This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Tuesday, June 30, 2020

আলুর দোপিঁয়াজা (Potato dopi yoja)

আলুর দোপিঁয়াজা রান্না


উপকরণ

আলু ৫০০গ্রাম। পেঁয়াজ ৩০০ গ্রাম। তেল ৩ টেবিল-চামচ। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। গরম মসলাগুঁড়া আধা চা-চামচ। হিং এক চিমটি। আদাবাটা বা গুঁড়া আধা চা-চামচ। রসুনবাটা বা কাটা আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। আমচুর অথবা লেবুর রস আধা চা-চামচ। টমেটো মাঝারি ১টি। পেঁয়াজপাতা নিজের পছন্দ মতো। চিনি আধা চা-চামচ।

পদ্ধতি

প্রথমে আলু ভালোভাবে ছিলে কিউব করে কেটে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজ কিউব করে কেটে প্যানে তেল দিয়ে বাদামি করে ভেজে আলু দিন। টমেটো, পেঁয়াজপাতা, আমচুর অথবা লেবুর রস এবং চিনি বাদে সব মসলা দিয়ে আর অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে ছয় মিনিট রান্না করুন।
আলু গলে আসলে টমেটো, পেঁয়াজপাতা, আমচুর অথবা লেবুর রস এবং চিনি দিয়ে মিনিট দুএক নেড়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
সাদাভাত, লুচি, রুটি এবং পরোটা দিয়ে খেতে দারুন।

জ্যাকলিনের হয়ে সাফাই গাইলেন সালমান (Salman Khan saves for Jacqulin)

jaqulin


'বাঘি ২' ছবিতে একটি 'আইটেম গান' হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত 'তেজাব' ছবির সেই বিখ্যাত ও প্রবাদতুল্য গান 'এক দো তিন'। তবে, এ ব্যাপারে একদম খুশি নন মূল ছবির অনেকেই, বিশেষ করে পরিচালক এন চন্দ্র। 'এক দো তিন'-এর নতুন এই 'জ্যাকলিন ফানার্ন্দেজ ভার্সন'কে সম্পূর্ণ 'অনুভূতিহীন' বলে আখ্যা দিলেন এই দুঁদে পরিচালক।


তবে, এমন পরিস্থিতিতে জ্যাকলিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তাঁর 'রেস ৩' কো-স্টার বলিউড 'ভাইজান' সালমান খান। গানটির কিছু অংশ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ করে সালমান লেখেন, গানটি ভালো লেগেছে। যদিও মাধুরীর সাথে মেলানো সম্ভব নয়, তবুও গানটিতে কোরিওগ্রাফার সরোজ খানের লিজেন্ডারি মুভমেন্টের প্রতি যথেষ্ট সুবিচার করার চেষ্টা করেছেন জ্যাকলিন।
  
যদিও এ কথা মানতে একেবারেই নারাজ 'তেজাব' পরিচালক এন চন্দ্র। এ-প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কাজটি আমার ঠিক মনে হয়নি। এটিকে আমি 'ক্রিয়েটিভ ভ্যানডালিজম' বলতে চাই। এবং আমি চাই এ বিষয়ে একটি কঠিন আইন থাকুক। 


বার্তা সংস্থা আইএএনএস-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে এন চন্দ্র বলেন, তাঁরা 'এক দো তিন'-এর এ হাল করবেন তা আমি ভাবতেও পারিনি। মাধুরীর জায়গায় আমি জ্যাকলিনকে ভাবতেও পারি না। এটা অসম্ভব। এটা অনেকটা সেন্ট্রাল পার্ককে  বোটানিক্যাল গার্ডেনে পরিণত করার মতো বিষয়। মাধুরীর সেই নাচে ছিল মাধুর্য আর সরলতায় পূর্ণ- ওটা আপনি এখন কোথায় পাবেন!


তবে, এ-প্রসঙ্গে মুখ খুলতে একেবারেই নারাজ সেলিব্রিটি নারী কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। তবে, একটি তথ্য জানিয়ে দিই, মাধুরীর মূল গানে যাঁরা তাঁর সাথে নেচেছিলেন, তাঁদেরই একজন গণেশ আচার্য। তিনিই 'এক দো তিন'-এর জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ভার্সন-এর কোরিওগ্রাফ করেছেন।


আগামী ৩০ মার্চ মুক্তি পাবে 'বাঘি ২'। তার আগে আসুন আমরা 'এক দো তিন'-এর ১ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের রিডাক্সটা দেখে নিই।


সূত্র : এনডিটিভি

Saturday, June 27, 2020

পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি খুলছে চীন, কৌশলগত চাপে ভারত (China opens military bases in Pakistan, India under strategic pressure)

china army


সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ইসলামাবাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও শুরু করে দিয়েছে বেইজিং। ভারতের ওপর কৌশলগত চাপ বাড়াতে চীন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে ইরানের চবাহার বন্দরের অদূরে জিয়ানিতে চীন সামরিক ঘাঁটি করবে। তাৎপর্য পূর্ণভাবে চবাহার বন্দর পুননির্মাণে ইরানকে সাহায্য করছে ভারত।এমনকি ইরানের চাবাহার থেকে আফগানিস্তানের হাজিগক পর্যন্ত যে করিডর নির্মাণের কাজ চলছে তার প্রধান বিনিযোগকারী দেশ ভারত। এই করিডর নির্মাণের কাজ শেষ হলে আফগানিস্তান হয়ে ইরান পর্যন্ত ভারতীয় পণ্য রপ্তানি আরও মসৃণভাবে করা যাবে।

তাছাড়া ভৌগলিকগত দিক থেকেও এই এলাকার গুরুত্ব অনেক। একদিকে রয়েছে গালফ অফ ওমান সীমান্ত অন্যদিকে আছে বালোচিস্তান প্রদেশ।ফলে জিয়ানিতে সামরিক ঘাঁটি হলে গোটা চত্বরে নজরদারি চালাতে পারবে চীন। একই সঙ্গে চবাহার থেকে হাজিগক পর্যন্ত করিডরও চীনের নজরদারির আওতায় চলে আসবে।

এ ব্যাপারে এক দক্ষিণ এশীয় বিশেষজ্ঞের মতে, ‘বেজিং এবং ইসলামাবাদ উভয়েরই যৌথভাবে পাকিস্তানের মাটিতে নৌ এবং বিমানসেনা ঘাঁটি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে এমন কোনো পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই।’

উল্লেখ্য, দেশের বাইরে এর আগে আফ্রিকার জিবুতিতে নৌসেনাঘাঁটি খুলেছে চীন।

যেভাবে ভূমিকম্প প্রতিরোধ করবে বোতলের তৈরি বাড়ি (How to prevent earthquake bottles made home)


funny house


কি অবাক হচ্ছেন তাইনা ? ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম শুনলেই আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। কারণ বিপুল পরিমাণ প্রাণঘাতী দুর্যোগের নাম ভূমিকম্প। কোনো রকম পূর্বাভাস জানার উপায় নেই। হঠাৎ ঘটে যায় এ দুর্যোগ। ধ্বংস হয় জনপথ। প্রাণ হারায় মানুষ।

ভূমিকম্প প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকে।তবে এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই নাইজেরিয়া।তাই ভূমিকম্প প্রতিরোধে বোতলের বাড়ি বানাচ্ছেন তারা।
এই বোতলের বাড়িতে তেমন খরচ নেই বললে চলে। এছাড়া প্লাস্টিক দূষণ ঠেকাতে, বেকারত্ব দূর ও ভূমিকম্প প্রতিরোধে নতুন এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে নাইজেরিয়া৷
জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সাত বছর আগে নাইজেরিয়ার কিছু নির্মাণশ্রমিককে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। তাদের অনেকেই এখন পরিণত হয়েছেন দক্ষ প্রশিক্ষকে৷ এখন বোতল বাড়ি নির্মাণকাজে আগ্রহীদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে৷
আসুন দেখে নেয়া যাক বোতল দিয়ে কীভাবে ভূমিকম্প প্রতিরোধে বাড়ি তৈরি করে নাইজেরিয়ার অধিবাসীরা।

নাইজেরিয়ার বোতল বাড়িঃ
প্লাস্টিক দূষণ ঠেকাতে ও বেকারত্ব দূর করতে নতুন এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে নাইজেরিয়া৷ প্রকল্পের আওতায় প্লাস্টিক বোতল এবং বালি দিয়ে বানানো হচ্ছে বাসাবাড়ি৷ এই বাড়িগুলো পরিবেশসম্মত এবং দীর্ঘস্থায়ী৷

প্রশিক্ষণ, দক্ষতাঃ
ইটের বাড়ি বানানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সিইবা৷ কিন্তু গত সাত বছর ধরে তিনি ইটের বদলে বাড়ি বানাচ্ছেন বোতল দিয়ে৷

ভিন্ন ধরনের রিসাইক্লিংঃ
প্রায় ১৯ কোটি মানুষের দেশটিতে প্লাস্টিক একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে৷ প্লাস্টিক বোতল মাঝেমধ্যেই দেশটির শহরগুলোর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করে৷ বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও বাজে রূপ নেয়৷ বছরে উৎপাদিত ৩ দশমিক ২ টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশটিতে নেই তেমন কার্যকর ব্যবস্থা৷ ফলে রিসাইক্লিং যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে৷
প্রকল্পের উদ্যোক্তাঃ

নির্মাণ প্রকৌশলী ইয়াহিয়া আহমেদ জার্মানিতে ২৭ বছর ধরে বাস করেছেন, চাকরিও করেছেন৷ নিজের দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশদূষণ নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকায় বানানো এ ধরনের কিছু বাড়ি থেকেই এই ধারণা পান আহমেদ৷ তিনি বলেন, জার্মানিতে এক বন্ধু আমাকে এ বুদ্ধি দেয়৷ ভাবলাম, নাইজেরিয়াতে এটা কাজে লাগানো যায়৷

বেকারত্ব নিরসনঃ 
নাইজেরিয়ার ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের এক চতুর্থাংশেরই কোনো নিয়মিত আয় নেই৷ অনেককেই শেষ পর্যন্ত জীবনধারণে বেছে নিতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি বা চুরি৷ আহমেদ বলছেন, এদের অনেকে রাজনীতির শিকারে পরিণত হয়, কেউ জড়িয়ে পড়ে মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে৷ এ জন্য তাদের বিকল্প উপায় দিতে হবে৷

সাধারণ কিন্তু কার্যকরঃ
নির্মাণ প্রক্রিয়া বিস্ময়করভাবে সহজ৷ প্লাস্টিকের খালি বোতল বালি এবং পাথরকুচি দিয়ে ভর্তি করা হয়৷ এরপর নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে সেগুলোকে একটার ওপর একটা সাজিয়ে কাদা দিয়ে আটকে দেয়া হয়৷ এই পদ্ধতি যে শুধু পরিবেশবান্ধব তাই নয়, খরচও অনেক কম৷ এতে নির্মাণ খরচ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমানো সম্ভব৷

বুলেটপ্রুফ এবং ভূমিকম্প-প্রতিরোধীঃ
বোতল বাড়ির আরেক বড় সুবিধা- স্থায়িত্ব৷ বালিভর্তি বোতলগুলো প্রায় অবিনশ্বরই বলা চলে৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকার হন্ডুরাসে বানানো এমন কিছু বাড়ি ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পেও অক্ষত ছিল৷ নির্মাতাদের দাবি, এই বাড়িগুলো বুলেটপ্রুফ৷

অসীম সৃষ্টিশীলতাঃ
আবুজা প্রকল্পে নানা আকারের ও বর্ণের প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হয়৷ ফলে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইনে বাড়ি বানাতেও কোনো বাধা নেই৷ উত্তর নাইজেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে নানা রং ও নকশা মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে  অপূর্ব কিছু বাড়ি

পরস্পরকে পেটানোর হুমকি ট্রাম্প-বাইডেন’র (Trump-Baiden threatens to beat each other)

trump biden


মায়ামিতে যৌন নিপীড়নবিরোধী একটি র‌্যালিতে যোগ দিয়ে ২০০৫ সালে নারীদের নিয়ে ট্রাম্পের করা আপত্তিকর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন ওবামা সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি ওই র‌্যালিতে দেয়া ভাষণে ট্রাম্পকে পিটিয়ে তুলোধুনো করারও হুমকি দেন তিনি।

হোয়াইট হাউজের মসনদে বসে এমন সমালোচনা নিশ্চয় চুপ করে সইতে পারেন না ট্রাম্প। পাল্টা জবাব দিতে তিনিও সরব হলো। পাটকেল ছুড়লেন জো বাইডেনের দিকে। বাইডেনকে পেটানোর হুমকি দিলেন ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের এ সংক্রান্ত একটি টুইটারের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো এমন খপর প্রকাশ করেছে।

টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন: ‘‘ক্ষ্যাপা জো বাইডেন নিজেকে শক্তিশালী লোক বলে প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। আসলে সে দুর্বল। সে শারীরিক ও মানসিক দুদিক থেকেই আমার চেয়ে দুর্বল।

