Sunday, June 14, 2020

স্মার্টফোন ব্যবহার এই কাজ গুলো করা উচিত নয় (Smart Phone)


স্মার্টফোন ও মানুষ এখন একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। বর্তমানে আমরা স্মার্টফোনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে পড়েছি। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে শুরু করে রাতে ঘুম আসার আগে পর্যন্ত নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে।বাজার করা থেকে শুরু করে অফিসের কর্মচারীদের বেতন দেওয়া কিংম্বা ব্যাংকিং লেনদেন সবিই এখন আপ ব্যবহার করে করা হয়ে থাকে। আর আপ ব্যবহার করতে লাগে স্মার্টফোন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে এমন কিছু ভুল করে থাকি যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই খারাপ প্রভাব পড়ে। কিছু প্রভাব পড়ে আমাদের শরীলের উপর আর কিছু পড়ে আমাদের স্মার্টফোনের উপর।

সেই বিষয়গুলো নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলোঃ

শারিরিক প্রভাবঃ

১) ঘাড় ব্যথা ও মাথা ব্যথা

অন অফ দি কমন প্রবলেম। ফোনের দিকে তাকালে ঘাড় বাঁকাতে হয়। দীর্ঘক্ষণ ফোনের দিকে ঝুঁকে থাকার কারণে শুরু হয় মাথা ব্যথা।সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটের এই যুগে আমরা টেলিভিশন ও স্মার্টফোনে দেখে থাকি। ফলে দীর্ঘ সময় স্কীনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। যত বেশি ব্যবহার তত বেশি ঘাড় ও মাথার ব্যথা। এ সমস্যা এড়াতে চোখ বরাবর ফোন ধরা উচিত। এতে ঘাড়ের উপর চাপ পরবে না।

মনে রাখবেন ঘাড় বাঁকা করে দীর্ঘ সময় মোবাইল দেখবেন না।

২) কমতে পারে চোখের জ্যোতি

যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মুঠোফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে তা ব্যবহার করেন। তবে, অনেকের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার। সংবাদপত্র, বই বা কোনো কিছু পড়ার ক্ষেত্রে সাধারণত চোখ থেকে গড়ে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্ব থাকে। চোখের খুব কাছে রেখে অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে জিনগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষীণদৃষ্টি সৃষ্টির জন্য যা ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তাই ইহার কম ব্যবহার হতে পারে প্রতিরোধক। অথবা চোখ থেকে দূরে রাখেতে হবে যথাসম্ভব। কম দামী চায়না স্মার্টফোন গ্রলো চোখের জন্য মারাত্বক। তবে উন্নতমানের ফোনে ভালমানের আই প্রোটেক্টর লাগানো থাকে।

চায়না এবং কম মুল্যের সেট বর্জন করুন।

৩) ঘুমের মধ্য এস এম এস পাঠাতে পারেন

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অতিরিক্ত সময় বার্তা পাঠানো, চ্যাটিং করার ফলে ঘুমের মধ্যেও এর প্রভাব পড়তে পারে। বার্তা পাঠানোর বিষয়টি মাথায় থাকে বলে ঘুমের মধ্যেও হাতের কাছে থাকা মুঠোফোন থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বরে বার্তা চলে যায়। একে বলে ‘স্লিপ টেক্সটিং’ সমস্যা।  এ সমস্যা হলে রাতে ঘুমের মধ্যে কাকে কী বার্তা পাঠানো হয় তা আর পরে মনে থাকে না।

মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে চ্যাটিং করবেন না।

৪) কানে কম শোনা

স্মার্টফোন (smart phone) ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা তৈরির বিষয়টি অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গান শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে। অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে একসময় বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফোনে অতিরিক্ত কথা বলা এবং অতিরিক্ত গান শোনা শরীল ও মানুসিক ক্ষতি কারন।

উচ্চশব্দে ফোন এবং হেডফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

৫) কমে যেতে পারে শুক্রাণু

গবেষকেরা জানান, মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ক্ষতিকর তরঙ্গের সঙ্গে মস্তিষ্কে ক্যানসারের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোষকলা এই ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও। গবেষকেদের দাবি, মুঠোফোন থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।

অপ্রয়োজনে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন



স্মার্টফোনের উপর প্রভাব

১) লো সিগনাল  

সিগনাল দুর্বল থাকলে ফোন থেকে রেডিও ওয়েব বেশি নির্গত হয়। এ কারণে ফোন গরমও বেশি হয়। এ সময় তাই হেডফোন ব্যবহার করা ভালো। এই সময় ফোন ব্যবহার করলে ফোনের স্বায়িত্ব কমে যেতে পারে।

2) বাথরুমে নিষিদ্ধ

অনেকেরই বাথরুমে গিয়ে স্মার্টফোন (smart phone) ব্যবহার করার প্রবণতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে আপনার স্মার্টফোনে অনেক বেশি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে থাকে।তাই টয়লেটে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

৩) ভাইব্রেশন 

সারাক্ষণ ফোন ভাইব্রেশনে দিয়ে রাখলে ব্যাটারি দ্রুত খরচ হয়। ফোনের আয়ু কমে যায়। তাই প্রয়োজন হলে ফোন সাইলেন্ট রাখা ভালো। এছাড়াও এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই স্মার্টফোনকে ভাইব্রেশনে রাখুন।

৪) বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জ 

বজ্রপাত হলে পাওয়ার কর্ড দিয়ে বিদ্যুৎ ফোনে ঢুকতে পারে। তাই বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জে না দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।এতে করে স্মার্টফোন (smart phone) পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। তাই বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জ দিবেন না।

৫) সফটওয়্যার আপডেট 

ফোনে আপডেটের নোটিফিকেশন আসলে তা এড়ানো ঠিক নয়। অ্যাপ আপডেট করলে অনেক বাগ ঠিক হয়, নিত্য নতুন ফিচারও পাওয়া যায়। স্টোরেজ দখল করলেও অ্যাপ আপডেট করার কোনো ক্ষতিকর দিক নেই। ফোন কে আপডেট না করাটা বোকামী। 

0 comments:

Post a Comment