Sunday, June 7, 2020

স্বপ্নরাজ্য দার্জিলিং ভারতের রুপের রাণী (Dreamland Darjeeling is the queen of India)


Dreamland Darjeeling is the queen of India

পর্যটন শিল্পসমৃদ্ধ দেশ ভারত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পুরাকীর্তি, আধুনিক ও প্রাচীন স্থাপত্যশিল্প, সর্বোপরি বিশ্বের অন্যতম সপ্তাশ্চর্য আগ্রার তাজমহল ভারতকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছে স্বমহিমায়। ভারতজুড়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলো এরই মধ্যে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দার্জিলিং তারই একটি।

দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বেড়াতে যাওয়াটা এখন আমাদের দেশের মানুষের কাছে মোটামুটি ডালভাত হয়ে গেছে। ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া অনলাইন করার পর থেকে বাংলাদেশী পর্যটকদের মধ্যে প্রতিবেশী এই দেশটিতে ভ্রমণের হার বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এখন তো লোকজন এটা সেটা বাজার করতেও কলকাতা ছোটেন, সেইসঙ্গে ঘোরাঘুরির কাজটাও সেরে নেন ফাঁকতালে। তবে বাংলাদেশী ভ্রমণপিয়াসুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ যে জায়গাটা নিয়ে, সেটা সম্ভবত ভারতের দার্জিলিং। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত পাহাড়ের ওপরে গড়ে ওঠা ছবির মতো সুন্দর এই শহরটাই যতো আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পাসপোর্ট-ভিসা রেডি থাকলে তো দশ-পনের হাজার টাকা খরচ করেই ঘুরে আসা যায় পাহাড়ী এই শহর থেকে।

প্রকৃতির নৈসর্গিক ছোঁয়া পেতে লাখ লাখ পর্যটক প্রতিবছর দার্জিলিংয়ে ছুটে আসেন। ভারতের অন্যান্য স্থান থেকে এ শহরের আবহাওয়া একটু ব্যতিক্রম। শহরটি হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময়ই বিরাজ করে শীত ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া। দার্জিলিং শহরটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ হাজার ফুট উপরে। বছরের ৯ মাসই থাকে ঠাণ্ডা। মনে হবে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে নিজ হাতে ছোঁয়া যাবে মেঘমালাকে। বাকি ৩ মাস পুরোপুরি নিজেকে মেলে ধরতে পারে সূর্য। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে উঠতে হয় মূল দার্জিলিং শহরে।

বস্তুত দার্জিলিং শহরটি ব্রিটিশ আমলেই বিশ্ব পর্যটকদের নজরে আসে। শহরে উঠেই দেখতে পাবেন সব জায়গায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের চিহ্ন। রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ এমনকি চিড়িয়াখানা পর্যন্ত সব স্থানেই ব্রিটিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। মূলত ব্রিটিশরা এ শহরকে তাদের নিজের মতো করে সাজিয়েছিল। কারণ ছিল একটাই এর নির্মল আবহাওয়া আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

কিভাবে যাবেনঃ

শ্যামলী পরিবহন সরাসরি শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেবা দিয়ে থাকে। ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার ভাড়া হবে ১৬০০ টাকা। বর্ডার পার হওয়ার সময় ভ্রমণকর হিসেবে দিতে হবে অতিরিক্ত ৫৫০ টাকা। এবার আসা যাক রেলপথ। রেলপথে যেতে হলে ঢাকা থেকে টিকেট করতে হবে। এখন অবশ্য চট্টগ্রাম থেকেও মৈত্রী ট্রেনের টিকেট করা যায় কিন্তু যাত্রা করতে হবে ঢাকা থেকে।এছাড়া বিমানেও কলকাতা হয়ে দার্জিলিং যেতে পারেন। তবে সবচেয়ে সহজ বাসে যাতায়াত।

 কোথায় থাকবেনঃ

দার্জিলিং যেহেতু পর্যটন এলাকা তাই থাকার জায়গার সমস্যা নেই। এখানে মাঝারি দাম থেকে অল্প দামের হোটেলও পাবেন আপনি। তবে ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে বেলভিউ, সাগরিকা, সোনার বাংলা, মহাকাল হোটেল বেশি জনপ্রিয়। প্রতিটি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া পড়বে ১০০০ রুপি। ডাবল রুমের ভাড়া ১২০০ রুপি। আর তিনবেডের রুমের ভাড়া ১৫০০ রুপি। ভালো হোটেল  এ থাকতে চাইলে ভাড়া আরও বেশি গুণতে হবে ।হোটেল রুমের সাথে খাবারের চুক্তি করে নিলে খরচ আরো কমবে।

কি দেখবেনঃ

সারাদিনের জন্যে জীপ ভাড়া করতে পারেন, ২০০০-২২০০ রূপি ভাড়া নেবে, আপনাকে ঘুরিয়ে আনবে দার্জিলিঙের সবগুলো ট্যুরিস্ট স্পট। মোটামুটি ছয়/সাতটা স্পট কাভার হয়ে যাবে একদিনেই।

ছবির মতো সুন্দর বাতাসিয়া লুপ, 
বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলস্টেশন ঘুম, 
বিরল পাহাড়ী বাঘের আস্তানা দার্জিলিং চিড়িয়াখানা, 
হিমালয়ান মাউন্টেইন ইনস্টিটিউট, 
সেন্ট পল’স স্কুলটা,
হ্যাপী ভ্যালি টি-গার্ডেনটি।

0 comments:

Post a Comment