তারপরও সে আমায় ভয় দেখাচ্ছে। এ নিয়ে দু’দুবার সে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ভয় দেখিয়েছে। সে আসলে চেনে না আমি কেমন মানুষ। সে জানে না, সে হয়তো কেঁদেও পার পাবে না।’’
গত মঙ্গলবারের ওই র‌্যালিতে জো বাইডেন “Access Hollywood” নামের একটি ভিডিও বার্তা তুলে ধরেন। ২০০৫ সালে ওই ভিডিও টেপে নারীদের সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘নারীদের অনুমতি ছাড়াই আমি তাদের শরীর স্পর্শ করতে পারি। অনেকবার এমনটি করেছিও।

জো বাইডেন ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তার ভাষণে বলেন, ‘হাইস্কুলের ছাত্র হলে আমি ট্রাম্পকে জিমনেসিয়ামের পেছনে ডেকে নিয়ে পেটাতাম।’

ট্রাম্পের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে ট্রাম্প কোনও নারীকে নিয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য করলে আমি ওকে নিশ্চিত পেটাবো। যারা নারীদের অবমাননা করে তারা কুৎসিত।’

এসময় তিনি ট্রাম্পকে বিশেষ ইতর প্রাণীর সঙ্গেও তুলনা করেন। সূত্র: ইয়াহো ডটকম 

শশী লজ কেবল একটি সাধারণ স্থাপনা নয় (Shoshi Lodge)

শশী লজ


নাম শুনে শশী লজকে খুব সাধারণ কোনোকিছু মনে হতেই পারে আপনার। তবে শশী লজ কেবল একটি সাধারণ স্থাপনা নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে অতীত অনেক ইতিহাস।

‘শশী লজ’ (Soshi Lodge) ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের বাড়ির নাম। স্থানীয়ভাবে এটি ময়মনসিংহ রাজবাড়ি নামেও পরিচিত। এ লজের অদূরে ব্রহ্মপুত্র নদ। জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য ১৮ শতকের শেষার্ধে ‘ক্রিস্টাল প্যালেস’ নামে এক মনোরম প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন, যা ‘রংমহল’ নামেও পরিচিত ছিল। ১৮৯৭ সালের ১২ জুন গ্রেট ইন্ডিয়ান ভূমিকম্পে এ প্রাসাদ ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯ শতকের একদম শুরুর দিকে মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য একই স্থানে বাইজেন্টাইন ধাঁচের নির্মাণ শৈলীতে শশী লজের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই সূর্যকান্ত আচার্য মত্যুবরণ করেন। নিঃসন্তান সূর্যকান্তের দত্তক পুত্র শশীকান্ত আচার্য ১৯০৫ সালে এ ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তাঁর নাম অনুসারে এ ভবনের নামকরণ হয় ‘শশী লজ’। মহারাজ শশীকান্ত ১৯১১ সালে শশী লজের সৌন্দর্যবর্ধনে কিছু সংস্কার কাজ করে এ ভবনকে করে তোলেন অনিন্দ্যসুন্দর।

শশী লজে প্রবেশ করলে প্রথমেই আপনার দৃষ্টি কেড়ে নেবে বিশাল এক শ্বেত মার্বেল পাথরের ভেনাসের পূর্ণাঙ্গ মূর্তি। এছাড়া ভেতরে ১৮টি বিশাল বিশাল ঘর নিয়ে শশী লজ। বারান্দা ও করিডোর নিয়ে ভবনটি ৫০,০০০ বর্গ ফুটের কম হবে না। পুরো ভবনের ফ্লোর মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। ছাদে উঠার জন্য একটি কারুকাজ খচিত লোহার প্যাঁচানো সিঁড়ি আছে। পুরো ভবনে রানিং ওয়াটারের লাইন টানা আছে। ভবনের ভেতরে আধুনিক টয়লেটও আছে। ভবনটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এর অনেক কিছুই এখনও নষ্ট হয়নি।

পেছনে রয়েছে পাড় বাঁধানো পুকুর। পুকুর পাড়ে হাওয়া খাওয়ার জন্য দ্বিতল ছোট্ট ভবন। পুকুর পাড়েই গোলাকৃতির একটি কাপড় পরিবর্তনের ঘর রয়েছে। লজের চারপাশে এখনও কিছু বিশদাকায় বৃক্ষ কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। সেই ১০০ বছরেরও অধিকাল আগের নির্মিত সীমানা প্রাচীর আজও প্রায় অটুট আছে।

ভাবছেন, কীভাবে যাবেন শশী লজে? ঢাকার যেখান থেকে ময়মনসিংহ যাবার বাস পাবেন, সেখান থেকেই বাসে উঠে ময়মনসিংহ শহরে নামবেন। (মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে এনা বাস যায়)। সেখান থেকে যেকোনো রিক্সা বা ইজি বাইকে শশী লজ বা ময়মনসিংহ রাজবাড়ি বলে দরদাম করে ভাড়া ঠিক করবেন। ব্যস, পৌঁছে যাবেন শশী লজে!

Friday, June 26, 2020

সুশান্তের মৃত্যু হত্যা না আত্নহত্যা সি বি আই তদন্তের দাবি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের (rupa ganguly)



বলিউড রপালী জগতের প্রতিভাবান অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার তিনি এ বিষয়ে তিনটি টুইট করেন। গত ১৪ জুন রবিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাসভবন থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর এই অকাল মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও রহস্য আছে এই মৃত্যুর পিছনে? এই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত মায়া নগরীর অভিনেতা, অভিনেত্রী, সুশান্তের আত্মীয় পরিজন, গুণমুগ্ধরা। এই আবহেই তরুণ প্রতিভাবান অভিনেতার মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপির রাজ্যসভার এই সাংসদ আবেগমথিত ভাষায় তিনটি টুইট করেছেন। লিখেছেন, ' আমরা বাবা, মা, সতীর্থ, বন্ধু, পরিবার, নাগরিক হিসাবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দায়ী থেকে যাবো, যদি সুশান্ত প্রকৃত বিচার না পায়। আর নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তিনি আরও লিখেছেন, ' আমরা কি বিষয়টা এমনিই ছেড়ে দেবো? যেখানে অনেক প্রশ্নের উত্তর নেই। আমরাও কি তাহলে এমন প্রতিভার অপমৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবো না?' যেখানে আমাদের দেশে প্রত্যেকের আইনের সাম্যের অধিকার রয়েছে, সেখানে আমরা কাউকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারিনা।'

বিবাহের প্রথম বছর কি সত্যিই কঠিন? (Is The First Year Of Marriage Really The Hardest? )


couple love

বিবাহের প্রথম বছর একটি অল্প বিস্তর দ্বন্দ্ব এবং নিজের সাথে দোটানার বছর।ব্যাপকভাবে মধুযামিনী সময় হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।প্রায় সব দম্পতিদের জন্য একসঙ্গে তাদের পরবর্তী অধ্যায়ের শুরু করতে হয় প্রথম বছর বিশেষ করে যারা পরিবারে সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু র্যাচেল এ,সউসমান, এলসিএসবি এরং নিউ ইয়র্ক সিটির রিলেশনশিপ কাউন্সিলিং বিশেষজ্ঞএর মতে, যে কোনও নতুন অভিজ্ঞতার মতই, বিবাহিত জীবন নিজস্ব চ্যালেঞ্জগুলি উপস্থাপন করতে বাধ্য যা সমাধান করা সহজ নাও হতে পারে।যতদুর পারা যায় একে অপরকে ছাড় দেবার মানসিকতা এই সব সম্যসার সহজ সমাধান দিতে পারে।

পুরাতন বিবাহিত রমনিদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিবাহের প্রথম বছর সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে না।"বিবাহের প্রথম বছর সত্যিই আনন্দিত হওয়া উচিত।বিবাহের প্রথম বছরের মধ্যে [অনেকগুলো সমস্যা আছে] যেসব সমস্যা দম্পতির সাথে শুরু হয়েছিল তাদের সমস্যা গুলো দূর হয়ে যায়।"

বিবাহের প্রথম বছর 9 কঠিন জিনিস মোকাবেলা করতে হয়ঃ
১। আপনি আপনার নতুন শিরোনাম সম্পর্কে উত্তেজিত হতে পারে।
২।আপনি নতুন অভ্যাসে আসক্ত হতে পারেন।
৩।নতুন দম্পতি ছেলে হবে না মেয়ে হবে? দেখতে কার মত হবে এই বিষয় নীয়ে খুনসুটিতে ব্যস্ত হতে পারে।
৪।অযথা গুজবে কান দিতে পারেন এবং একে অপরকে সন্দেহ করতে পারে।
৫।মাঝে মাঝে আপনি বিশ্বাস করতে চাইবেন না যে আপনি বিবাহিত।আপনি নিজেকে চিম্টি কেটে পরখ করতে চাইবেন।
৬।আপনি নিজেকে বয়স্ক মনে করতে পারেন।
৭। বিশ্বের সবচেয়ে ছন্নছাড়া ব্যক্তিটি রুটিন মাফিক চলতে অভস্ত্য হবে
৮। অর্থের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যেতে পারে।

এবং যদি আপনি প্রথম বছর উপভোগ করেন - মনে করেন আপনি আরও অনেকদুর  এগিয়ে যাবেন।

Thursday, June 25, 2020

ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংসের রান সেরা পাঁচটি (Highest innings totals in One-day Internationals)


গত দেড় দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের ব্যাটিংয়ের ক্ষমতা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পুরোপুরি আলাদা স্তরে চলে গেছে। ওয়ানডে ক্রিকেট বিশেষত ৩৫০ টিরও বেশি স্কোরকে সাধারণ হয়ে উঠেছে। বল পরিবর্তনের নিয়ম, সংক্ষিপ্ত সীমানা এবং উন্নত মানের ব্যাটসের সাহায্যে ব্যাটসম্যানদের দিকে খেলা ঝুঁকছে।

ব্যাটসম্যানরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বোলারদের দাপট বিস্তার করতে দেখা যায় এবং বোলাদের উইকেটের জন্য খুব কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। ফলশ্রুতিতে বেশিরভাগ সময় ধরে ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে দলটি মোট রান ৩৫০ পার করে চলেছ

সবভাবনা ব্লগস্পোট ডটকম এখানে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ পাঁচটি সর্বোচ্চ দলীয় রান সংগ্রহ করেছে এমন রেকর্ড তুলে ধরছে।

ইংল্যান্ড ৪৮১/৬ (২০১৮ সালে বনাম অস্ট্রেলিয়া) England 481/6 (vs Australia in 2018)

মাঠের অবৈধ ক্রিয়াকলাপ এবং মানসম্পন্ন বোলারদের ইনজুরির সমস্যা। সেই সাথে শীর্ষ বাটসম্যানদের ইঞ্জুরীতে পড়ার কারণে তাদের শীর্ষ ব্যাটসম্যানরা  সফর স্থগিত করে। এইরকম এক কঠিন সময় অস্ট্রেলিয়ান ভঙ্গুরদল ২০১৮ সালে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলার জন্য ইংল্যান্ড সফর করেছিল। স্বাগতিক ইংল্যান্ড সুপার ফর্মে ছিলো এবং নির্মম ছিল, কারণ তারা 5 ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রতিটি খেলায় অসিদের 5-0 ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।

ইংল্যান্ড 444/3 (2016 সালে বনাম পাকিস্তান)

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডর মালিক বিশ্বের প্রথম সারির ওয়ানডে দলের অন্তর্গত, ইংল্যান্ড। নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজ বিগত কয়েক বছরে ব্যাটিং স্বর্গে এবং বোলারদের জন্য একটি কবরস্থান ছিল। স্টেডিয়ামটি বেশ কয়েকটি ওডিআই ব্যাটিংয়ের রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার সাক্ষী এবং তাও দ্রুত গতিতে। 2016 সালের আগস্টে, পাকিস্তানের বোলাররা ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ক্রোধের মুখোমুখি হয়েছিল, স্বাগতিকরা দু'বছর পরে একই ভেন্যুতে নিজের রেকর্ড ভাঙার আগে ৪৪৪/৩ রানে তখনকার সেরা রান করেছিল।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ওপেনার জেসন রায়কে (১৫) বাদ দিয়ে পুরো ব্যাটিং অর্ডারে বিস্ফোরিত হয়ে চার ও ছক্কা ফুল ফোটাতে থাকে গ্যলারী জুড়ে। এই ম্যাচে ওপেনার অ্যালেক্স হেলস তাঁর সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোরটি নিখুঁতভাবে  করেন । তিনি মোট 122 বলে 172 রেকর্ড করেছিলেন। যা একটি বিশাল টোটালের জন্য নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করেছিলেন। জো জো রুট (৮৫) এরপরে ইংল্যান্ডকে সঠিক পথে রাখার জন্য মাঝের ওভারগুলিতে সুন্দরভাবে সহায়তা করেছিলেন এবং তারপরে জোস বাটলার (৫১ বলে ৯০*) এবং অধিনায়ক ইইন মরগান (২৭ বোলে ৫৭*) নিশ্চিত বড় স্কোর গড়তে যাহায্য করে।পাকিস্তানের অধিনায়ক আজহার আলীর ব্যবহৃত সাত বোলার ইংল্যান্ডের জাগরনটাকে এক সেকেন্ডের জন্যও থামতে পারেননি। ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে যায়।

