Sunday, June 7, 2020

রাশিয়ান ৬০ কূটনীতিককে বহিষ্কার করলেন ট্রাম্প(Trump to expel Russian 60 diplomats)


american president

ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্ক থেকে ৬০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিয়াটলে রুশ দূতাবাস বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।
সোমবার (২৬ মার্চ) হোয়াইট হাউস এ ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি ও সিএনএ।

এর আগে জার্মানিও ঘোষণা করেছে যে তারা চার জন রুশ কূটনীতিকে বহিষ্কার করছে। এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও কয়েকটি দেশ ১০ জন রুশ কূটনীতিককে বের করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

তিন সপ্তাহ আগে ব্রিটেনে একজন সাবেক রুশ ডাবল এজেন্ট সেরগেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ের ওপর নার্ভ এজেন্ট দিয়ে যে আক্রমণ হয় – তার প্রতিক্রিয়াতেই পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে সমন্বিতভাবে এসব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাসে কর্মরত ৪৮ জন কূটনীতিক এবং নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে রাশিয়ান মিশনে কর্মরত ১২ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব কূটনীতকদের আগামী সাত দিনের মধ্যে স্ত্রী-সন্তানসহ যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে হবে।

৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের সলসব্যারি শহরের একটি বিপণিকেন্দ্রের বাইরে সের্গেই স্ক্রিপাল (৬৬) ও তার মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালকে (৩৩) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, তাদের ওপর নার্ভ এজেন্ট (বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস) প্রয়োগ করা হয়েছিল। সের্গেই স্ক্রিপাল একজন সাবেক রুশ গোয়েন্দা।

তিনি যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ৬-এর কাছে রাশিয়ার গোপন কিছু তথ্য বিক্রি করেছিলেন। বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে ২০০৬ সালে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন রাশিয়ার আদালত। ২০১০ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দী গুপ্তচর বিনিময়ের অংশ হিসেবে ছাড়া পান সের্গেই স্ক্রিপাল। যুক্তরাজ্যে তিনি আশ্রয় নেন।

ব্রিটিশ সরকার দাবি করছে, রাশিয়ায় তৈরি নার্ভ গ্যাস- নোভিচক দিয়ে স্ক্রিপালের ওপর হামলা করা হয়েছে। লন্ডন সরাসরি এ ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে।

রাশিয়া এ অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। মস্কো বলছে, ব্রিটেনসহ যেসব দেশ এই গ্যাস নিয়ে গবেষণা করছে সেগুলোর কোনো একটি দেশ থেকে এনে ওই হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ৩৫ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। ওই বছরের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।

0 comments:

Post a Comment