ভারতের উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী এস পি সিং বাঘেলের বোনকে নিয়ে উধাও হয়েছে
বাংলাদেশি এক যুবক। বাংলাদেশি ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেছেন
মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা।
প্রথমে বারাসতে এসে ঠাঁই নিলেও পরে আর তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে প্রদেশের পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে হন্য হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন
মন্ত্রী ও তার ভাইরা। রাজ্যজুড়ে দু’জনের ছবি টানানো হয়েছে। কিশোরীর খোঁজে
ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তেও নজরদারি চলছে।
সম্পদের আত্মীয়-স্বজনরা বলছেন, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে উত্তপ্রদেশে পাড়ি জমায় সম্পদ। সেখানে গিয়ে বারাসতের কানাপুকুর এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে। তারপর সেই বাড়ি ভাড়ায় দিয়ে উত্তরপ্রদেশে বোনের কাছে চলে যায়।নিজেকে চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিয়ে ভগ্নিপতির ওষুধের দোকানে বসতেন সম্পদ অধিকারী। এলাকায় হাতুড়ে ডাক্তার হিসাবে নামডাকও হয়। সেখান থেকেই মন্ত্রীর বোনের সঙ্গে পরিচয়।
গত ১৬ মার্চ মন্ত্রীর কিশোরী বোনকে নিয়ে বিমানে চেপে কলকাতায় চলে আসে সম্পদ। খোঁজ খবর নিয়ে পরের দিনই কলকাতায় আসেন মন্ত্রী এস পি সিং বাঘেলের ভাই ও উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। প্রথমেই তারা বারাসতের কানাপুকুরে সম্পদের বাড়িতে হানা দেন।সেখান থেকে এলাকার কয়েকজন যুবক ও সম্পদের দুই আত্মীয়-সহ মোট ছ’জনকে আটক করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, ১৭ ডিসেম্বর রাতে সশস্ত্র কয়েকজন সম্পদের খোঁজে এসে ওই এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছেন।
খবরটি স্থানীয় কাউন্সিলর চম্পক দাসের কানে যায়। বিষয়টি জানার পর প্রদেশের পুলিশ ও মন্ত্রীর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপরই পুরো ঘটনা সামনে আসে।এই প্রসঙ্গে মন্ত্রীর ভাই নীরজ সিং বলেন, সম্পদের সম্পর্কে সব তথ্য জোগাড় করেছেন তারা। বাংলাদেশে সম্পদের বাবা-মা থাকেন। সেখানে ইতি আধিকারী নামে তার স্ত্রীও রয়েছে। তারপরও বোনকে ফুঁসলে নিয়ে পালিয়েছে সে। নিজেকে খুব বড়লোক বলে পরিচয় দিয়েছিল সম্পদ।
বারাসত, সুভাষনগর, বনগাঁসহ সম্পদের সব আত্মীয়র বাড়িতে হানা দেয় ইউপি পুলিশ। বারাসতের কাউন্সিলর চম্পক দাস জানিয়েছেন, মন্ত্রী এস পি সিং নিজে ফোন করেছিলেন। আমরা সব রকম সাহায্য করছি। এলাহাবাদে এক আত্মীয়র আশ্রয়ে রয়েছে তারা। সেখানেও খোঁজ শুরু করেছে ইউপি পুলিশ।
0 comments:
Post a Comment