলোনি (ওয়াইট, ডিম, দুধ) - ৯ আউন্স
পারমেশান পনির - ১/২ কাপ
অলিভ ওয়েল - ২ চা চামুচ
লবণ - পরিমান মত
পাত্রঃ একটি বড় পাত্র।
নির্দেশনাঃ
সকল উপাদান ও পাত্র ধুয়ে শুস্ক করে নিতে হবে। পেয়াজ পিশে নিতে হবে। বোতল বা জার থেকে সসেজ বের করে নিতে হবে।
মাঝারি তাপমাত্রায় বড় একটি পাত্রের মধ্যে অলিভ ওয়েল নিতে হবে এবং আস্তে আস্তে তাপ বাড়াতে হবে। মাংস, সসেজ যোগ করুন। মাংস ভেঙ্গে কুড় কুড়ে এবং বাদামি রং হওয়া পর আরো ৪-৫ মিনিট জাল দিন।পেঁয়াজ, রসুন গুঁড়া, এবং অরেগন পাত্র থেকে যোগ করুন। যতক্ষন নরম না হয় তাপ দিতে থাকুন।এভাবে ২-৩ মিনিট তাপে রাখুন। টমেটো যোগ করুন।এতে ৫কাপ পানি দিয়ে অল্প আঁচে সিদ্ধ করুন।নাড়তে থাকুন যেন নিচে লেগে না যায়।এর পর পরিমাণ মত লবন ও মরিচ দিয়ে দিন।
একবার স্যুপ গরম হলে, টর্টেনোনিতে হালকাভাবে মেশান।ঘন হওয়া পযর্ন্ত নাড়ুন ৮ মিনিট পযর্ন্ত।
মুরগির মাংস এবং মরিচগুঁড়ো ও লবন পাত্রের মধ্যে মিশিয়ে দিন।বিভিন্ন বাটিতে ঢেলে চিনি গুড়া মিশিয়ে পরিবেশ করুন।
যৌবন ধরে রাখার সিক্রেট টিপস (Youth Retention Secret Tips)
১। যৌবন ধরে রাখার মূল মন্ত্রই হল সুস্থ, নির্মেদ শরীর৷ আর এর জন্য হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা করে হাঁটুন। মোবাইলে গান শুনতে শুনতে হাঁটা নয়, ঘড়ি ধরে একেবারে ব্রিস্ক ওয়াকিং। ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে, হার্ট ভালো থাকবে৷ নিয়ন্ত্রণে থাকবে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিজ, কোলেস্টেরল, প্রেশারের মতো সমস্যা৷ ফলে আপনাকেও লাগবে ঝরঝরে।
২। প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তত একটা করে মরসুমী ফল রাখুন৷ তবে রোজ যদি আম, কলা, আনারস, কাঁঠাল খেতে থাকেন, তাহলে ওজন বেড়ে আপনাকে বয়সের থেকে আরও দশবছর বেশি বয়স্ক লাগবে৷ তাছাড়া ফল পুষ্টিগুণেও ভরপুর। ফলে থাকা ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরে পুষ্টি যোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর আপনাকে রাখে তরতাজা।
৩। দৈনন্দিন ডায়েট থেকে সবুজ শাকসব্জি বাদ দিলে কিন্তু চলবে না৷সবজি খেলে মানসিক উন্নতিসহ শারীরিক উন্নতিও হয়। মানুষ আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।মোটের উপর সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৪। ওজন কমাতে গিয়ে বা স্রেফ ইচ্ছে করছে না বলে ব্রেকফাস্ট কখনওই বাদ দেবেন না৷তাহলে কিন্তু শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেমের গোলমাল হয়ে বেশি করে খিদে পেতে থাকে৷ আর বারে বারে খেতে খেতে আখেড়ে আমরা নিজের ক্ষতিই ডেকে আনি।
৫। যৌবন ধরে রাখতে হলে মিষ্টি জাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। চকোলেট, পেস্ট্রি, ব্রাউনি, আইসক্রেমর মতো খাবারে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট থাকে যা শরীরে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই এগুলি যতটা সম্ভব কম খান৷ তা বলে ডায়েট থেকে চিনি পুরোপুরি ছেঁটে ফেলবেন না। অল্প হলেও নিয়মিত খান৷ তাহলে শরীরের এনার্জি লেভেল ঠিক থাকবে। শরীর-মন জুড়ে স্বতস্ফূর্ততার অনুভূতি থাকবে।চেষ্টা করুন প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোতে৷ সঙ্গে হাল্কা ব্যায়ামের অভ্যেস রাখতে পারলে উপকৃত হবেন আপনিই।
Thursday, July 2, 2020
তারণ্যের স্বপ্ন পুরনের হাতছানি কুনমিং বিশ্ববিদ্যালয় (Kunming University of Chaina)
দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের কুনমিং নগরীর কাছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ঘেরা অবস্থানে ১৯২৩ সালে কুনমিং বিশ্ববিদ্যালয় (Kunming University) প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি এ অঞ্চলের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষার্থীদেরও এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে। এসব বিদেশী শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার। কুনমিং থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব কম। মাত্র দুই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুনমিংয়ে যাওয়া যায়। কুনমিং ইউনান প্রদেশের রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘তারা এখানে মানসম্পন্ন শিক্ষা পাচ্ছেন এবং এখানে টিউশন ফি, থাকার খরচ ও আনুষঙ্গিক খরচ নিজ নিজ দেশের তুলনায় কম।’ ঢাকা থেকে যাওয়া এক ছাত্র বলেন, ‘এখানে শিক্ষার্থীদের পাঠকক্ষে উপস্থিতি নীতি কঠোরভাবে মানা হয়। ইংরেজী ভাষায় পড়ালেখার সুযোগ আছে বলে অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী এখানে পড়ালেখা করতে পারবে।’
যে বিষয়গুলোতে ভর্তি হওয়া যাবে?