শ্রীলঙ্কা 443/9 (2006 সালে বনাম নেদারল্যান্ডস)

অনেকেই ভুলে যেতে পারেন যে 2006 সালে শ্রীলঙ্কা সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোরের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল।প্রায় ৯ বছর ধরে এই রেকর্ড অক্ষত ছিলো। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিপক্ষে খেলে শ্রীলঙ্কা  এই রান করেন। অ্যামস্টেলভিনে ৪ জুলাই ৪৪৩/৯ স্কোর করে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা ডাচ বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলে খেলায় মেতে উঠেছিলো। সনাত জয়সুরিয়া (১০৪ বলে ১৫৭) এবং তিলকরত্নে দিলশান (৭৮ বলে ১১৭) রান করেছিলেন।অতিরিক্ত ৩৪ রান দেন নেদারল্যান্ডসের বোলাররা।যা শ্রীলঙ্কাকে তত্কালীন সর্বোচ্চ রান অর্জনে সহায়তা করেছিল। জবাবে, নেদারল্যান্ডস ২৪৮ রান করে প্রতিরোধ গড়ে তোলার দুর্বল প্রচেস্টা চালান।ফলে ১৯৫ রানে পরাজিত হন।

দক্ষিণ আফ্রিকা 439/2 (2015 সালে বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

২০১৯ সালে এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং তার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাট হাতে আগুনের বৃষ্টিপাত ঝরান । ফলশ্রুতিতে ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম বিশেষ ম্যাচ - দ্য পিঙ্ক ওয়ানডে - কে অবিস্মরণীয় করে তুলেছিল। ৪৩৯/২ স্কোর করে, ব্যাস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণকে গণহত্যা করে উইন্ডিজ ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম খারাপ দিন হিসাবে পরিণত করেছিল। মিঃ ডি ভিলার্স, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে, সেই ম্যাচের দ্রুততম গতিতে ওয়ানডেকে স্মরণীয় করে তোলে। ৫৯ মিনিট সময় ক্রেজে থেকে মাত্র ৪৪ বলে ১৪৯ রান করে খেলাকে আনন্দদায়ক করে তোলেন। যদিও ডি ভিলার্স সেদিন ব্যাট হাতে যাদুকর ছিলেন, ওপেনার হাশিম আমলা (১৪২ বলে ১৫৩ অপরাজিত) এবং রিলে রসউ (১১৫ বলে ১২৮ রান) খুব অবিস্মরণীয় সার্পোট দেন, যার ফলে বিশ্বজুড়ে সবাই ম্যাচ দেখার জন্য তাদের টিভি সেটে স্থির ছিল। । সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত ছোঁয়ায়  হতাশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনও উত্তর ছিল না। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা যে সমস্ত স্পর্শ করেছে সেগুলি সোনায় পরিণত হয়েছিল। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আত্মসমর্পণের আগে ২৯১ / ৭ রান স্পর্শ করে।তারপরও দিনটি দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি এ বি ডি ভিলার্সের ছিলো।

দক্ষিণ আফ্রিকা 438/9 (বনাম অস্ট্রেলিয়া 2006 সালে)

ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচ ছিলো এটি। পরে ব্যাট করেও যে বিশাল রান তাড়া করা যায় সেই ইতিহাস দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বারা লিখিত হয়েছিল 12 ই মার্চ, 2006 এ জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। পরাজয়ের চোয়াল থেকে বিজয় চুরি করে, প্রোটিয়ারা সেদিন বিশ্বকে প্রমাণ করেছিল যে 435-র মতো কঠোর একটি লক্ষ্যও তাড়া করা যেতে পারে। ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম এবং বিশ্বজুড়ে ভক্তরা উভয় দলেরই রেকর্ড ব্রেকিংয়ের প্রচেষ্টার মুখোমুখি হয়েছিল, যেহেতু স্বাগতিকরা ৫০ ওভারের ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায় ৪৩৫ রানের এক অসম্ভব রান তাড়া করে। রিকি পন্টিং 105 বলে 164 রান করে ।হার্শেল গিবসকে ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারী হাকান।  গ্রিম স্মিথের 90 এবং মার্ক বাউচারের অপরাজিত 50 রান করেন। ম্যাচের  প্রতিটি মুহুর্ত ব্যাট এবং বলের মধ্যে একটি মহাকাব্য লড়াই ছিল। সর্বকালের সবচেয়ে স্নায়ুবিক ম্যাচে বড় অঙ্কের রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৩৮ / ৯ দিয়ে শেষ হয়েছিল, যা ওয়ানডে ফর্ম্যাটে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান। এটি দ্বিতীয় ইনিংসের একটি বিরল স্কোর যা ওয়ানডে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে। 

গুগল এবং ফেসবুক আপনার সম্পর্কে কি জানেন(What Google and Facebook know about you)



একজন প্রযুক্তিবিধ, কনসালট্যান্ট এবং ওয়েব ডেভেলপার তার টুইটার একাউন্টে লিখেছে,গুগল এবং ফেসবুক স্মার্টফোন মালিক অনলাইন বা অফলাইন কি করে সব কিছু জানেন এবং তথ্যটি ডিভাইসটির ডেটা মুছে ফেললেও গুগল এবং ফেসবুক তা সংরক্ষিত রাখে।ডিলান কারারণ লিখেছেন "নিজেকে নির্দোষ করতে চান?" ফেসবুক এবং গুগল আপনার অনুমতি ছাড়া ঠিক কতটা দেখানো হবে।এটি উপলব্ধি করে না "।

 এখানে এর তালিকা থেকে একটি পয়েন্ট  নির্বাচন করা হলোঃ

আপনি আপনার ফোনটি চালু করলে Google আপনার অবস্থানটি সংরক্ষণ করে (যদি এটি চালু থাকে) এবং আপনি আপনার ফোনে Google ব্যবহার শুরু করার প্রথম দিন থেকে  টাইমলাইনে দেখাতে পারেন।

Google আপনার সমস্ত ডিভাইসগুলিতে অনুসন্ধান ডেটা একটি পৃথক ডেটাবেসে সঞ্চয় করে দেয়, তাই আপনি আপনার অনুসন্ধান ইতিহাস এবং ফোন ইতিহাস মুছে ফেলার পরও, Google শেষ পর্যন্ত সবকিছু সংরক্ষণ করে রাখে।এই ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে সবকিছু মুছে নিতে হবে এবং তা আপনার সমস্ত ডিভাইস করতে থেকেই।

আপনার অবস্থান, লিঙ্গ, বয়স, শখ, কর্মজীবন, আগ্রহ, সম্পর্কের স্থিতি, সম্ভাব্য ওজন এবং আয় সহ আপনার তথ্য ভিত্তিক  একটি বিজ্ঞাপন প্রোফাইল তৈরি করে Google

Google আপনার ব্যবহৃত প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন এবং এক্সটেনশনের তথ্য সংরক্ষণ করে, আপনি কত ঘন ঘন তাদের ব্যবহার করেন, যেখানে আপনি তাদের ব্যবহার করেন, এবং যাদের সাথে আপনি যোগাযোগ করেন (আপনি কোনও ফেইসবুকের সাথে কথা বলছেন, কোন দেশের সাথে কথা বলছেন, আপনি কোন সময় যাবেন ঘুমানোর জন্য) সব তথ্য থাকে গুগলের কাছে।আপনার অনুমতি ছাড়াই গুগল তা ৩য় পক্ষের নিকটি বিক্রি করতে পারে।

গুগল আপনার সব ইউটিউব ইতিহাস সংরক্ষণ করে, যদি আপনি প্রগতিশীল, যদি আপনি ইহুদি, খৃস্টান বা মুসলিম হন, আপনি রক্ষণশীল হন, শীঘ্রই আপনি মা বাবা হতে চলেছেন কিনা তা জানতে পারে, ' যদি আপনি অ্যানোরিক্সিক হন তাহলে আপনি হতাশ বা আত্মহত্যা অনুভব করছেন সে তথ্য থাকবে গুগলের কাছে।গুগল আপনার সম্পর্কে সংরক্ষণ করে সব তথ্য ডাউনলোড করার একটি বিকল্প প্রস্তাব করে, "আমি এটি ডাউনলোড করার জন্য অনুরোধ করেছি এবং ফাইলটি 5.5 গিগাবাইট বড়, যা প্রায় তিন মিলিয়ন শব্দের দস্তাবেজ।

ফেসবুক (Facebook) আপনার সমস্ত তথ্য ডাউনলোড করার জন্য একটি অনুরূপ বিকল্প প্রস্তাব দেবে, প্রায় 600MB, যা প্রায় 400,000 শব্দ দস্তাবেজ হয়।

এতে আপনি যে বার্তাটি পাঠিয়েছেন বা পাঠানো হয়েছে তার প্রত্যেকটি ফাইল আপনি কখনও পাঠিয়েছেন, আপনার ফোনে সমস্ত পরিচিতি এবং আপনি যে সমস্ত অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন বা পাঠানো হয়েছে সব কিছু থাকে ফেসবুকে।

ফেসবুকে (Facebook) আপনি যা পছন্দ করেছেন তার উপর ভিত্তি করে আপনি এবং আপনার বন্ধুরা কী বিষয়ে কথা বলছেন তার উপর ভিত্তি করে ফেসবুকে সেগুলি সংরক্ষণ করে।আপনার জন্য বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে এবং সেই তথ্য সংরক্ষন করতে পারে।

কিছুটা নিখুঁতভাবে, তারা আপনার ফেসবুকে সর্বদা পাঠানো সমস্ত স্টিকার সংরক্ষণ করে।

তারা আপনার ফেসবুক লগ ইন করার সময়, যেখানে আপনি লগ ইন করেছেন, কোন সময় এবং কোন ডিভাইস থেকে লগইন করে রাখেন।সব জানে।

Wednesday, June 24, 2020

রেস 3': অভিনেতা সালমান খান সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য('Race 3': Interesting facts about the Salman Khan starrer)

race 3 poster


এক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়েছে রেস ৩ এর অভিনেতাদের পরিচয় পর্ব। জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, অনিল কাপুর, ববি দেওল, ডেইজি শাহ এবং সাকিব সলিমকে নিয়ে প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রের পোস্টার উদ্বোধন করেন সালমান খান।

পোস্টারটির সামনে চেয়ারে বসে আছে সালমান। বাকি সবাই সুসজ্জিত পোশাকে দাঁড়িয়ে আছে পিছনে।অনেকের হাতে আছে রিভাল বার। অসাধারণ একটি পোস্টার মানতে হবে।

বলিউড সুপার স্টার তার টাইম লাইনে পোস্টার টি শেয়ার করে  বলেছেন " এই হচ্ছে আমাদের রেস ৩ পরিবার।তাহলে চল শুরু করি আমাদের যাত্রা। আপনার পরিবার সহ আসুন আর দেখুন কিভাবে আমাদের এই একশন / থ্রিলার মুভি পরিবারে পাশে দাঁড়ায়।এই পোস্টারটি শুরুর দিকে আসে, যা বর্তমানে থাইল্যান্ডের সময়সূচীটি আবৃত করার পর আবুধাবিতে পূর্ণ গতিতে চলছে।

রেমো ডি'সুজা পরিচালিত, এবং ফ্রেডি দারুওয়ালাকে অভিনিত 'রেস 3' ঈদ ২018 সালে মুক্তি পায়। 

বসন্তের শহর-কুনমিং যেন নব যৌবনা (Spring city-kunming)

stone forest


চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী ‘কুনমিং’কে বলা হয় ‘চির বসন্তের শহর’। কুনমিং হচ্ছে চাইনিজ শব্দ যার অর্থ হচ্ছে চির বসন্তের শহর। সারা বছরই বসন্ত কালের মতো আবহাওয়া। না শীত, না গরম। তিন দিকে পাহাড় এবং একদিকে বিখ্যাত ‘ডায়ানচি লেক’। মনোরম আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা কুনমিং প্রাচীনকাল থেকে ভ্রমন পিপাসুদের আকৃষ্ট করছে।

ঢাকা থেকে প্লেনে কুনমিং এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র দুই ঘন্টা। সুন্দর ঝকঝকে বিশাল এয়ারপোর্টটি ২০১২ সালে চালু হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০টি এয়ারপোর্টের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে এটি। ছিমছাম যানজটমুক্ত আধুনিক শহর। আগে থেকেই হোটেল বুকিং দেওয়া থাকলে ভালো। ট্যাক্সি নিয়ে হোটেলে পৌঁছে বিশ্রাম নিন।