ইঞ্জিনিয়ারিং
কম্পিউটার সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিবিএম
হোটেল ম্যানেজমেন্ট
যে সকল সুবিধাদি পাওয়া যাবে:
৪ বছরের কোর্স এ কোন Tuition Fees দিতে হবে না। পুরোটাই Scholarship
হোস্টেল সুবিধা।
পড়াশুনা শেষ এ চাকুরীর সুযোগ ।
ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশুনা করার সুযোগ।
বাংলাদেশীদের জন্য ১০০% পর্যন্ত শিক্ষা বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ।
পড়াশুনার পাশাপাশি ব্যবসা করার সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা:
SSC & HSC পাস থাকলেই ভর্তি হতে পারবেন।
Minimum GPA SSC & HSC দুটো মিলে (4+4= 8) থাকলে Scholarship পাবেন।
কোন বিষয়ে B গ্রেড নিচে থাকা যাবে না।
শুধু ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ সালে HSC পাস করেছে, তারাই Apply করতে পারবে।
খরচ কেমন হতে পারে?
হোস্টেল ফি এবং অন্যান্য খরচ সহ প্রতি বছর বাংলাদেশী ১ লক্ষ টাকা খরচ যা বাংলাদেশে থাকা খাওয়ার থেকেও কম।
Tuesday, June 30, 2020
আলুর দোপিঁয়াজা (Potato dopi yoja)
উপকরণ
আলু ৫০০গ্রাম। পেঁয়াজ ৩০০ গ্রাম। তেল ৩ টেবিল-চামচ। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। গরম মসলাগুঁড়া আধা চা-চামচ। হিং এক চিমটি। আদাবাটা বা গুঁড়া আধা চা-চামচ। রসুনবাটা বা কাটা আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। আমচুর অথবা লেবুর রস আধা চা-চামচ। টমেটো মাঝারি ১টি। পেঁয়াজপাতা নিজের পছন্দ মতো। চিনি আধা চা-চামচ।
পদ্ধতি
প্রথমে আলু ভালোভাবে ছিলে কিউব করে কেটে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজ কিউব করে কেটে প্যানে তেল দিয়ে বাদামি করে ভেজে আলু দিন। টমেটো, পেঁয়াজপাতা, আমচুর অথবা লেবুর রস এবং চিনি বাদে সব মসলা দিয়ে আর অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে ছয় মিনিট রান্না করুন।
আলু গলে আসলে টমেটো, পেঁয়াজপাতা, আমচুর অথবা লেবুর রস এবং চিনি দিয়ে মিনিট দুএক নেড়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
সাদাভাত, লুচি, রুটি এবং পরোটা দিয়ে খেতে দারুন।
জ্যাকলিনের হয়ে সাফাই গাইলেন সালমান (Salman Khan saves for Jacqulin)
'বাঘি ২' ছবিতে একটি 'আইটেম গান' হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত 'তেজাব' ছবির সেই বিখ্যাত ও প্রবাদতুল্য গান 'এক দো তিন'। তবে, এ ব্যাপারে একদম খুশি নন মূল ছবির অনেকেই, বিশেষ করে পরিচালক এন চন্দ্র। 'এক দো তিন'-এর নতুন এই 'জ্যাকলিন ফানার্ন্দেজ ভার্সন'কে সম্পূর্ণ 'অনুভূতিহীন' বলে আখ্যা দিলেন এই দুঁদে পরিচালক।
তবে, এমন পরিস্থিতিতে জ্যাকলিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তাঁর 'রেস ৩' কো-স্টার বলিউড 'ভাইজান' সালমান খান। গানটির কিছু অংশ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ করে সালমান লেখেন, গানটি ভালো লেগেছে। যদিও মাধুরীর সাথে মেলানো সম্ভব নয়, তবুও গানটিতে কোরিওগ্রাফার সরোজ খানের লিজেন্ডারি মুভমেন্টের প্রতি যথেষ্ট সুবিচার করার চেষ্টা করেছেন জ্যাকলিন।
যদিও এ কথা মানতে একেবারেই নারাজ 'তেজাব' পরিচালক এন চন্দ্র। এ-প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কাজটি আমার ঠিক মনে হয়নি। এটিকে আমি 'ক্রিয়েটিভ ভ্যানডালিজম' বলতে চাই। এবং আমি চাই এ বিষয়ে একটি কঠিন আইন থাকুক।
বার্তা সংস্থা আইএএনএস-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে এন চন্দ্র বলেন, তাঁরা 'এক দো তিন'-এর এ হাল করবেন তা আমি ভাবতেও পারিনি। মাধুরীর জায়গায় আমি জ্যাকলিনকে ভাবতেও পারি না। এটা অসম্ভব। এটা অনেকটা সেন্ট্রাল পার্ককে বোটানিক্যাল গার্ডেনে পরিণত করার মতো বিষয়। মাধুরীর সেই নাচে ছিল মাধুর্য আর সরলতায় পূর্ণ- ওটা আপনি এখন কোথায় পাবেন!
তবে, এ-প্রসঙ্গে মুখ খুলতে একেবারেই নারাজ সেলিব্রিটি নারী কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। তবে, একটি তথ্য জানিয়ে দিই, মাধুরীর মূল গানে যাঁরা তাঁর সাথে নেচেছিলেন, তাঁদেরই একজন গণেশ আচার্য। তিনিই 'এক দো তিন'-এর জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ভার্সন-এর কোরিওগ্রাফ করেছেন।
আগামী ৩০ মার্চ মুক্তি পাবে 'বাঘি ২'। তার আগে আসুন আমরা 'এক দো তিন'-এর ১ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের রিডাক্সটা দেখে নিই।
সূত্র : এনডিটিভি
Saturday, June 27, 2020
পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি খুলছে চীন, কৌশলগত চাপে ভারত (China opens military bases in Pakistan, India under strategic pressure)
সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ইসলামাবাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও শুরু করে দিয়েছে বেইজিং। ভারতের ওপর কৌশলগত চাপ বাড়াতে চীন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে ইরানের চবাহার বন্দরের অদূরে জিয়ানিতে চীন সামরিক ঘাঁটি করবে। তাৎপর্য পূর্ণভাবে চবাহার বন্দর পুননির্মাণে ইরানকে সাহায্য করছে ভারত।এমনকি ইরানের চাবাহার থেকে আফগানিস্তানের হাজিগক পর্যন্ত যে করিডর নির্মাণের কাজ চলছে তার প্রধান বিনিযোগকারী দেশ ভারত। এই করিডর নির্মাণের কাজ শেষ হলে আফগানিস্তান হয়ে ইরান পর্যন্ত ভারতীয় পণ্য রপ্তানি আরও মসৃণভাবে করা যাবে।
তাছাড়া ভৌগলিকগত দিক থেকেও এই এলাকার গুরুত্ব অনেক। একদিকে রয়েছে গালফ অফ ওমান সীমান্ত অন্যদিকে আছে বালোচিস্তান প্রদেশ।ফলে জিয়ানিতে সামরিক ঘাঁটি হলে গোটা চত্বরে নজরদারি চালাতে পারবে চীন। একই সঙ্গে চবাহার থেকে হাজিগক পর্যন্ত করিডরও চীনের নজরদারির আওতায় চলে আসবে।
এ ব্যাপারে এক দক্ষিণ এশীয় বিশেষজ্ঞের মতে, ‘বেজিং এবং ইসলামাবাদ উভয়েরই যৌথভাবে পাকিস্তানের মাটিতে নৌ এবং বিমানসেনা ঘাঁটি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে এমন কোনো পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই।’
উল্লেখ্য, দেশের বাইরে এর আগে আফ্রিকার জিবুতিতে নৌসেনাঘাঁটি খুলেছে চীন।
যেভাবে ভূমিকম্প প্রতিরোধ করবে বোতলের তৈরি বাড়ি (How to prevent earthquake bottles made home)
কি অবাক হচ্ছেন তাইনা ? ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম শুনলেই আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। কারণ বিপুল পরিমাণ প্রাণঘাতী দুর্যোগের নাম ভূমিকম্প। কোনো রকম পূর্বাভাস জানার উপায় নেই। হঠাৎ ঘটে যায় এ দুর্যোগ। ধ্বংস হয় জনপথ। প্রাণ হারায় মানুষ।
ভূমিকম্প প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকে।তবে এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই নাইজেরিয়া।তাই ভূমিকম্প প্রতিরোধে বোতলের বাড়ি বানাচ্ছেন তারা।
এই বোতলের বাড়িতে তেমন খরচ নেই বললে চলে। এছাড়া প্লাস্টিক দূষণ ঠেকাতে, বেকারত্ব দূর ও ভূমিকম্প প্রতিরোধে নতুন এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে নাইজেরিয়া৷
জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সাত বছর আগে নাইজেরিয়ার কিছু নির্মাণশ্রমিককে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। তাদের অনেকেই এখন পরিণত হয়েছেন দক্ষ প্রশিক্ষকে৷ এখন বোতল বাড়ি নির্মাণকাজে আগ্রহীদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে৷
আসুন দেখে নেয়া যাক বোতল দিয়ে কীভাবে ভূমিকম্প প্রতিরোধে বাড়ি তৈরি করে নাইজেরিয়ার অধিবাসীরা।
নাইজেরিয়ার বোতল বাড়িঃ
প্লাস্টিক দূষণ ঠেকাতে ও বেকারত্ব দূর করতে নতুন এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে নাইজেরিয়া৷ প্রকল্পের আওতায় প্লাস্টিক বোতল এবং বালি দিয়ে বানানো হচ্ছে বাসাবাড়ি৷ এই বাড়িগুলো পরিবেশসম্মত এবং দীর্ঘস্থায়ী৷
প্রশিক্ষণ, দক্ষতাঃ
ইটের বাড়ি বানানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সিইবা৷ কিন্তু গত সাত বছর ধরে তিনি ইটের বদলে বাড়ি বানাচ্ছেন বোতল দিয়ে৷
ভিন্ন ধরনের রিসাইক্লিংঃ
প্রায় ১৯ কোটি মানুষের দেশটিতে প্লাস্টিক একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে৷ প্লাস্টিক বোতল মাঝেমধ্যেই দেশটির শহরগুলোর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করে৷ বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও বাজে রূপ নেয়৷ বছরে উৎপাদিত ৩ দশমিক ২ টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশটিতে নেই তেমন কার্যকর ব্যবস্থা৷ ফলে রিসাইক্লিং যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে৷
প্রকল্পের উদ্যোক্তাঃ
নির্মাণ প্রকৌশলী ইয়াহিয়া আহমেদ জার্মানিতে ২৭ বছর ধরে বাস করেছেন, চাকরিও করেছেন৷ নিজের দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশদূষণ নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকায় বানানো এ ধরনের কিছু বাড়ি থেকেই এই ধারণা পান আহমেদ৷ তিনি বলেন, জার্মানিতে এক বন্ধু আমাকে এ বুদ্ধি দেয়৷ ভাবলাম, নাইজেরিয়াতে এটা কাজে লাগানো যায়৷
বেকারত্ব নিরসনঃ
নাইজেরিয়ার ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের এক চতুর্থাংশেরই কোনো নিয়মিত আয় নেই৷ অনেককেই শেষ পর্যন্ত জীবনধারণে বেছে নিতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি বা চুরি৷ আহমেদ বলছেন, এদের অনেকে রাজনীতির শিকারে পরিণত হয়, কেউ জড়িয়ে পড়ে মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে৷ এ জন্য তাদের বিকল্প উপায় দিতে হবে৷
সাধারণ কিন্তু কার্যকরঃ
নির্মাণ প্রক্রিয়া বিস্ময়করভাবে সহজ৷ প্লাস্টিকের খালি বোতল বালি এবং পাথরকুচি দিয়ে ভর্তি করা হয়৷ এরপর নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে সেগুলোকে একটার ওপর একটা সাজিয়ে কাদা দিয়ে আটকে দেয়া হয়৷ এই পদ্ধতি যে শুধু পরিবেশবান্ধব তাই নয়, খরচও অনেক কম৷ এতে নির্মাণ খরচ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমানো সম্ভব৷