ইন্টারনেটের বদৌলতে আগে থেকেই দশর্নীয় স্থানগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে রাখতে পারেন। আর কোনদিন কোনটা দেখবেন তাও ঠিক করে রাখবেন আগে থেকেই।সফরের প্রথম দিন শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে শহরটি সম্পর্কে একটি ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করলে পরবর্তীতে সুবিধা হবে আপনার জন্য। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৬২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত প্রায় ২৪০০ বছরের একটি পুরানো শহর বর্তমানে আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের এক অনুপম নিদর্শন। আকাশ ছোঁয়া সব দৃষ্টি নন্দন অট্টালিকা এবং প্রশস্ত রাস্তা এর বিশেষত্ব।

এখানকার মানুষজনও খুবই ভদ্র ও সহনশীল। চারদিকে ফুলের সমারোহ। সারা বছরই নানা রঙ্রে ফুলে চোখ জুড়িয়ে যায়। মনে হয় পুরো শহরটিই যেন একটি বৃহৎ ফুলের বাগান।বিশাল একটি ফুলের মার্কেট আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফুল রপ্তানি হয় এখান থেকে।প্রায় সবখানে নাকে আসবে ফুলের সুবাস যা আপনাকে মুগ্ধ ও পুলকিত রাখবে সবসময়।

এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থাও খুবই ভাল। বাস, ট্রেন, মেট্রো সবই আছে। বাস খুবই সহজলভ্য এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা। ১ অথবা ২ আরএমবি দিয়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া যায় (১ আরএমবি সমান ১৩ টাকা)।

দর্শনীয় স্থানঃ  স্টোন ফরেস্ট’(Stone Forest )

পৃথিবীর প্রথম বিস্ময় হিসেবে খ্যাত ‘স্টোন ফরেস্ট’। কুনমিং শহর থেকে ১২০ কি. মি. দক্ষিণে এই দশর্নীয় স্থানটি অবস্থিত। বাস, ট্রেন, ট্যাক্সিতে খুব সহজেই যাওয়া যায় এখানে। আমরা সকালে কুনমিং রেলস্টেশন থেকে একটি ট্রেনে মাত্র দেড় ঘণ্টায় স্টোন ফরেস্টে পৌঁছি। স্টোন ফরেস্ট প্রকৃতির এক অদ্ভুত খেয়াল। চারদিকে পাথরের অভূতপূর্ব সব কারুকার্য। প্রায় ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছোট বড় উঁচু নীচু বিভিন্ন আকৃতির পাথর বৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে আছে।

দূর থেকে দেখেলে মাঝে মাঝে বিশাল গাছ, জীবজন্তু বা মানুষের আকৃতি বলে একে ভুল হতেই পারে।
স্টোন ফরেস্টের প্রবেশমূল্য ১৭৫ আরএমবি। দশনার্থীদের জন্য সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

আরো দেখতে পারেনঃ

ডায়ানচি লেক,
বাডর্স অ্যান্ড ফ্লাওয়ার মার্কেট,
ইউয়ান্তং বৌদ্ধ মন্দির,
ওয়েস্টান হিল,
ডাগুয়ান পার্ক,
আদিবাসী গ্রাম,
ইউনান জাতীয় জাদুঘর,
গ্রান্ড ভিউপার্ক,
হুয়াটিং টেম্পল,
ড্রাগন গেট 

কোথায় থাকবেনঃ

বাংলাদেশিদের থাকা ও খাওয়া  জন্য এখানে অনেকগুলো বাংলাদেশি গেস্ট হাউস বা রেস্টহাউস আছে। এদের সার্ভিসও ভাল। এসব গেস্ট হাউসের প্রতিনিধিদের সাক্ষাত পাওয়া যাবে বিমান বন্দরে নামলেই। এছাড়াও শহরের কেন্দ্রস্থলে হোটেলও থাকা যাবে। প্রচুর হোটেল আছে, ভাড়াও খুব বেশি নয়। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাই হোটেলগুলোতে পাওয়া যাবে। 

Tuesday, June 23, 2020

মোটা হওয়ার সহজ উপায় (Easy ways to be obese)

Easy ways to be obese


ফিনফিনে পাতলা শরীর কারোই কাম্য নয়। দেখতেও মানানসই নয়। বেশী মোটা কিংবা শুকনা কোনোটাই ভাল নয়; মাঝামাঝি থাকাটাই মঙ্গলময়। স্বাস্থ্য (health) প্রকৃতিগত ভাবে পাওয়া। চাইলেই যদি সব পাওয়া যেত তাহলে ইচ্ছেমত সবাই শরীরটাকে বদলে দিত, তবে হ্যা চর্চার মাধ্যমে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।

নিয়মিত অনুশীলন, চেষ্টা ধৈর্য আপনার চাওয়াকে পাওয়াতে পরিণত করবে। যারা খুব শুকনা তারা মোটা হওয়ার উপায়গুলো জেনে নিন।

১) যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান এবং রাতের ঘুম ঠিক রাখেন তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি আপনার স্বাস্থ্য মোটা করতে পারবেন। না ঘুমাতে পারলে আপনার শরীর ক্যালরী ধরে রাখতে পারে না। রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করুন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন।

২) একটা নিদিষ্ট সময় ধরে খাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করুন। সকালে প্রচুর পরিমাণে খেয়ে নিতে পারেন। হ্যাম বার্গার, ভাজা খাবার, চিকেন ব্রেস্ট খেলেও ক্ষতি নেই।

৩) সফ্ট ড্রিংকস্ এবং ফ্যাটি খাবার খেলে স্বাস্থ্য মোটা হয়। এতে হাই-ইন্সুলিন থাকে। ইন্সুলিন হরমোন তৈরি করে। যার সাহায্যে শরীরে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট জমে। যখন ফ্যাটি ফুডস্ খাবেন তখন জল পান করুন; সফ্ট ড্রিংকস্ নয়। এমনকি ডায়েট সফ্ট ড্রিংকস্ও নয়। এটা খেলে আপনি ফ্যাটি ফুড খেতে পারবেন না।

৪) এনার্জি ফুড খেলেও আপনি মোটা হবেন। শরীরে যদি এনার্জি ফুড না থাকে তাহলে শরীরে শক্তিই থাকে না মোটা হওয়া তো দূরের কথা। আপনি কখনো ব্যাটারিতে ল্যাপটপ কম্পিউটার চালাতে পারবেন না যদি প্লাগ না দেন। শরীরও তার ব্যতিক্রম নয়।

৫) টেনশনমুক্ত থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বেড়ে যায় টেনশন দূরে করে।
৬) প্রচুর ফল খান। ফল পুষ্টিকর খাবার এতে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। প্রতিদিন ফল এবং ফলের রস খান। ফলের তৈরি বিভিন্ন সিরাপ, কুবিথ, গাম, জ্যাম, জ্যালি খান এতে ফ্যাট আছে যা আপনার স্বাস্থ্য (health) মোটা করবে।

৭) আপনি কী এ্যালকোহল পানে অভ্যস্ত? এ্যালকোহল পান করলে শরীর মোটা হয় (যদিও এ্যালকোহল পান করা স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর। এর অতিরিক্ত পানে লিভার সহ শরীরের আরো অন্যান্য অংশ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়)। এটা শরীরের মাংশপেশীতে হরমোন তৈরি করে। শরীরে যখন অতিরিক্ত ক্যালরির প্রয়োজন হয় দিনের শেষে সন্ধ্যার দিকে, তখন এ্যালকোহল পান করতে পারেন। এ্যালকোহলে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। রাতে এ্যালকোহল পান করে তাড়াতাড়ি রাতের খাবার সেরে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। এতে খুব দ্রুত মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যেভাবে ক্রুসেডের কঠিন জবাব দিয়েছিল মুসলিমরা (The way Muslims responded by the Crusades had a strong answer)

Crusades picture


খ্রিস্টান সাম্রাজ্যের অধিপতি পোপ দ্বিতীয় আরবানের সময় ১০৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মতো মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষণা করে ইউরোপীয় ক্রুসেডাররা। তৎকালীন খ্রিস্টানদের দৃষ্টিতে এই ‘পবিত্র যুদ্ধ’ শেষ হয় ১২৯১ সালে। বারো শতকের একেবারে শুরুর দিকে শুধু পবিত্র নগরী জেরুজালেমই নয়, মুসলিম অধ্যুষিত লেভান্ট (ইরাক, সিরিয়া, তুরস্ক, মিসর, লেবানন, জর্দান, ফিলিস্তিন) অঞ্চলের বিরাট একটি অংশ দখলে নেয় ক্রুসেডাররা। এই সময়েই ক্রুসেডারদের হাতে চলে যায় ইসলামের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা।

বিরাট এই অঞ্চলের দখল এর আগে চারশো বছর ধরে বিশ্ব ক্ষমতায় থাকা মুসলিমদের মর্মাহত করে তোলে। জেরুজালেম দখলে নিয়ে ভূখণ্ড শাসনে নতুন ব্যবস্থা চালু করে ক্রুসেডাররা (Crusades)। স্থানীয় মুসলিম, ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের নিজ ভূমি থেকে উৎখাত করে তারা। পশ্চিম ইউরোপ থেকে অভিবাসী এনে তাদের স্থায়ী আবাস গড়ে।

মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আফাফ সাবরা বলেন, ‘ওই সমস্ত মানুষজন ছিল দাস ও ভূমিদাস শ্রেণী থেকে আসা। ইউরোপে তাদের কোনো অধিকার ছিল না।

তারা যখন আমাদের এখানে এলো, তারা ভূস্বামী হয়ে উঠলো, তাদের জীবন পাল্টে গেলো। তাদের সামাজিক অবস্থা বদলে গেলো। ফলে জনসংখ্যা ও সামাজিক স্তরবিন্যাসও পাল্টে গেলো।’

শুধু তাই নয়, প্রথম ক্রুসেডের কমান্ডাররা- ইউরোপে যারা নিম্ন শ্রেণীর যোদ্ধা ছিল- তারা দখলকৃত ভূখণ্ডে রাজকীয়ভাবে চলাফেরা শুরু করলো। ১১০০ সালের জুলাই মাসে প্রথম ক্রুসেডের (Crusades) অন্যতম নেতা বোলজোনার বাল্ডউইনকে জেরুজালেমের সম্রাট ঘোষণা করা হয়।

জাকাজিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কাসেম আবদু কাসেম বলেন, ‘জেরুজালেমে রাজতন্ত্র স্থাপনের ফলে এডেসা ও অ্যান্টিঅকের (রোমান ভূখণ্ড) জন্য আরব ভূমিতে আসা সহজ হয়ে যায়। নতুন উপনিবেশবাদী নেতারা খুব সহজেই তাদের রাজত্ব বাড়াতে থাকে।

এক দশকের মধ্যেই লেভান্ট উপকূলের বেশিরভাগ ক্রুসেডারদের হাতে চলে যায়। পূর্বাঞ্চলে খ্রিস্টান ছিটমহলের সংখ্যা দাঁড়ায় চারে। এর সঙ্গে ত্রিপোলিও (বর্তমান লিবিয়ার রাজধানী) দখল করে তারা।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের ইতিহাস বিভাগের গবেষক জ্যান ভেন্ডেবুরি বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ছিল ক্রুসেডারদের জন্য অত্যন্ত অত্যন্ত কৌশলগত স্থান- খাদ্য সরবরাহের জন্যও, তীর্থযাত্রী পরিবহণের জন্যও। সুতরাং উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ক্রুসেডারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

যুদ্ধপরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে ক্রুসেডেররা (Crusades) লাভবান হতে শুরু করে। তারা তাদের বাহিনী নিয়ে লেভান্টের তৎকালীন রাজধানী আলেপ্পোর দিকে যাত্রা করে।

সেই সময়ে আলেপ্পোর শাসক ছিলেন রেদওয়ান, যাকে বলা হতো, ‘মেরুদণ্ডহীন, ‘চাটুকার’ শাসক। ক্রুসেডারদের সঙ্গে সখ্য ছিল তার। তার ব্যাপারে এমন কথাও প্রচলিত আছে, আলেপ্পো মসজিদে খ্রিস্টানদের ক্রুশ ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে। অনেকেই তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।

এই বিদ্রোহ ছিল অপ্রতিরোধ্য। দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও তারা বাগদাদের খলিফার কাছে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানায়। আব্বাসীয় খলিফা আল-মুস্তাজহির সেলজুক সুলতানদের কাছে সাহায্য চান।

মসুলের গভর্নর মওদুদকে আদেশ দেয়া হয় তার বাহিনী জড়ো করে ক্রুসেডারদের আলেপ্পো দখল প্রতিহত করতে। এতে সফল হন তিনি। আপাতত ক্রুসেডারদের হাত থেকে শহরটি রক্ষা করা গেলেও রেদওয়ানের বাহিনীর বাধার মুখে এর ভেতরে প্রবেশ করা যায়নি।