বুলেটপ্রুফ এবং ভূমিকম্প-প্রতিরোধীঃ
বোতল বাড়ির আরেক বড় সুবিধা- স্থায়িত্ব৷ বালিভর্তি বোতলগুলো প্রায় অবিনশ্বরই বলা চলে৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকার হন্ডুরাসে বানানো এমন কিছু বাড়ি ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পেও অক্ষত ছিল৷ নির্মাতাদের দাবি, এই বাড়িগুলো বুলেটপ্রুফ৷
অসীম সৃষ্টিশীলতাঃ
আবুজা প্রকল্পে নানা আকারের ও বর্ণের প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হয়৷ ফলে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইনে বাড়ি বানাতেও কোনো বাধা নেই৷ উত্তর নাইজেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে নানা রং ও নকশা মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে অপূর্ব কিছু বাড়ি
পরস্পরকে পেটানোর হুমকি ট্রাম্প-বাইডেন’র (Trump-Baiden threatens to beat each other)
মায়ামিতে যৌন নিপীড়নবিরোধী একটি র্যালিতে যোগ দিয়ে ২০০৫ সালে নারীদের নিয়ে ট্রাম্পের করা আপত্তিকর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন ওবামা সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি ওই র্যালিতে দেয়া ভাষণে ট্রাম্পকে পিটিয়ে তুলোধুনো করারও হুমকি দেন তিনি।
হোয়াইট হাউজের মসনদে বসে এমন সমালোচনা নিশ্চয় চুপ করে সইতে পারেন না ট্রাম্প। পাল্টা জবাব দিতে তিনিও সরব হলো। পাটকেল ছুড়লেন জো বাইডেনের দিকে। বাইডেনকে পেটানোর হুমকি দিলেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের এ সংক্রান্ত একটি টুইটারের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো এমন খপর প্রকাশ করেছে।
টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন: ‘‘ক্ষ্যাপা জো বাইডেন নিজেকে শক্তিশালী লোক বলে প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। আসলে সে দুর্বল। সে শারীরিক ও মানসিক দুদিক থেকেই আমার চেয়ে দুর্বল।
তারপরও সে আমায় ভয় দেখাচ্ছে। এ নিয়ে দু’দুবার সে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ভয় দেখিয়েছে। সে আসলে চেনে না আমি কেমন মানুষ। সে জানে না, সে হয়তো কেঁদেও পার পাবে না।’’
গত মঙ্গলবারের ওই র্যালিতে জো বাইডেন “Access Hollywood” নামের একটি ভিডিও বার্তা তুলে ধরেন। ২০০৫ সালে ওই ভিডিও টেপে নারীদের সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘নারীদের অনুমতি ছাড়াই আমি তাদের শরীর স্পর্শ করতে পারি। অনেকবার এমনটি করেছিও।
জো বাইডেন ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তার ভাষণে বলেন, ‘হাইস্কুলের ছাত্র হলে আমি ট্রাম্পকে জিমনেসিয়ামের পেছনে ডেকে নিয়ে পেটাতাম।’
ট্রাম্পের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে ট্রাম্প কোনও নারীকে নিয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য করলে আমি ওকে নিশ্চিত পেটাবো। যারা নারীদের অবমাননা করে তারা কুৎসিত।’
এসময় তিনি ট্রাম্পকে বিশেষ ইতর প্রাণীর সঙ্গেও তুলনা করেন। সূত্র: ইয়াহো ডটকম
শশী লজ কেবল একটি সাধারণ স্থাপনা নয় (Shoshi Lodge)
নাম শুনে শশী লজকে খুব সাধারণ কোনোকিছু মনে হতেই পারে আপনার। তবে শশী লজ কেবল একটি সাধারণ স্থাপনা নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে অতীত অনেক ইতিহাস।
‘শশী লজ’ (Soshi Lodge) ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের বাড়ির নাম। স্থানীয়ভাবে এটি ময়মনসিংহ রাজবাড়ি নামেও পরিচিত। এ লজের অদূরে ব্রহ্মপুত্র নদ। জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য ১৮ শতকের শেষার্ধে ‘ক্রিস্টাল প্যালেস’ নামে এক মনোরম প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন, যা ‘রংমহল’ নামেও পরিচিত ছিল। ১৮৯৭ সালের ১২ জুন গ্রেট ইন্ডিয়ান ভূমিকম্পে এ প্রাসাদ ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯ শতকের একদম শুরুর দিকে মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য একই স্থানে বাইজেন্টাইন ধাঁচের নির্মাণ শৈলীতে শশী লজের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই সূর্যকান্ত আচার্য মত্যুবরণ করেন। নিঃসন্তান সূর্যকান্তের দত্তক পুত্র শশীকান্ত আচার্য ১৯০৫ সালে এ ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তাঁর নাম অনুসারে এ ভবনের নামকরণ হয় ‘শশী লজ’। মহারাজ শশীকান্ত ১৯১১ সালে শশী লজের সৌন্দর্যবর্ধনে কিছু সংস্কার কাজ করে এ ভবনকে করে তোলেন অনিন্দ্যসুন্দর।
শশী লজে প্রবেশ করলে প্রথমেই আপনার দৃষ্টি কেড়ে নেবে বিশাল এক শ্বেত মার্বেল পাথরের ভেনাসের পূর্ণাঙ্গ মূর্তি। এছাড়া ভেতরে ১৮টি বিশাল বিশাল ঘর নিয়ে শশী লজ। বারান্দা ও করিডোর নিয়ে ভবনটি ৫০,০০০ বর্গ ফুটের কম হবে না। পুরো ভবনের ফ্লোর মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। ছাদে উঠার জন্য একটি কারুকাজ খচিত লোহার প্যাঁচানো সিঁড়ি আছে। পুরো ভবনে রানিং ওয়াটারের লাইন টানা আছে। ভবনের ভেতরে আধুনিক টয়লেটও আছে। ভবনটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এর অনেক কিছুই এখনও নষ্ট হয়নি।
পেছনে রয়েছে পাড় বাঁধানো পুকুর। পুকুর পাড়ে হাওয়া খাওয়ার জন্য দ্বিতল ছোট্ট ভবন। পুকুর পাড়েই গোলাকৃতির একটি কাপড় পরিবর্তনের ঘর রয়েছে। লজের চারপাশে এখনও কিছু বিশদাকায় বৃক্ষ কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। সেই ১০০ বছরেরও অধিকাল আগের নির্মিত সীমানা প্রাচীর আজও প্রায় অটুট আছে।
ভাবছেন, কীভাবে যাবেন শশী লজে? ঢাকার যেখান থেকে ময়মনসিংহ যাবার বাস পাবেন, সেখান থেকেই বাসে উঠে ময়মনসিংহ শহরে নামবেন। (মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে এনা বাস যায়)। সেখান থেকে যেকোনো রিক্সা বা ইজি বাইকে শশী লজ বা ময়মনসিংহ রাজবাড়ি বলে দরদাম করে ভাড়া ঠিক করবেন। ব্যস, পৌঁছে যাবেন শশী লজে!
Friday, June 26, 2020
সুশান্তের মৃত্যু হত্যা না আত্নহত্যা সি বি আই তদন্তের দাবি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের (rupa ganguly)
বিবাহের প্রথম বছর কি সত্যিই কঠিন? (Is The First Year Of Marriage Really The Hardest? )
বিবাহের প্রথম বছর একটি অল্প বিস্তর দ্বন্দ্ব এবং নিজের সাথে দোটানার বছর।ব্যাপকভাবে মধুযামিনী সময় হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।প্রায় সব দম্পতিদের জন্য একসঙ্গে তাদের পরবর্তী অধ্যায়ের শুরু করতে হয় প্রথম বছর বিশেষ করে যারা পরিবারে সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু র্যাচেল এ,সউসমান, এলসিএসবি এরং নিউ ইয়র্ক সিটির রিলেশনশিপ কাউন্সিলিং বিশেষজ্ঞএর মতে, যে কোনও নতুন অভিজ্ঞতার মতই, বিবাহিত জীবন নিজস্ব চ্যালেঞ্জগুলি উপস্থাপন করতে বাধ্য যা সমাধান করা সহজ নাও হতে পারে।যতদুর পারা যায় একে অপরকে ছাড় দেবার মানসিকতা এই সব সম্যসার সহজ সমাধান দিতে পারে।
পুরাতন বিবাহিত রমনিদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিবাহের প্রথম বছর সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে না।"বিবাহের প্রথম বছর সত্যিই আনন্দিত হওয়া উচিত।বিবাহের প্রথম বছরের মধ্যে [অনেকগুলো সমস্যা আছে] যেসব সমস্যা দম্পতির সাথে শুরু হয়েছিল তাদের সমস্যা গুলো দূর হয়ে যায়।"
বিবাহের প্রথম বছর 9 কঠিন জিনিস মোকাবেলা করতে হয়ঃ
১। আপনি আপনার নতুন শিরোনাম সম্পর্কে উত্তেজিত হতে পারে।
২।আপনি নতুন অভ্যাসে আসক্ত হতে পারেন।
৩।নতুন দম্পতি ছেলে হবে না মেয়ে হবে? দেখতে কার মত হবে এই বিষয় নীয়ে খুনসুটিতে ব্যস্ত হতে পারে।
৪।অযথা গুজবে কান দিতে পারেন এবং একে অপরকে সন্দেহ করতে পারে।
৫।মাঝে মাঝে আপনি বিশ্বাস করতে চাইবেন না যে আপনি বিবাহিত।আপনি নিজেকে চিম্টি কেটে পরখ করতে চাইবেন।
৬।আপনি নিজেকে বয়স্ক মনে করতে পারেন।
৭। বিশ্বের সবচেয়ে ছন্নছাড়া ব্যক্তিটি রুটিন মাফিক চলতে অভস্ত্য হবে।
৮। অর্থের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যেতে পারে।
এবং যদি আপনি প্রথম বছর উপভোগ করেন - মনে করেন আপনি আরও অনেকদুর এগিয়ে যাবেন।
Thursday, June 25, 2020
ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংসের রান সেরা পাঁচটি (Highest innings totals in One-day Internationals)
ব্যাটসম্যানরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বোলারদের দাপট বিস্তার করতে দেখা যায় এবং বোলাদের উইকেটের জন্য খুব কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। ফলশ্রুতিতে বেশিরভাগ সময় ধরে ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে দলটি মোট রান ৩৫০ পার করে চলেছ
গুগল এবং ফেসবুক আপনার সম্পর্কে কি জানেন(What Google and Facebook know about you)
এখানে এর তালিকা থেকে একটি পয়েন্ট নির্বাচন করা হলোঃ
আপনি আপনার ফোনটি চালু করলে Google আপনার অবস্থানটি সংরক্ষণ করে (যদি এটি চালু থাকে) এবং আপনি আপনার ফোনে Google ব্যবহার শুরু করার প্রথম দিন থেকে টাইমলাইনে দেখাতে পারেন।
Google আপনার সমস্ত ডিভাইসগুলিতে অনুসন্ধান ডেটা একটি পৃথক ডেটাবেসে সঞ্চয় করে দেয়, তাই আপনি আপনার অনুসন্ধান ইতিহাস এবং ফোন ইতিহাস মুছে ফেলার পরও, Google শেষ পর্যন্ত সবকিছু সংরক্ষণ করে রাখে।এই ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে সবকিছু মুছে নিতে হবে এবং তা আপনার সমস্ত ডিভাইস করতে থেকেই।
আপনার অবস্থান, লিঙ্গ, বয়স, শখ, কর্মজীবন, আগ্রহ, সম্পর্কের স্থিতি, সম্ভাব্য ওজন এবং আয় সহ আপনার তথ্য ভিত্তিক একটি বিজ্ঞাপন প্রোফাইল তৈরি করে Google
Google আপনার ব্যবহৃত প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন এবং এক্সটেনশনের তথ্য সংরক্ষণ করে, আপনি কত ঘন ঘন তাদের ব্যবহার করেন, যেখানে আপনি তাদের ব্যবহার করেন, এবং যাদের সাথে আপনি যোগাযোগ করেন (আপনি কোনও ফেইসবুকের সাথে কথা বলছেন, কোন দেশের সাথে কথা বলছেন, আপনি কোন সময় যাবেন ঘুমানোর জন্য) সব তথ্য থাকে গুগলের কাছে।আপনার অনুমতি ছাড়াই গুগল তা ৩য় পক্ষের নিকটি বিক্রি করতে পারে।