সাবরা বলেন, ‘এই সময়েই দামেস্কের গভর্নর তোঘতেইন জেরুজালেম রাজত্বের আক্রমণের শিকার হন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে মওদুদের বাহিনী। আস-সানাবার যুদ্ধে বাল্ডউইনের বাহিনীর মুখোমুখি হয় মওদুদের বাহিনী। এতে শেষ পর্যন্ত মুসলিমদের হাতে ক্রুসেডাররা পরাজিত হয়।’

সারজাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মুহাম্মদ মোনেস আওয়াদ বলেন, ‘মুসলিমদের প্রতিহত করতে ক্রুসেডাররা তাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে রাখতো। এজন্য দায়ী ছিল অজ্ঞ মুসলিম শাসকরা। কিন্তু নতুন পরিস্থিতিতে মুসলিমের জন্য একটি একক ফ্রন্ট তৈরি হলো।’

এতদিন ধরে জেরুজালেমের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চলছিল দামেস্কের। ইমাদুদ্দিন জেঙ্গি নতুন করে সেনা অভিযানের প্রস্তুতি নিলেন। ১১৪৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার সেনাবাহিনী এডেসা আক্রমণ করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই প্রথম ক্রুসেডারদের কোনো রাজ্য মুসলিমদের অধীনে এলো।

ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক জোনাথন ফিলিপস বলেন, ‘এটি ছিল একটি বড় উত্তরণ। প্রকৃত সূচনা। ওই অঞ্চলের মুসলিমদের মধ্যে ‘জিহাদের’ পুনরুজ্জীবন। ক্রুসেডারদের (Crusades) জন্য এটি একটি বড় পরাজয়। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, তারাও পরাজিত হতে পারে এবং মুসলিমদের পুনরুজ্জীবন সম্ভব।’ 

Sunday, June 21, 2020

বিকিনি ছবি শেয়ার, সমালোচনার মুখে মন্দিরা বেদি (Bikini pictures share by Mandira )


mandira bedi

তানিশা মুখোপাধ্যায়ের পর এবার মন্দিরা বেদি। বিকিনি পরায় সমালোচনার মুখে পড়তে হল টেলিভিশনের জনপ্রিয় সঞ্চালিকা, অভিনেত্রীকে। গোয়ায় গিয়ে কেন বিকিনি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করেছেন মন্দিরা, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। যদিও সমালোচনার মুখে পড়ে সমালোচকদের যোগ্য জবাবও দেন মন্দিরা।

টেলিভিশনের ওই জনপ্রিয় মুখ বলেন, তিনি একজন অভিনেত্রী। আর তিনি সব সময় এগিয়ে যেতে চাওয়া মহিলাদের কথা ভাবেন। তাঁকে দেখে যে মহিলারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন নতুন কিছু করার, তাঁদের জন্যই তিনি নতুন কিছু করার পালটা অনুপ্রেরণা পান। কোন ব্যক্তি তাঁকে কী বললেন, তা নিয়ে কখনওই চিন্তা ভাবনা করেন না বলেও জানান মন্দিরা বেদি।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি করিনা কাপুর খানকে ‘কঙ্কাল’ বলে আক্রমণ করেন নেটিজেনদের একাংশ। বেগম সাহেবার পর কাজলের বোন তানিশা মুখোপাধ্যায়কেও ‘কঙ্কালসার’ বলে আক্রমণ করা হয়। এমনকী, তানিশা মতেই মোহময়ী নন, উলটে কিছু খাওয়াদাওয়া করে তিনি যেন সুস্বাস্থ্য বজায় রাখেন, সে বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হয় কাজলের বোনকে।

মজাদার মিষ্টি দই বানিয়ে নিতে পারেন বাসায়ই। স্বাস্থ্যকর দই কীভাবে বানাবেন জেনে নিন।(delicious sweet curd)

দই


উপকরণ 


দুধ- ২ লিটার
টক দই- দেড় কাপ
চিনি- স্বাদ মতো 

প্রস্তুত প্রণালি
  
হাঁড়িতে দুধ বসিয়ে দিন। ছয় থেকে সাতবার বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। খুব বেশি ঘন করবেন না। দইয়ের পানি ঝরিয়ে নিন। একটি প্যানে চিনি গলিয়ে নিন। সোনালি হয়ে গেলে সামান্য দুধ দিন প্যানে। এটি দইয়ে বাদামি রং নিয়ে আসবে।

বলক ওঠা দুধে এবার চিনি দিয়ে দিন। আরেকটি প্যানের দুধের মিশ্রণ ঢেলে দিন। আরও দুইবার বলক ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। চুলা বন্ধ করে নামিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা করুন।

পানি ঝরানো দই ভালো করে ফেটে নিন। কুসুম গরম থাকা অবস্থায় ধীরে ধীরে দইয়ের মধ্যে ঢালতে থাকুন দুধ। ভালো করে মিশিয়ে নিন। দই জমানোর পাত্রে ঢেলে নিন মিশ্রণ। পাত্রটি উষ্ণ কোনও স্থানে ঢেকে রাখুন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। তৈরি হয়ে যাবে মজাদার দই।

চাইলে চুলায়ও দই বানাতে পারেন। চুলায় বানানোর জন্য হাঁড়ির উপর তোয়ালে বিছিয়ে দইয়ের পাত্র বসিয়ে দিন। দইয়ের পাত্রে ফয়েলে মুড়ে নেবেন। মৃদু আঁচে ২ ঘণ্টা রেখে দিন চুলায়। জমে যাবে দই।

Friday, June 19, 2020

টেস্ট ম্যাচে ১০ উইকেট শিকারী ক্যারিশ্মাটিক বোলার (Cricket star)



টেস্ট ক্রিকেট বরাবরই অভিজাত খেলা। আর এই টেস্ট ক্রিকেটে বরাবরই দাপট দেখিয়েছেন স্পিনাররা।টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যাটসম্যানেরা বেশিরভাগ ব্যর্থ হয়েছেন স্পিনের ঘুর্ণিতে। দুই ইনিংস মিলিয়ে সবচেয়ে বেশিবার ১০ উইকেট শিকার করার দাপট দেখিয়েছে খুব কম বোলার। এই বিরল ঘটনা জম্ম দেওয়ার সেরা পাঁচ জন বোলারের মধ্যে ২ জন শ্রীলংকান ও একজন ভারতীয় স্পিনার রয়েছে। মনে পড়ছে তাদের নাম। মনে না পড়লে পুরো টপিকটি পড়ুন।

৫) অনিল কুম্বলে (৮ বার)

সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক অনিল কুম্বলে (Cricket star) এই ভিভি আই পি তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। একমাত্র ভারতীয় বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৬০০ টির বেশি উইকেট নিয়েছেন এই শান্ত ও ধীর গতি বিধ্বংসী বোলার। তিনি ১৩২ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। মোট আটবার  দশ উইকেট শিকার করে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি সব চেয়ে বেশী বার এই বিরল প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। এছাড়া তিনি চির প্রতিদ্বন্ধী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন।

৪) রঙ্গনা হেরাথ (৯ বার)

শ্রীলংকার প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ (Cricket star) যার নাম তৎকালীন জনপ্রিয় বোলার ছিলো। এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। যিনি তাঁর দলের হয়ে ১৯ বছর ক্রিকেট খেলে ৪৩৩টি উইকেট দখল করেন। শ্রীলংকান ক্রিকেটর অনেক চড়াই উৎড়াই এর স্বাক্ষী। ৯৩টি টেস্ট ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ বার ১০ উইকেট নিয়েছেন। শ্রীলংকান ক্রিকেটার দের মধ্যে দুই জন এই এলিট ক্লাবে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি রিচার্ড হ্যাডলীর সাথে যৌথ ভাবে এই তালিকায় রয়েছে।


৩) রিচার্ড হ্যাডলি (৯ বার)

নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার রিচার্ড হ্যাডলি (Cricket star) এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তিনি একমাত্র নিউজিল্যান্ডের খেলোয়ার যিনি ফাস্ট বোলার হয়ে এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।এই তালিকায় থাকা বাকি চার জনই স্পিনার। টেস্ট ক্যারিয়ারের তিনি ৪৩১টি উইকেট নেন। ৮৬টি টেস্ট ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বমোট ৯ বার ১০ উইকেট নিয়েছেন।

২) শেন ওয়ার্ন (১০ বার)

শেন কেইথ ওয়ার্ন (জন্ম: সেপ্টেম্বর ১৩, ১৯৬৯) ভিক্টোরিয়ার ফার্নট্রি গুল্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। তাকে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা বোলার হিসাবে ট্রিট করা হয়ে থাকে। ওয়ার্ন (Cricket star) একজন জেনুইন লেগ স্পিনার ছিলেন, সাথে লোয়ার অর্ডারে কার্যকরী ব্যাটিং করতেন। অস্ট্রেলিয়ার সুদর্শন কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারী তিনি। ১৪৫টি টেস্ট ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ বার ১০ উইকেট নিয়েছেন।

১) মুথাইয়া মুরালিধরন (২২ বার)

টেস্ট ক্রিকেটের বোলাদের মধ্যে মুকুটহীন সম্রাট। শ্রীলংকান টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ৮০০টি উইকেট নিয়েছেন শ্রীলংকার কিংবদন্তি স্পিনার মুথাইয়া মুরালিধরন (Cricket star)। এমনকি সবচেয়ে বেশি বার ৫ উইকেট ও ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্বও রয়েছে তার। ১৩৩টি টেস্ট ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২২ বার ১০ উইকেট নিয়েছেন।যিন ২য় পজিশনে আছেন শের্ন ওর্‍্যান যে লংকান এই ক্রিকেটার এর অনেক দূরে অবস্থান করছেন। ক্রিকেটের মাঠ থেকে এবার রাজনীতির ময়দানে কিংবদন্তী স্পিন বোলার মুথাইয়া মুরলীধরন। শ্রীলঙ্কার নর্দ্যান প্রভিন্সের গভর্নর বা রাজ্যপাল হতে চলেছেন তিনি। সে দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আমেরিকার সৈন্যরা যে সাতটি দেশে বেশি তৎপর (American soldiers are more active in the seven countries)

আমেরিকার সৈন্য


গত অক্টোবর মাসে আফ্রিকার দেশ নিজের-এ ওঁত পেতে থাকা হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের চার জন সৈন্য নিহত হয়। মার্কিন জনগণ এই খবরে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট এই দেশটিতে মার্কিন সৈন্যরা ঠিক কী করছিল?

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকা। আর এই দেশটি বিশ্বের ১৮০টি দেশে ২ লাখ সামরিক কর্মচারী নিযুক্ত করেছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু মাত্র সাতটি দেশে মার্কিন বাহিনী প্রত্যক্ষভাবে সামরিক অভিযানের সাথে জড়িত রয়েছে জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা।

কোন সাতটি দেশে তারা তৎপর?

১. আফগানিস্তান
আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সৈন্য সংখ্যা ১৩,৩২৯ জন। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসির ওপর হামলার পর তালেবানের সাথে লড়াই করার জন্য এদের পাঠানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি হচ্ছে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিস থেকে কংগ্রেসের জন্য তৈরি করা এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে মোতায়েন থাকার প্রয়োজন এই কারণে যে সেই দেশকে নিরাপদ আশ্রয় বানিয়ে সন্ত্রাসীরা যেন আবার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালাতে না পারে’।
আমেরিকান সৈন্যরা আফগানিস্তানে আল-কায়েদা, তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী, তালেবান এবং তার বিভিন্ন উপগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে।

২. ইরাক
ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার সামরিক সাফল্যের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে তার মূল লক্ষ্যে পরিবর্তন আনছে। লড়াই থেকে সরে এসে তারা তাদের সাফল্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করছে। কংগ্রেসে মার্কিন সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র আইএস-এর উপগোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা অব্যাহত রাখবে।

এর কারণ হচ্ছে প্রাণঘাতী হামলার চালানোর ক্ষমতা এই দলগুলোর রয়েছে। এরা ইরাকের বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে বড় হুমকি।

ইরাকে লড়াইয়ের পাশাপাশি মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাকি বাহিনী, কুর্দি পেশমার্গা বাহিনীকেও অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

৩. সিরিয়া
যুক্তরাষ্ট্র তার অনুগত সামরিক জোটকে নিয়ে ২০১৭ সালে ইরাকে অভিযান চালিয়ে আইএস-এর কবল থেকে ৪৫ লক্ষ লোককে মুক্ত করে। এর পর থেকে আইএস ইরাক এবং সিরিয়ায় তার দখলে থাকা ৯৮% ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ হারায়।

সিরিয়ায় এখন ১৫০০ মার্কিন সৈন্য তৎপর রয়েছে। এরা সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স, এসডিএফ-কে নানা ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, এসব সাহায্যের মধ্যে রয়েছে বোমা বর্ষণ করা, স্থানীয় বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা এবং অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা।