গুগল আপনার সব ইউটিউব ইতিহাস সংরক্ষণ করে, যদি আপনি প্রগতিশীল, যদি আপনি ইহুদি, খৃস্টান বা মুসলিম হন, আপনি রক্ষণশীল হন, শীঘ্রই আপনি মা বাবা হতে চলেছেন কিনা তা জানতে পারে, ' যদি আপনি অ্যানোরিক্সিক হন তাহলে আপনি হতাশ বা আত্মহত্যা অনুভব করছেন সে তথ্য থাকবে গুগলের কাছে।গুগল আপনার সম্পর্কে সংরক্ষণ করে সব তথ্য ডাউনলোড করার একটি বিকল্প প্রস্তাব করে, "আমি এটি ডাউনলোড করার জন্য অনুরোধ করেছি এবং ফাইলটি 5.5 গিগাবাইট বড়, যা প্রায় তিন মিলিয়ন শব্দের দস্তাবেজ।
ফেসবুক (Facebook) আপনার সমস্ত তথ্য ডাউনলোড করার জন্য একটি অনুরূপ বিকল্প প্রস্তাব দেবে, প্রায় 600MB, যা প্রায় 400,000 শব্দ দস্তাবেজ হয়।
এতে আপনি যে বার্তাটি পাঠিয়েছেন বা পাঠানো হয়েছে তার প্রত্যেকটি ফাইল আপনি কখনও পাঠিয়েছেন, আপনার ফোনে সমস্ত পরিচিতি এবং আপনি যে সমস্ত অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন বা পাঠানো হয়েছে সব কিছু থাকে ফেসবুকে।
ফেসবুকে (Facebook) আপনি যা পছন্দ করেছেন তার উপর ভিত্তি করে আপনি এবং আপনার বন্ধুরা কী বিষয়ে কথা বলছেন তার উপর ভিত্তি করে ফেসবুকে সেগুলি সংরক্ষণ করে।আপনার জন্য বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে এবং সেই তথ্য সংরক্ষন করতে পারে।
কিছুটা নিখুঁতভাবে, তারা আপনার ফেসবুকে সর্বদা পাঠানো সমস্ত স্টিকার সংরক্ষণ করে।
তারা আপনার ফেসবুক লগ ইন করার সময়, যেখানে আপনি লগ ইন করেছেন, কোন সময় এবং কোন ডিভাইস থেকে লগইন করে রাখেন।সব জানে।
Wednesday, June 24, 2020
রেস 3': অভিনেতা সালমান খান সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য('Race 3': Interesting facts about the Salman Khan starrer)
এক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়েছে রেস ৩ এর অভিনেতাদের পরিচয় পর্ব। জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, অনিল কাপুর, ববি দেওল, ডেইজি শাহ এবং সাকিব সলিমকে নিয়ে প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রের পোস্টার উদ্বোধন করেন সালমান খান।
পোস্টারটির সামনে চেয়ারে বসে আছে সালমান। বাকি সবাই সুসজ্জিত পোশাকে দাঁড়িয়ে আছে পিছনে।অনেকের হাতে আছে রিভাল বার। অসাধারণ একটি পোস্টার মানতে হবে।
বলিউড সুপার স্টার তার টাইম লাইনে পোস্টার টি শেয়ার করে বলেছেন " এই হচ্ছে আমাদের রেস ৩ পরিবার।তাহলে চল শুরু করি আমাদের যাত্রা। আপনার পরিবার সহ আসুন আর দেখুন কিভাবে আমাদের এই একশন / থ্রিলার মুভি পরিবারে পাশে দাঁড়ায়।এই পোস্টারটি শুরুর দিকে আসে, যা বর্তমানে থাইল্যান্ডের সময়সূচীটি আবৃত করার পর আবুধাবিতে পূর্ণ গতিতে চলছে।
রেমো ডি'সুজা পরিচালিত, এবং ফ্রেডি দারুওয়ালাকে অভিনিত 'রেস 3' ঈদ ২018 সালে মুক্তি পায়।
বসন্তের শহর-কুনমিং যেন নব যৌবনা (Spring city-kunming)
চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী ‘কুনমিং’কে বলা হয় ‘চির বসন্তের শহর’। কুনমিং হচ্ছে চাইনিজ শব্দ যার অর্থ হচ্ছে চির বসন্তের শহর। সারা বছরই বসন্ত কালের মতো আবহাওয়া। না শীত, না গরম। তিন দিকে পাহাড় এবং একদিকে বিখ্যাত ‘ডায়ানচি লেক’। মনোরম আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা কুনমিং প্রাচীনকাল থেকে ভ্রমন পিপাসুদের আকৃষ্ট করছে।
ঢাকা থেকে প্লেনে কুনমিং এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র দুই ঘন্টা। সুন্দর ঝকঝকে বিশাল এয়ারপোর্টটি ২০১২ সালে চালু হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০টি এয়ারপোর্টের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে এটি। ছিমছাম যানজটমুক্ত আধুনিক শহর। আগে থেকেই হোটেল বুকিং দেওয়া থাকলে ভালো। ট্যাক্সি নিয়ে হোটেলে পৌঁছে বিশ্রাম নিন।
ইন্টারনেটের বদৌলতে আগে থেকেই দশর্নীয় স্থানগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে রাখতে পারেন। আর কোনদিন কোনটা দেখবেন তাও ঠিক করে রাখবেন আগে থেকেই।সফরের প্রথম দিন শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে শহরটি সম্পর্কে একটি ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করলে পরবর্তীতে সুবিধা হবে আপনার জন্য। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৬২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত প্রায় ২৪০০ বছরের একটি পুরানো শহর বর্তমানে আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের এক অনুপম নিদর্শন। আকাশ ছোঁয়া সব দৃষ্টি নন্দন অট্টালিকা এবং প্রশস্ত রাস্তা এর বিশেষত্ব।