৪. ইয়েমেন 

মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে কিছু বোমা বর্ষণ করছে। আল কায়েদা ইন দ্যা অ্যারাব পেনিনসুলা বা অ্যাকাপের বিরুদ্ধে তারা কিছু লড়াই চালিয়েছে।

মার্কিন সরকার স্বীকার করেছে যে ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহর বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে তারা সীমিত পর্যায়ে সামরিক সমর্থন দিয়েছে।

এই সাহায্যের মধ্যে রয়েছে গোয়েন্দা তথ্য প্রদান করা এবং জোটের বাহিনীগুলিকে সামরিক সরঞ্জাম প্রদান করা। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে না।

৫. সোমালিয়া
সোমালিয়ায় মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। ঐ দেশে তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীগুলির ‘সন্ত্রাসবাদী হুমকি’ মোকাবেলা করা। এই দেশেই ১৯৯৩ সালে মার্কিন সৈন্যরা এক চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল।

মার্কিন স্পেশাল ফোর্সেস সে সময় যুদ্ধবাজ নেতা মোহামেদ ফারাহ্ আইদিদের একজন ডান হাতকে পাকড়াও করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়। অভিযানে ১৮ জন মার্কিন সৈন্য নিহত, ৭০ জন আহত এবং দুটি ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। বর্তমানে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা সোমালিয়ায় সন্ত্রাস-বিরোধী তৎপরতায় পরামর্শ দিচ্ছে।

৬. লিবিয়া
সরকারিভাবে লিবিয়ায় মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা সীমিত। কিন্তু সৈন্য সংখ্যা কম থাকার মানে যে লিবিয়ার ভেতরে তাদের তৎপরতা কম, তা কিন্তু নয়। কংগ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বাহিনী লিবিয়ার মরুভূমিতে লুকিয়ে থাকা ইসলামিক স্টেট-এর অনুসারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে বিমান হামলা চালায়। তারা সেখানে ড্রোন ব্যবহারও করে থাকে।

৭. নাইজেরিয়া
নাইজেরিয়া ৫০০ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু তাদের কথা ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববাসীর অজানা ছিল। ঐ সময়ে ইসলামিক স্টেটের অনুগত এক বাহিনী মার্কিন সৈন্যদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। এতে চার জন মার্কিন সৈন্য নিহত হয়।

সে সময় এই ঘটনা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। নাইজেরিয়া নিহত এক সৈন্যের স্ত্রী দাবি করেন, ঐ ঘটনার পর তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে এক বিতর্কিত শোকবার্তা পেয়েছিলেন। যাতে লেখা ছিল, ‘সে (সৈন্য) জানতো, সে কিসের মধ্যে ঢুকছে’।

ঐ ঘটনার দু’মাস পরে নাইজেরিয়ান সৈন্যদের সাথে টহল দেয়ার সময় মার্কিন সৈন্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এইসব ঘটনার বাইরেও ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আফ্রিকা মহাদেশে মার্কিন বাহিনী আরও ১০টি সামরিক সংঘাতে জড়িত হয়েছে।

তবে দেখা যাচ্ছে আমেরিকার এই সামরিক তৎতপরতা শুধু মুসলিম প্রধান দেশেই বিদ্যমান। বিশ্বের ভয়াবহতম নির্যাতন নিপিড়ণ চলছে মসুলমান সংখ্যা গরিষ্ট ভারতের কাশ্মির, মায়ানমারের আরাকান ও চীনের উইঘুর প্রদেশ। কিন্তু বিশ্বের মোড়ল আমেরিকা সেখানে নিরব ভুমিকা পালন করছে। 

Thursday, June 18, 2020

আলেকজান্ডার দি গ্রেটের শেষ ইচ্ছা (Alexander the Great's last wish)

Alexander the Great's last wish


আলেকজান্ডার দি গ্রেট’ বেঁচেছিলেন মাত্র ৩২ বছর। এই ছোট্ট জীবনে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রাচীন যুগের অন্যতম বিশাল সাম্রাজ্য।

এত বড় এই যোদ্ধা মারা গিয়েছিলেন সামান্য জ্বরে আক্রান্ত হয়ে, নিজের সাম্রাজ্যের বাইরে অন্য রাজ্যে। খুব ইচ্ছা ছিল তার নিজের প্রাসাদে ফিরে মরবেন, কিন্তু মৃত্যু তাকে সেই সময় দেয়নি।
  
মৃত্যুশয্যায় ‘আলেকজান্ডার দি গ্রেট’ তার জেনারেলদের ডেকে তিনটি শেষ ইচ্ছার কথা বলেছিলেন।
● তার কফিন কবরস্থানে বহন করে নিয়ে যাবে তার সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ ডাক্তারেরা।
  
● তাকে বহন করার রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে তার অগাধ সম্পদ– টাকা, স্বর্ণ, মণিমুক্তা – যা কিছু তিনি তার ঈর্ষণীয় সাফল্যমণ্ডিত জীবনে অর্জন করেছিলেন।
● তার হাত দুটো কফিন থেকে বাইরের দিকে ঝুলিয়ে দেয়া হবে।
  
আলেকজান্ডারের এই অদ্ভূত ইচ্ছাগুলো শুনে তার এক জেনারেল অবাক হয়ে তাকে প্রশ্ন করলে আলেকজান্ডার ব্যাখ্যা করলেন।

তিনি বললেন, আমি চাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ডাক্তারেরা আমার কফিন বহন করুক, যাতে মানুষ উপলব্ধি করতে পারে যে, মৃত্যু যখন আসবে তখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ডাক্তারেরা একসঙ্গে মিলেও সারিয়ে তুলতে পারবে না।
  
আমি চাই আমার কবরস্থানে যাওয়ার পথ সম্পদে ছড়িয়ে থাকুক, যাতে সবাই দেখতে পায় যে এই দুনিয়ায় অর্জিত সম্পদ দুনিয়াতেই থেকে যাবে।

আমি চাই আমার হাত দুইটা কফিন থেকে বাইরের দিকে ঝুলে থাকুক, যাতে মানুষ শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে যে আমরা এই দুনিয়ায় খালে হাতে এসেছিলাম, যখন সময় ফুরিয়ে যাবে তখন আবার খালি হাতেই চলে যাবো।
  
ঘটনা থেকে শিক্ষা
আমরা কবরে কোনও সম্পদ নিয়ে যাবো না, রেখে যাওয়া ভালো কাজগুলোই শুধু আমাদের কাজে লাগবে। এই পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো সময়,

কারণ আমাদের প্রত্যেকের আয়ু নির্ধারিত করা আছে। আমরা পরিশ্রম করে টাকা-পয়সা অর্জন করতে পারবো, কিন্তু একটা সেকেন্ড সময়ও আমরা কিনতে পারবো না।

Wednesday, June 17, 2020

দুনিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম হোটেল (largest hotel) সম্পর্কে জানুন

largest hotel

আগত ছুটির জন্য নিখুঁত বৃহত্তম হোটেল (largest hotel) বেছে নেওয়ার সময় ভ্রমণকারীরা অনেকগুলি ভিন্ন কারণের দিকে খেয়াল রাখেন।

কিছু বি-বি-এর মতো নিখুঁত এবং অন্তরঙ্গ অনুভূতিতে সময় কাটানোর জন্য,

আবার অনেকেই আয়ারল্যান্ডের দুর্গ বা বিগ সুরের একটি গাছের বাড়ির মতো অস্পষ্ট এবং অনন্য বিকল্পের সন্ধান করে।

যে সমস্ত ভ্রমণকারীদের নিখুঁত থাকার ধারণার মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার ঘর,

বিভিন্ন সাইজের সুইমিং পুল এবং কখনও কখনও তাদের নিজস্ব শপিংমল সহ শীর্ষে রিসর্টগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

আসলে লাখো হোটেল এন্ড রিসোর্টের মধ্য কোনটি সেরা সেটা বের করা খুবই কঠিন।

কক্ষের সংখ্যা অনুসারে এখানে বিশ্বের সেরা হোটেলের তালিকা করা হয়েছে।

বিশ্বের শীর্ষ ছয়টি বৃহত্তম হোটেল (largest hotel) কমপ্লেক্স এর বিবরণ দেওয়া হলোঃ

৬। ইজমেলোভো হোটেল কমপ্লেক্স, মস্কো। (Izmailovo Hotel, Moscow)

১৯৮০ সালে মস্কোতে অলিম্পিক গেমসের জন্য নির্মিত,

ইজমেলোভো হোটেল কমপ্লেক্স ১৯৯৩ সালে এমজিএম গ্র্যান্ড হোটেল প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগে পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম হোটেল ছিল।

৫,০০০ কক্ষের কমপ্লেক্সটি চারটি টাওয়ার নিয়ে গঠিত - আলফা, বিটা, ভেগা এবং গামা-ডেল্টা। যার প্রত্যেকটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়।

এখন, গামা-ডেল্টা দুটি হোটেলের মধ্যে ২ হাজার অতিথি কক্ষ রয়েছে এবং

বোলিং গলি, একটি পোস্ট অফিস, স্পা এবং রেস্তোঁরা সহ অনেক সুযোগ সুবিধার দেখা মেলে এখানে।

আলফা বহু কক্ষকে চারতারা স্থিতিতে নতুন করে সংস্কার করেছে এবং

এতে একটি সওনা, সুইমিং পুল, ক্যাসিনো এবং আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

ভেগাকে সেরা ওয়েস্টার্ন ও মর্ডান জিনিস দ্বারা দখল করা হয়েছে।

এবং সাম্প্রতিক বিটাকে নিয়ে দর্শকরা মন্তব্য করেছেন যে এটি আট এর দশকের এতিহ্য রয়েছে।

তবে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এর বিশালতা দিয়ে আজো ৬ নম্বর স্থান অধিকার করে আছে। বাংলাদেশের মারমেইড ইকো রিসোর্ট সম্পর্কে জানুন।

৫. স্যান্ডস কোটাই সেন্ট্রাল, ম্যাকাও (Sands Cotai Central, Macau)

স্যান্ডস কোটাই সেন্ট্রাল তৈরি করা তিনটি টাওয়ার ২০১২ সালে খোলা হয়েছে

এবং কনরাড, শেরাটন, সেন্ট রেজিস এবং হলিডে ইন সহ একাধিক হোটেল ব্র্যান্ড রয়েছে।

চারটি হোটেলের মধ্যে 6,000 অতিথি ঘর এবং স্যুট রয়েছে।

কমপ্লেক্সের মধ্যে ডাইনিং এবং শপিংয়ের আধিক্য রয়েছে এবং হোটেলগুলির প্রত্যেকটির নিজস্ব পুল এবং স্পা রয়েছে।

প্রতিটি দিন থেকে বাছাই করার জন্য সংগীত এবং অ্যাক্রোব্যাটিক শো রয়েছে, পাশাপাশি বাচ্চা-বান্ধব ক্রিয়াকলাপ রয়েছে।

এর কেন্দ্রে সমস্ত গেমিং স্পেস 17,000 বর্গ মিটার।

৪. সিটি সেন্টার, লাস ভেগাস

এরিয়া, ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল, ভিডারা, বীর টাওয়ার এবং স্ফটিক সমন্বিত এই কমপ্লেক্সটিতে ৬,৫০০ টিরও বেশি কক্ষ রয়েছে।

আরিয়া কমপ্লেক্সের কেন্দ্রস্থল 4,004 অতিথি কক্ষ, 16 রেস্তোঁরা, সাতটি বার, পাঁচটি পুল, একটি স্পা, ফিটনেস সেন্টার এবং একটি বড় ক্যাসিনো নিয়ে।

ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল একটি স্পা, দুটি রেস্তোঁরা এবং একটি পুল সহ

একটি ছোট বিলাসবহুল হোটেল, এটি আরও নির্মল অভিজ্ঞতার সন্ধানকারীদের জন্য এটি আদর্শ করে তোলে।

কমপ্লেক্সের তিনটি বড় হোটেলের শেষটি হচ্ছে ভাদারা। ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টালের মতো, ভিদারাতে একটি ক্যাসিনো অভাব রয়েছে।

এটি শান্তিপূর্ণ করে তোলে তবে সমস্ত কক্ষ রান্নাঘরের সাথে স্যুইট স্টাইলের কারণে, প্রাঙ্গনে কোনও রেস্তোঁরা নেই।

৩. এমজিএম গ্র্যান্ড + সিগনেচার, লাস ভেগাস

১৯৯৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বৃহত্তম হোটেলটি কী ছিল (৬,৮০০ টিরও বেশি কক্ষ সহ) এখনও কল্পনা করা যায়

এমন একটি অত্যধিক বাড়াবাড়ি এবং মজাদার অভিজ্ঞতা সরবরাহ করে।

স্টার শেফদের দ্বারা একাধিক রেস্তোঁরা, পাঁচটি বার এবং একটি অলস নদী সহ একটি 6.5-একর পুল কমপ্লেক্স এবং একটি স্পা এবং ফিটনেস সেন্টার সহ অতিথিদের সুবিধাগুলির অভাব হবে না।

যারা সারাদিন এবং রাতে পার্টি করতে দেখেন তাদের জন্য এমজিএম গ্র্যান্ড ওয়েট রিপাবলিক পুল পার্টি এবং হাকাকাসন নাইট ক্লাবের বাড়িতে।

প্রতি রাতে একাধিক শো এবং একটি বিস্তৃত ক্যাসিনো সহ দর্শকদের বিনোদনের অভাব হবে না।

২। ভিনিসিয়ানস এবং পালাজো, লাস ভেগাস (The Venetian and the Palazzo, Las Vegas)

যদিও এটি সাত বছরের পরে বিশ্বের বৃহত্তম হোটেলের খেতাবটি হারিয়েছে, ভিনিসিয়ান এবং প্যালাজো কমপ্লেক্সকে বাড়াবাড়ি করার অভাব নেই।

বোন রিসর্টগুলি দু'জনের মধ্যে একটি দুর্দান্ত 7117 টি কক্ষ, পাশাপাশি 40 টিরও বেশি রেস্তোঁরা, 90 টিরও বেশি চিকিত্সা

কক্ষ সহ একটি বিশ্বমানের স্পা এবং 10 টি পুলের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, যা ব্যতিক্রম ও বিলাসিতাতে ভিন্ন।

যথাক্রমে 650 এবং 720 বর্গফুট থেকে শুরু হওয়া স্ট্যান্ডার্ড গেস্ট কক্ষগুলি স্ট্রিপ বরাবর সবচেয়ে বড়দের মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি দর্শকের কাছে বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা যোগ করে।

১। ফ্রাস্ট বিশ্ব হোটেল, পাহাং, মালয়েশিয়া (First World Hotel, Pahang, Malaysia)

মালয়েশিয়ার জেন্টিং হাইল্যান্ডে অবস্থিত, ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড হোটেল বিশ্বের বৃহত্তম হোটেল, যেখানে দুটি টাওয়ারের মধ্যে 7,351 টি কক্ষ রয়েছে।

হোটেলটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে প্রথম যেটি ই-কিওস্ক এবং এক্সপ্রেস চেক-ইন চালু করেছিল এবং বর্তমানে বিভিন্ন খুচরা দোকান এবং

রেস্তোঁরা সহ একটি লাইফস্টাইল মল রয়েছে features সম্পত্তিটি 2006 সালে প্রথম বৃহত্তম হোটেলের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড পেয়েছিল,

তবে ২০০৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত লাস ভেগাসের ভিনিশিয়ানদের কাছে বৃহত্তম হোটেল (largest hotel) খেতাব হারিয়েছিল।

এটি অতিরিক্ত ১,২৩৩ টি কক্ষ যুক্ত করে খেতাবটি পুনরুদ্ধার করে।

মারমেইড ইকো রিসোর্ট - নিরিবিলি শান্তির পরশ (mermaid eco resort)


মারমেইড ইকো রিসোর্ট (mermaid eco resort) দেশের জনপ্রিয় ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশে কোলাহল মুক্ত রিসোর্ট। ঢাকার বাইরের রিসোর্টগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মারমেইড ইকো রিসোর্ট (Mermaid Eco Resort)।

যা পাহাড়ের পাদদেশে সমুদ্রের কোল ঘেষে অবস্থিত। স্বপ্নিল সৌন্দর্যের এক আবাসভূমি মারমেইড ইকো রিসোর্ট

নির্জন প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে মারমেইড ইকো রিসোর্ট।

কক্সবাজারের পেঁচার দ্বীপে সম্পূর্ণ কোলাহল মুক্ত নির্জন প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে মারমেইড ইকো রিসোর্ট।

এই পেঁচার দ্বীপে কয়েক বছর আগেও কোন স্থাপনা ছিলো না, ছিলো না পর্যটকের আনাগোনা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের একমাত্র অভন্তরীন বিমান বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে জেলেদের ছোট্ট একটি গ্রাম এই প্যাঁচার দ্বীপ।

বেশ কিছু দিন পুর্বে এখানে যেতে অনেক কাঠখড় পেড়িয়ে যেতে হতো। এখন দিন বদলে গেছে।

এক পাশে ঝাউবনসমৃদ্ধ সমুদ্রসৈকত, অন্য পাশে সবুজে ঢাকা উঁচু পাহাড়।

তার মধ্যভাগ দিয়ে সুদূর টেকনাফ পর্যন্ত চলে গেছে প্রায় ৮৪ কিলোমিটারের কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক।

বিশ্বে সমুদ্রের কোল ঘেষে এত বড় মেরিন ড্রাইভ রোড কমই আছে। এই জন্য বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে।

পেঁচার দ্বীপের ঠিক পাশেই রেজুখাল নদী।

এখানেই গড়ে উঠেছে আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন এই রিসোর্টটি। সবচেয়ে চমৎকার বিষয় হলো রিসোর্টটির রয়েছে নিজস্ব সমুদ্র সৈকত।

ইকো ট্যুরিজমের কনসেপ্ট মাথায় রেখে নির্মিত এই রিসোর্ট একবার ঘুরে আসলেই আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে প্রকৃতি আর নান্দনিকতার সাথে আধুনিকতার সম্মিলন ঘটানো হয়েছে।

ইট-পাথরের নাগরিক সভ্যতায় যখন প্রাণ হাঁপিয়ে উঠে, কর্মচঞ্চল জীবনে যখন ক্লান্তিতে মনক বিষণ্ণ হয়ে ওঠে, তখন মন হারাতে চায় দূরে কোথাও পাহাড় আর প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলিতে।

প্রিয়জনের সাথে একান্ত সানিধ্যে। তখন মন খোঁজে একন একটি স্থান যেখানে নেই কোনো যান্ত্রিক কোলাহল, নেই কোনো নাগরিক ব্যস্ততা।

শুধু আছে নিবিড় প্রকৃতির সান্নিধ্য, সমুদ্রের মৃদু মন্দ হাওয়ার সাথে অপার নির্জনতার আবেশ। তাই মনকে রিফ্রেশ ও প্রাণবন্ত করে তুলতে ছুটি কাটানোর আর্দশ স্থান হতে পারে মারমেইড ইকো রিসোর্ট।

সেখানে আপনি থাকবেন সম্পূর্ণ কোলাহলমুক্ত। যেখানে থাকবে পাখি কলরব। কেউ ডিসট্রার্ব করতে আসবে না আপনাকে।

অন্তহীন সমুদ্রের সূর্যাস্ত দুচোখ ভরে দেখার পাশাপাশি মজাদার সব সামুদ্রিক খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা হবে এই রিসোর্টে।

সারি সারি ছোট ছোট কুটির

রাস্তার ওপর থেকে তাকালে গাছপালার আড়ালে চোখে পড়বে ছোট ছোট অনেক কুটির। রিসোর্টের দুই পাশে বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি করা গেইট।

গাড়ি থেকে নেমে একটু দূর হাঁটতেই আপনাকে বরণ করে নেবে একদল স্মার্ট্ কর্মী দল। তারা আপনাকে অভিনন্দন জানাবে বুনো ফুলের গাঁথা মালা আর ওয়েলকাম ড্রিঙ্ক হিসাবে দেওয়া হবে ডাবের পানি।

ডাবের পানি শেষ করতে না করতে বাংলো বরাদ্দের কাজ শেষ হয়ে।

বাংলো গুলোর নাম ভালোভাবে শুনে নিতে হবে কারন একবার শুনে নাম মনে রাখা বেশ জটিল।

এ রিসোর্টটি তৈরির করার সময় পরিবেশের ভারসাম্যের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছিল।

থাকার ঘরগুলোর ছাদ-চালা বাঁশ ও ছন দিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তা গাছপালাগুলোর উচ্চতাকে ছাড়িয়ে না যায়।

অযত্নে বেড়ে ওঠা লতাগুল্মগুলোও যেন এই রিসোর্টের ভালোবাসার সম্পদ এবং এই প্রতিষ্ঠানটির স্বকীয়তা বজার রাখার উজ্জল চেষ্টা। পরম মমতায় তারা জড়িয়ে রয়েছে সব কুটিরগুলোতে।

বাংলোর জানালা ও দরজাগুলোে অনেকটাই বড় বড়, তাই সুনির্মল বাতাস, বৃষ্টি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন বাঁধাহীন ভাবে এবং প্রাণভরে।

মারমেইড ইকো রিসোর্টে সাধারণ চার ধরনের বাংলো পাওয়া যায়

১। ওয়ান বেডরুম ওয়াটার বাংলো।

২। ওয়ান বেডরুম বাংলো।

৩। ওয়ান বেডরুম স্টুডিও ভিলা

৪। দুই বেডরুম বিশিষ্ট

সকল রুম গুলিতে এসি এভেলেবল।

এখানের ঘর গুলি দেখলে পল্লী কবি জসিম উদ্দীনের আসমানী কবিতার কথা মনে পড়তেই পারে। বাড়ীতো নয় পাখীর বাসা,ভেন্না পাতার ছানি। একটু খানি বৃষ্টি হলে গড়িয়ে পড়ে পানি।

কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই। ঘরগুলো (ছোট্ ছোট পাখির নীড়ে মত) বাইরে থেকে দেখতে কুটিরের মত হলেও ভেতরে কতটা আন্তরিকতা, যত্ন আর আধুনিকতা অপেক্ষা করছে আপনার জন্য, সেটি চিন্তারও বাইরে।

ঘরের ভেতরে মোটামুটি আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। স্নান ঘরটায় ঢুকলে মুহূর্তেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।

প্লাস্টিকের বোতলে ভর্তি শ্যাম্পুর বদলে কাঁচের পাত্রে ভেষজ উপায়ে বানানো প্রাকৃ্তিক শ্যাম্পু।

সাবান, শ্যাম্পু রাখা হয়েছে নারকেলের লম্বা একটি খোলের মধ্যে।

এখানকার ঘরগুলো নানানরকম প্রাকৃ্তিক ও আধুনিক উপাদান দিয়ে বেশ নান্দনিক ভাবে সাজানো। খোলামেলা পরিবেশের কারণে ঘর থেকেই দেখতে পারবেন অনাবিল সমুদ্রের নীল জলরাশি ও আকাশের মিতালী।

ইয়োগা সেন্টার, স্পা, নৌকা ভ্রমণ, সম্মেলন কক্ষ, প্রেক্ষাগৃহ সব কিছুরই ব্যবস্থা আছে এই পরিবেশ বান্ধব অবকাশ যাপন কেন্দ্রে।

রিসোর্টের নিজস্ব অপূর্ব সুন্দর সমুদ্র সৈকতে নির্জনে সমুদ্র স্নান করতে পারবেন।

মারমেইড ইকো রিসোর্ট(mermaid eco resort) এ রয়েছে দুই ধরনের প্যকেজ অফার

১। ক্যাপল একোমোডেশান প্যাকেজ

২। হ্যানিমুন প্যাকেজ

বিস্তারিত জানতে মারমেইড ইকো রিসোর্ট এর ওয়েব সাইট ভিজিট করতে পারে। ওয়েব সাইটের ঠিকানাঃ http://mermaidecoresort.com

এখানে নেই কোনো নাগরিক কোলাহল, নেই কোন বায়ু দুষণ, নেই কোনো শব্দ দূষণ। এক শান্ত, স্নিগ্ধ সুশীতল নির্মল চারপাশ।

দুপুরের কড়া রোদ মলিন হয়ে এলে কুটিরের সামনে বাঁশে ও বেতের বেঞ্চে গা এলিয়ে বসে ভিটামিন ডি নিতে বেশ আরাম পাবেন। অথবা এ সময়টা বেড়িয়ে পড়তে পারেন নৌকা ভ্রমণে।

বাংলোর সারি আর নারকেল গাছ ছাড়িয়ে অল্প হেঁটে গেলেই রেজু খাল। সেখান থেকে ভেসে যায় সাম্পান।

নৌকা গিয়ে থামবে ওপারে দূরে অজানা চরে। বালুকাবেলায় পা রাখতেই দেখবেন হাজার হাজার লাল কাঁকড়া।

আপনার আগমন টের পেয়ে দেখবেন হুটোপুটি করে কিভাবে ছুটে পালাচ্ছে লাল কাঁকড়া দল। দখিনা বাতাসে ঝাউ বনের দোলা আপনাকে বিমহিত করবে।

নির্জন সৈকতে প্রাণভরে বিশুদ্ধ বায়ু সেবন আর সূর্যাস্ত উপভোগ অনেকটাই আপনার কাছে জীবনের পরম পাওয়া বলে মনে হতে পারে।

ফেরার পর বোট ক্লাবের পাটাতনে বসে উপভোগ করতে পারবেন সামনের সমুদ্র, পূর্ণিমার চাঁদ অথবা লক্ষ কোটি তারার মিতালী।