এখানকার মানুষজনও খুবই ভদ্র ও সহনশীল। চারদিকে ফুলের সমারোহ। সারা বছরই নানা রঙ্রে ফুলে চোখ জুড়িয়ে যায়। মনে হয় পুরো শহরটিই যেন একটি বৃহৎ ফুলের বাগান।বিশাল একটি ফুলের মার্কেট আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফুল রপ্তানি হয় এখান থেকে।প্রায় সবখানে নাকে আসবে ফুলের সুবাস যা আপনাকে মুগ্ধ ও পুলকিত রাখবে সবসময়।
এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থাও খুবই ভাল। বাস, ট্রেন, মেট্রো সবই আছে। বাস খুবই সহজলভ্য এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা। ১ অথবা ২ আরএমবি দিয়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া যায় (১ আরএমবি সমান ১৩ টাকা)।
দর্শনীয় স্থানঃ স্টোন ফরেস্ট’(Stone Forest )
পৃথিবীর প্রথম বিস্ময় হিসেবে খ্যাত ‘স্টোন ফরেস্ট’। কুনমিং শহর থেকে ১২০ কি. মি. দক্ষিণে এই দশর্নীয় স্থানটি অবস্থিত। বাস, ট্রেন, ট্যাক্সিতে খুব সহজেই যাওয়া যায় এখানে। আমরা সকালে কুনমিং রেলস্টেশন থেকে একটি ট্রেনে মাত্র দেড় ঘণ্টায় স্টোন ফরেস্টে পৌঁছি। স্টোন ফরেস্ট প্রকৃতির এক অদ্ভুত খেয়াল। চারদিকে পাথরের অভূতপূর্ব সব কারুকার্য। প্রায় ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছোট বড় উঁচু নীচু বিভিন্ন আকৃতির পাথর বৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে আছে।
দূর থেকে দেখেলে মাঝে মাঝে বিশাল গাছ, জীবজন্তু বা মানুষের আকৃতি বলে একে ভুল হতেই পারে।
স্টোন ফরেস্টের প্রবেশমূল্য ১৭৫ আরএমবি। দশনার্থীদের জন্য সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
আরো দেখতে পারেনঃ
ডায়ানচি লেক,
বাডর্স অ্যান্ড ফ্লাওয়ার মার্কেট,
ইউয়ান্তং বৌদ্ধ মন্দির,
ওয়েস্টান হিল,
ডাগুয়ান পার্ক,
আদিবাসী গ্রাম,
ইউনান জাতীয় জাদুঘর,
গ্রান্ড ভিউপার্ক,
হুয়াটিং টেম্পল,
ড্রাগন গেট
কোথায় থাকবেনঃ
বাংলাদেশিদের থাকা ও খাওয়া জন্য এখানে অনেকগুলো বাংলাদেশি গেস্ট হাউস বা রেস্টহাউস আছে। এদের সার্ভিসও ভাল। এসব গেস্ট হাউসের প্রতিনিধিদের সাক্ষাত পাওয়া যাবে বিমান বন্দরে নামলেই। এছাড়াও শহরের কেন্দ্রস্থলে হোটেলও থাকা যাবে। প্রচুর হোটেল আছে, ভাড়াও খুব বেশি নয়। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাই হোটেলগুলোতে পাওয়া যাবে।
Tuesday, June 23, 2020
মোটা হওয়ার সহজ উপায় (Easy ways to be obese)
ফিনফিনে পাতলা শরীর কারোই কাম্য নয়। দেখতেও মানানসই নয়। বেশী মোটা কিংবা শুকনা কোনোটাই ভাল নয়; মাঝামাঝি থাকাটাই মঙ্গলময়। স্বাস্থ্য (health) প্রকৃতিগত ভাবে পাওয়া। চাইলেই যদি সব পাওয়া যেত তাহলে ইচ্ছেমত সবাই শরীরটাকে বদলে দিত, তবে হ্যা চর্চার মাধ্যমে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।
যেভাবে ক্রুসেডের কঠিন জবাব দিয়েছিল মুসলিমরা (The way Muslims responded by the Crusades had a strong answer)
খ্রিস্টান সাম্রাজ্যের অধিপতি পোপ দ্বিতীয় আরবানের সময় ১০৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মতো মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষণা করে ইউরোপীয় ক্রুসেডাররা। তৎকালীন খ্রিস্টানদের দৃষ্টিতে এই ‘পবিত্র যুদ্ধ’ শেষ হয় ১২৯১ সালে। বারো শতকের একেবারে শুরুর দিকে শুধু পবিত্র নগরী জেরুজালেমই নয়, মুসলিম অধ্যুষিত লেভান্ট (ইরাক, সিরিয়া, তুরস্ক, মিসর, লেবানন, জর্দান, ফিলিস্তিন) অঞ্চলের বিরাট একটি অংশ দখলে নেয় ক্রুসেডাররা। এই সময়েই ক্রুসেডারদের হাতে চলে যায় ইসলামের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা।
বিরাট এই অঞ্চলের দখল এর আগে চারশো বছর ধরে বিশ্ব ক্ষমতায় থাকা মুসলিমদের মর্মাহত করে তোলে। জেরুজালেম দখলে নিয়ে ভূখণ্ড শাসনে নতুন ব্যবস্থা চালু করে ক্রুসেডাররা (Crusades)। স্থানীয় মুসলিম, ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের নিজ ভূমি থেকে উৎখাত করে তারা। পশ্চিম ইউরোপ থেকে অভিবাসী এনে তাদের স্থায়ী আবাস গড়ে।
মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আফাফ সাবরা বলেন, ‘ওই সমস্ত মানুষজন ছিল দাস ও ভূমিদাস শ্রেণী থেকে আসা। ইউরোপে তাদের কোনো অধিকার ছিল না।
তারা যখন আমাদের এখানে এলো, তারা ভূস্বামী হয়ে উঠলো, তাদের জীবন পাল্টে গেলো। তাদের সামাজিক অবস্থা বদলে গেলো। ফলে জনসংখ্যা ও সামাজিক স্তরবিন্যাসও পাল্টে গেলো।’
শুধু তাই নয়, প্রথম ক্রুসেডের কমান্ডাররা- ইউরোপে যারা নিম্ন শ্রেণীর যোদ্ধা ছিল- তারা দখলকৃত ভূখণ্ডে রাজকীয়ভাবে চলাফেরা শুরু করলো। ১১০০ সালের জুলাই মাসে প্রথম ক্রুসেডের (Crusades) অন্যতম নেতা বোলজোনার বাল্ডউইনকে জেরুজালেমের সম্রাট ঘোষণা করা হয়।
জাকাজিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কাসেম আবদু কাসেম বলেন, ‘জেরুজালেমে রাজতন্ত্র স্থাপনের ফলে এডেসা ও অ্যান্টিঅকের (রোমান ভূখণ্ড) জন্য আরব ভূমিতে আসা সহজ হয়ে যায়। নতুন উপনিবেশবাদী নেতারা খুব সহজেই তাদের রাজত্ব বাড়াতে থাকে।
এক দশকের মধ্যেই লেভান্ট উপকূলের বেশিরভাগ ক্রুসেডারদের হাতে চলে যায়। পূর্বাঞ্চলে খ্রিস্টান ছিটমহলের সংখ্যা দাঁড়ায় চারে। এর সঙ্গে ত্রিপোলিও (বর্তমান লিবিয়ার রাজধানী) দখল করে তারা।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের ইতিহাস বিভাগের গবেষক জ্যান ভেন্ডেবুরি বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ছিল ক্রুসেডারদের জন্য অত্যন্ত অত্যন্ত কৌশলগত স্থান- খাদ্য সরবরাহের জন্যও, তীর্থযাত্রী পরিবহণের জন্যও। সুতরাং উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ক্রুসেডারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
যুদ্ধপরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে ক্রুসেডেররা (Crusades) লাভবান হতে শুরু করে। তারা তাদের বাহিনী নিয়ে লেভান্টের তৎকালীন রাজধানী আলেপ্পোর দিকে যাত্রা করে।
সেই সময়ে আলেপ্পোর শাসক ছিলেন রেদওয়ান, যাকে বলা হতো, ‘মেরুদণ্ডহীন, ‘চাটুকার’ শাসক। ক্রুসেডারদের সঙ্গে সখ্য ছিল তার। তার ব্যাপারে এমন কথাও প্রচলিত আছে, আলেপ্পো মসজিদে খ্রিস্টানদের ক্রুশ ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে। অনেকেই তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
এই বিদ্রোহ ছিল অপ্রতিরোধ্য। দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও তারা বাগদাদের খলিফার কাছে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানায়। আব্বাসীয় খলিফা আল-মুস্তাজহির সেলজুক সুলতানদের কাছে সাহায্য চান।
মসুলের গভর্নর মওদুদকে আদেশ দেয়া হয় তার বাহিনী জড়ো করে ক্রুসেডারদের আলেপ্পো দখল প্রতিহত করতে। এতে সফল হন তিনি। আপাতত ক্রুসেডারদের হাত থেকে শহরটি রক্ষা করা গেলেও রেদওয়ানের বাহিনীর বাধার মুখে এর ভেতরে প্রবেশ করা যায়নি।
সাবরা বলেন, ‘এই সময়েই দামেস্কের গভর্নর তোঘতেইন জেরুজালেম রাজত্বের আক্রমণের শিকার হন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে মওদুদের বাহিনী। আস-সানাবার যুদ্ধে বাল্ডউইনের বাহিনীর মুখোমুখি হয় মওদুদের বাহিনী। এতে শেষ পর্যন্ত মুসলিমদের হাতে ক্রুসেডাররা পরাজিত হয়।’
সারজাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মুহাম্মদ মোনেস আওয়াদ বলেন, ‘মুসলিমদের প্রতিহত করতে ক্রুসেডাররা তাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে রাখতো। এজন্য দায়ী ছিল অজ্ঞ মুসলিম শাসকরা। কিন্তু নতুন পরিস্থিতিতে মুসলিমের জন্য একটি একক ফ্রন্ট তৈরি হলো।’
এতদিন ধরে জেরুজালেমের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চলছিল দামেস্কের। ইমাদুদ্দিন জেঙ্গি নতুন করে সেনা অভিযানের প্রস্তুতি নিলেন। ১১৪৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার সেনাবাহিনী এডেসা আক্রমণ করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই প্রথম ক্রুসেডারদের কোনো রাজ্য মুসলিমদের অধীনে এলো।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক জোনাথন ফিলিপস বলেন, ‘এটি ছিল একটি বড় উত্তরণ। প্রকৃত সূচনা। ওই অঞ্চলের মুসলিমদের মধ্যে ‘জিহাদের’ পুনরুজ্জীবন। ক্রুসেডারদের (Crusades) জন্য এটি একটি বড় পরাজয়। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, তারাও পরাজিত হতে পারে এবং মুসলিমদের পুনরুজ্জীবন সম্ভব।’