সান্ধ্য কালীন নীরবতা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত এক আশ্চর্য মৌনতায় কাটিয়ে দিতে পারবেন এখানে। প্রশান্তিময় এক স্নিগ্ধ অনুভূতি গ্রাস করবে আপনার সর্বাজ্ঞে।

আপনার সময়কে মোহণীয় করতে আলো আধারী পরিবেশ থাকবে ক্যান্ডেল ডিনার। থাকবে বিভিন্ন সামুদ্রিক সুস্বাদু মাছ।

পেতে পারেন জীবনের প্রথম সামুদ্রিক কাঁকড়া খাবার অনুভুতি।

কিভাবে যাবেন মারমেইড ইকো রিসোর্ট এ

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেভাবে যাবেনঃ

রাজধানী শহর থেকে কক্সবাজার সড়ক, রেল এবং আকাশপথে যাওয়া যায়।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বাসগুলোর মধ্যে সৌদিয়া, এস আলম মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, এস.আলম পরিবহন, মডার্ন লাইন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

শ্রেণী ভেদে বাসগুলোর প্রতি সীটের ভাড়া ৯০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার পর্যন্ত।

ট্রেনে কক্সবাজার যাবার সরাসরি কোন ব্যবস্থা না থাকায় ট্রেনে না যাওয়াই ভালো।

তবে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই রাজধানীর সাথে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার, ইউ এস বাংলা এবং রিজেন্ট এয়ারওয়েজের বেশকিছু বিমান ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।

আগে থেকে টিকিট কিনলে অনেক সাশ্রয়ে পাওয়া যায়। আর উড়োজাহাজে গেলে সময় ও ঝক্কিঝামেলা কমে যাবে।

ভ্রমন অনেক আরামদায়ক হবে। টিকিটের মুল্য ৪০০০ টাকা থেকে ১০০০০টাকার মধ্যে।

কক্সবাজার থেকে মারমেইড ইকো রিসোর্ট এ যেভাবে যাবেনঃ

কক্সবাজারের কলাতলী থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে যেতে পারেন পেঁচার দ্বীপে। ভাঁড়া পড়বে প্রায় ২০০ টাকা।

এছাড়া কক্সবাজার এয়ারপোর্ট থেকে সিএনজি নিয়ে সরাসরি চলে যেতে পারবেন। সময় লাগবে ২০ মিনিট।

মারমেইড রিসোর্টে থাকার খরচ

থ্রি স্টার হোটেলের যাবতীয় সুবিধা সম্বলিত মারমেইড বিচ রিসোর্টে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রুমের ৩০টি কটেজ আছে।

বলে রাখা ভাল ১ কিলোমিটার দূরত্বে একই মালিকানায় মারমেইড বিচ রিসোর্ট এবং মারমেইড ইকো রিসোর্ট নামে দুইটি রিসোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।

মারমেইড ইকো রিসোর্টের কটেজের রুম ভাড়া ৪০০ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ১৮ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত।

তবে বছরের বিভিন্ন সময় এখানে ছাড়ের ব্যবস্থা থাকে।

মারমেইড ইকো রিসোর্ট এ খাবার ব্যবস্থা

শেষ কথা, এই রিসোর্টে অতিথিদের জন্য রয়েছে দেশী, বিদেশী ও সামুদ্রিক খাবারের জন্য একটি রেস্টুরেন্ট।

আরো আছে একটি সিজনাল ফ্রুটের জুস বার। যদিও বেশীর ভাগ খাবার দাবার প্যাকেজের আওতাভুক্ত থাকে।

মাত্র কয়েক সেকেন্ডে চার্জ হবে স্মাটফোন (Smart phone)


আজকাল লকডাউনের মধ্যে স্মার্টফোন (Smart phone) হয়ে উঠেছে সময় কাটানোর একমাত্র সঙ্ঘী । কিন্তু স্মার্টফোনের প্রধান সমস্যা চার্জ না থাকা। অতিদ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া ফোনের জন্য প্রধান সমস্যা।ভিডিও কলের সংখ্যা এবং ইন্টারনেটের সহজ লভ্যতা মোবাইলের চার্জ ফুরানোর জন্য অনেকাংশে দায়ী।

আজকাল নিম্মমানের ফোনে বাজার সয়লাব। এই স্মার্টফোনের চার্জ ফুরিয়ে যায় খুব দ্রুতই। যা নিয়ে প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয় ব্যবহারকারীদের। এই ঝামেলা থেকে বাঁচাতে আমেরিকার সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক নতুন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন, যা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই স্মার্টফোন সম্পূর্ণ চার্জ হওয়াতে সাহায্য করবে। ‘ফ্লেক্সিবল সুপারক্যাপাসিটর’ নামের ওই প্রযুক্তিতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চার্জ দেওয়া যাবে স্মার্টফোনে। সহজে বহনযোগ্য হওয়ার কারনে ব্যবহার করা যাবে সহজে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনে ব্যাটারির বদলে এই ‘সুপারক্যাপাসিটর’ রাখলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্য ফুল চার্জ হয়ে যাবে স্মার্টফোন (Smart phone)। এরপর এক সপ্তাহ চার্জ না দিলেও চলবে।

৭৮ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নিরাপদ পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত (78 core and 30 lacs people deprived of safe water rights)

safe water


পানি নিরাপত্তা সূচকের বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় তা জানে না পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পানি নিরাপত্তা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পানির নিরাপত্তা সূচক তাই তিনটি সাব সূচকের উপর নির্ভর করে। এগুলো হলো- খাদ্য উৎপাদনে পানির নিরাপত্তা, শিল্পপণ্য উৎপাদনে পানির নিরাপত্তা এবং শক্তি উৎপাদনে পানির নিরাপত্তা। এই তিনটির মধ্যে একটিতেও নেই বাংলাদেশের নাম। অথচ খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা ও পানি নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। 

২০২০ সালের মধ্যে সকলের জন্য সরাসরি নিরাপদ খাবার পানির সংস্থান নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ। এ জন্য গত ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে পানিবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। আগামী ২২ মার্চ জাতিসংঘ হাই-লেবেল প্যানেল অন ওয়াটার (এইচএলপিডবিøউ) এর ফলাফল ডকুমেন্টের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সরকার পক্ষ থেকে পানি সরবরাহের একটি সমন্বিত জাতীয় পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন আগামী ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। 


পানি জীবনের একটি মৌলিক উপাদন। জীবন এবং জীবিকার জন্য পানির সঠিক ব্যবহার ও টেকসই ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বরোপ করে ১৯৯৩ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ প্রণীত ২০১৬-২০৩০ মেয়াদী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে জাতিসংঘ প্রণীত সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। পানিকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি না দিয়ে পানি সম্পদের সমন্বিত উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, আহরণ, বিতরণ, ব্যবহার, সুরক্ষা ও সংরক্ষণ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বিধান করে ২০১৩ পানি আইন পাস করা হয়েছে।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সার্বিক পানি উন্নয়ন সূচকের অবস্থানের মধ্যে মোট ৪৯ টি দেশ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কোনোটিই সর্বোচ্চ পানি নিরাপত্তা সূচক (৫) অর্জন করতে পারেনি। মাত্র দু’টি দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মান (৪) অর্জন করতে পেরেছে। মাঝারি অবস্থানে (৩) রয়েছে ১০টি দেশ। এগুলো হলো, আর্মেনিয়া, ব্রæনাই, দারুসসালাম, হংকং, জাপান, কাজাকাস্তান, মালয়েশিয়া, রিপাবলিক অব কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইপে ও তাজিকিস্তান। নিরাপত্তা সূচক ২ অর্জন করেছে সর্বোচ্চ ২৯ টি দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ মোট ১০ টি দেশ ন্যূনতম ১ নিরাপত্তা সূচক অর্জন করেছে।


জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বের ৭৮৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ৭৮ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নিরাপদ বা পানযোগ্য পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২৫ লাখ মানুষ এখনো ন্যূনতম স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা বঞ্চিত। ২০৪০ সাল নাগাদ প্রায় ৬০ কোটি শিশুর বসবাসের এলাকায় পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিবে। এতে করে জীবনধারণ ও সুস্থতা হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে। পৃথিবীতে মোট শ্রমশক্তির প্রায় অর্ধেক জনশক্তিই পানি সংক্রান্ত  এবং পানিকে ঘিরে জীবিকা নির্বাহের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

সারা বিশ্বে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত সে সংখ্যা প্রায় দেড় বিলিয়ন। পৃথিবীপৃষ্ঠের চার ভাগের তিন ভাগই পানি। শতকরা হিসাবে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ। এত পানি থাকার পরও চারদিকে শুধু পানির অভাব। আর সেই অভাবটি হলো বিশুদ্ধ পানির। কারণ ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ পানির মধ্যে ৯৭ শতাংশ পানিই লবণাক্ত পানি, ২ শতাংশ বরফ এবং বাকি মাত্র ১ শতাংশ বিশুদ্ধ পানি। পানির রাসায়নিক গুণাবলির মধ্যে রয়েছে, এর কোনো অ¤øত্ব কিংবা ক্ষারকত্ব নেই। অর্থাৎ পানির পিএইচ মান হলো সাত (৭)। মহাবিশ্বে এখন পর্যন্ত পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যেখানে পানি রয়েছে। পানি আইনের প্রথমেই বলা হয়েছে, পানিসম্পদের সমন্বিত উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, আহরণ, বিতরণ, ব্যবহার, সুরক্ষা ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিধান প্রণয়ন করা। যা এখনো করা হয়নি।


জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে পানিবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দের পক্ষে যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হল তা সরকার ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের এসডিজি বাস্তবায়ন এবং সকলের জন্য ‘পানি-নিরাপদ’ পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে পানিসংক্রান্ত অর্থবহ পদক্ষেপ গ্রহণে পথ দেখাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকলের জন্য নিরাপদ খাবার পানি ও নিরাপদ পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ১৬০ মিলিয়নেরও অধিক মানুষের বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি মানুষের জন্যই নিরাপদ খাবার পানির সংস্থান করা হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে সকলের জন্য সরাসরি নিরাপদ খাবার পানির সংস্থান নিশ্চিত হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান ইনকিলাবকে বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য পানির গুরুত্বপূর্ণ পানি। আমরা পানির নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে সকলের জন্য সরাসরি নিরাপদ খাবার পানির সংস্থান নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা ও পানি নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।


তিনি বলেন, পানি বিদ্যুতে হাই লেভেল প্যানেলের ফলাফল ডকুমেন্টের সুপারিশের ভিত্তিতে, একটি সমন্বিত (জাতীয়) পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে- যা পানির জন্য তৈরি করা হবে। সেটা হবে বাংলাদেশের জন্য উপযোগী। পানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত বলেন, নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারা দেশ জুড়ে খালখনন এবং পুনরায় খনন করতে হবে। 
জানা গেছে, ২০১৬ থেকে মার্চ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদি প্রতিষ্ঠিত, এইচএলপিউএ›র দুই সহ-সভাপতি মরিশাস অ্যামিনহর প্রেসিডেন্ট গিরিব-ফকিম এবং মেক্সিকো এনরিক পেন ন্যাটোর প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যানেলের সদস্য ছিলেন, অন্য প্যানেল সদস্য হলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল, হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট জনস অ্যাডার, জর্ডানের প্রধানমন্ত্রী হানি আল মুলকি, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী রোকস রকেট, পেরুর প্রেসিডেন্ট পাবলো কুইজিনস্কি গর্ডার্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা,সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমমালি রাহমোন এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডাঃ হান সেং- সো।


জাতিসংঘের পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলন (ইউএনসিইডি)-এর ১৯৯২ সালের মিটিংয়ে বিশ্ব পরিবেশে পানির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৩ সাল থেকে সর্বপ্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালন করে আসছে।
পানিসঙ্কটের মানচিত্রে ভবিষ্যতের ৬০ কোটি শিশু।


জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী দুই দশকে সুপেয় পানি সঙ্কট এতোটাই প্রকট হয়ে উঠবে। ২০৪০ সাল নাগাদ প্রতি চারজন শিশুর একজনকে সঙ্কট পড়তে হবে। বিশ্বের ৩৬টি দেশে পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এসব দেশে পানির চাহিদার তুলনায় সরবরাহের পরিমাণ খুবই কম। উষ্ণ আবহাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বন্যা, খরা এবং বরফ গলে যওয়ার মত ঘটনায় সুপেয় পানির প্রাপ্যতা, মান ও পয়ঃনিস্কাশনে প্রভাব। 

জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পানির নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহার এবং শিল্পায়ন ও নগরায়নের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রæত নেমে যাওয়ার কারণ বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা। ইউনিসেফ প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপেয় পানির উৎস এখনো বিশ্বের ৬৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষের নাগালের বাইরে। খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ করে এখনো প্রায় ৯৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। সুপেয় পানি সংগ্রহে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন ২০ কোটি ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে নারী ও কন্যাশিশুদের। পানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকার গুলোর কার্যকর পরিকল্পনা নেওয়ার তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি করেছে তারা।